ফাদার সুনীল রোজারিও। রেডিও জ্যোতি, রাজশাহী সিটি, বাংলাদেশ।
পোপ ফ্রান্সিস, করোনা ভাইরাস মহামারি সংকটকালে যে সমস্ত নারী- শিশুযত্ন, বয়স্ক, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও প্রশাসনের কাজ করে যাচ্ছেন তাদের জন্য ক্যাথলিকদের প্রতি প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৩ তারিখে পোপ ভাটিকান সিটিতে অবস্থিত প্রৈরেতিক প্রাসাদ গ্রন্থাগার থেকে সরাসরি বার্তায় বলেছেন যে, নারীগণই ছিলেন প্রথম- যারা যিশুর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হওয়ার বার্তাটি শিষ্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পোপ বলেন, “আমি এই মুহুর্তে আপনাদের সাথে স্মরণ করতে চাই সেইসব নারীদের, যারা এই স্বাস্থ্য সংকটকালে অন্যদের দেখাশোনা করছেন, নারী ডাক্তার, নার্স, প্রশাসনিক কর্মী, জেলখানার প্রহরী, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানকর্মী এবং মা-বোনেরা- যারা পরিবারে সন্তান, বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্দিদের সাথে নিজেরাও বন্দি হয়ে আছেন।” পোপ, পুনরুত্থানকালীন, স্বর্গের রাণী প্রার্থনার পর পরই গণমাধ্যমে দেওয়া এক সরাসরি বার্তায় আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন যে, এই গৃহবন্দি অবস্থাকালীন সময়ে নারীরা গৃহসন্ত্রাসের শিকার হতে পারেন। পোপ ফ্রানিন্স বলেন, “নারীরা যে সব সংকট মোকাবেলা ক’রে এমন অবস্থায় বসবাস করছেন, তা তাদের জন্য অত্যন্ত ভারী দায়িত্ব, ফলে তাদের উপর সন্ত্রাসের একটা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।” পোপ বলেন, “ আসুন তাদের জন্য প্রার্থনা করি, যেনো ঈশ্বর তাদের শক্তি দান করেন এবং আমাদের সমাজ তাদের পরিবারসহ সবাই নারীদের সমর্থন দান করেন।”
পোপ বলেন, “খ্রিস্ট যে পুনরুত্থান করেছেন, এই বাস্তবতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ঘটনার মধ্যে আস্থাসহকারে দেখতে হবে- সেটা যতোই কঠিন হোক, যতো নিরাশার বা অনিশ্চিত হোক। এটাই হলো পুনরুত্থানের বার্তা- যা আমাদের ঘোষণা করার জন্য, জীবন সাক্ষ্য বহন করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই আনন্দময় বার্তা আমাদের বাড়িতে, আমাদের হৃদয়ে বেজে চলুক- খ্রিস্ট, আমার আশা, আজ পুনরুত্থান করেছেন। এই নিশ্চয়তা প্রতিটি দীক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে, কষ্টভোগ ও সংকটময়কালে বিশ্বাস এবং সাহস জোগাবে।”
ধন্যা কুমারি মারীয়া- যিনি তাঁর সন্তানের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের নীরব সাক্ষ্যী হয়ে আছেন- মুক্তির এই রহস্য আমাদের বিশ্বাস ও জীবন পরিবর্তনে সহায়তা দান করুন।” সবশেষে পোপ বলেন, “আমি আপনাদের সাথে আছি এবং সর্বদা আপনাদের সবার জন্য প্রার্থনা করছি। আপনারাও আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।”

Please follow and like us: