ফাদার সুনীল রোজারিও। খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় কেন্দ্র, রাজশাহী সিটি, বাংলাদেশ।
কবে এই মহামারি বিদায় নিবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রতিষেধক আবিস্কার হলেই যে করোনা দেবী চিরতরে কৈলাশ চলে যাবেন তা নাও হতে পারে। ফ্লু, কলেরা, ডেঙ্গে, এইডস, নিউমোনিয়া, কারাজ্বর যেমন মাঝে মধ্যে হানা দেয়, তেমনি করোনাও মাঝেমধ্যে খোলনলচে বদলে হানা দিতে পারে- এমন সন্দেহ থেকে যাবে। আজকের আলোচনায় করোনা-পরবর্তী কিছু ভাবনা নিয়ে সহভাগিতা করতে চাই।
সৃষ্টি/প্রকৃতির প্রতি যে আমাদের নিষ্ঠুর আচরণ- সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পোপ ফ্রান্সিস তাঁর “তোমার প্রশংসা হোক” সর্বজনীন পত্রে, ধরিত্রীকে অভিন্ন বসতবাটি হিসেবে বলতে গিয়ে বলেছেন, “সম্প্রতি আমাদের এই ধরিত্রী নামক বোনটি করুণভাবে আর্তনাদ করতে শুরু করেছে, কেননা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও যথেচ্ছাচার দ্বারা আমরা তাকে যারপর নাই কষ্ট দিয়েছি এবং ঈশ্বর তাকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অপচয় করে আমরা তাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছি। মনে হচ্ছে আমরা যেন তার স্বেচ্ছাচারী অধিকর্তা ও প্রভু হয়ে উঠেছি, আমরা যেন তার প্রতি যেমন-খুশি তেমন-ব্যবহার করেই লুটেপুটে খেতে পারি, এমনটি মনে করছি।” শুধু এইটুকু বললেই বুঝতে আর বাকি থাকে না পোপ তাঁর গোটা পত্রে আর কী বলতে চেয়েছেন। প্রকৃতি যে আজ নিষ্ঠুর আচরণ করছে, বৈরি স্বভাব ধারণ করেছে, এর জন্য মানুষই দায়ী। সুন্দর সৃষ্টির মধ্যে আজকে এতটুকু ভূমি খুঁজে পাওয়া যাবে না- যেখানে দুষোণ নেই, পরিবেশ বিপর্যয় নেই। মানুষের স্বার্থের কারণে, উদ্ভীদ জগৎ, প্রাণী জগৎ আজ বিপন্ন। প্রকৃতি কী শুধুমাত্র মানুষের জন্যে ? এমনটি কিছুতেই বলা যাবে না। আমরা আমাদের একটি প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে প্রকৃতির দশটি সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছি। তাই, আজকের এই মহামারি, মহাসংকট- তা মানুষকে একটা কঠোর নিয়মের মধ্যে আটকে দিয়েছে। এই সুযোগে প্রকৃতি তার আপন নিয়মে নিজের মধ্যে একটা ভারসাম্য গড়ে তুলবে এবং ইতিমধ্যে পরিবর্তন আনছে। এখন প্রকৃতির আরোগ্যলাভের সময়। পোপ বলেছেন, “কেননা বিজ্ঞানের অসাধারণ অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত সামর্থ্যের সক্ষমতা, বিস্ময়কর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে যদি খাঁটি সামাজিক ও উন্নতি সাধিত না হয় তবে তা নিশ্চিতভাবেই মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করবে।” আজকের এই করোনা মহামারি কী তাহলে মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রকৃতির নিষ্ঠুর আচরণ ? আমরা আমাদের মনোজগতে প্রবেশ করলে এই প্রশ্নের উত্তর পাব। মহামারি নির্মূলে প্রতিষেধক যখনই আসুক না কেন, প্রকৃতি কিন্তু ততদিন বিশ্রাম নিবে- যতদিন তার আরোগ্যলাভের জন্য প্রয়োজন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ হয়তো করোনার ঔষধ আবিস্কার করে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাবেন। যৌথভাবে হোক বা এককভাবে হোক, প্রতি বছর কেউ না কেউ চিকিৎসা শাস্ত্রে অবদানের জন্য নোবেল পাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষ্য লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে নোভেল করোনার নোবেল যে জন পাবেন- তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমার ভাবনায়- সামনের দিনগুলোতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটা আমূল পরিবর্তন আসবে। বিজ্ঞানীদের মস্তিষ্কে একটা চিন্তা এখন কাজ করছে যে, এমন সভ্যতার দিনেও আস্থা নেই, যে কোন সময় বা কারণে আবারও যে কোন মহামারি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই চিকিৎসা সেবা, বাজেটের বড় অংশ দখল করবে। স্বাস্থ্যখাত আধুনিকরণ হবে এবং সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। একটা আপদকাল মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার উন্নতি হবে। সেই সাথে এই খাতে পড়াশোনার জন্য অনেকে উৎসাহী হবেন। এটা মনে হতে পারে, উন্নত দেশে সামরিক বাজেট কাটছাঁট করে চিকিৎসা খাতে আরও মনোযোগ দিবে। তবে এমন আশংকাও কেউ করছেন- বাজেট কমতে পারে তবে অস্ত্র উৎপাদন কমবে না। তাদের যুক্তি হলো- শিল্পোন্নত দেশগুলোতে করোনার কারণে আর্থিক যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে অস্ত্র উৎপাদন বাড়বে। করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে শিক্ষার সব খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার আধুনিকরণ হবে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার বাইরে ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা বা ভার্চুয়াল শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তার ঘটতে পারে।
করোনা সংকটের কারণে বিশ্ব দেখল মানুষ কত তাড়াতাড়ি গরিব হয়ে যেতে পারে। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পর্যাপ্ত মজুত, পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকার কথা শোনা গেলেও শ্রমজীবীদের জন্য খুব কিছু আসে যায় না। বিশেষ করে যে দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী প্রতিদিন সকালে ঘর ছাড়ে কাজের জন্য- কেতাবি হিসাব তাদের রক্ষা করে না। সম্পদের অসম বন্ঠন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, সেই সাথে ধনী-গরিবের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা কমিয়ে আনার জন্য সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। কল কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটা অংশ শ্রমিকদের মধ্যে বন্ঠন করা যায় কীনা সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে কৃষিপ্রধান দেশে শ্রমিকদের কল্যাণে খাদ্য মহামারির ভয় শিল্পোন্নত দেশ থেকে কম। কিন্তু শ্রম যখন থেমে যায়, তখন শ্রমিকরাই বিপন্ন হয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাস একটি কমন সমস্যা। জাতি-গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ কারো প্রতি বৈষম্য দেখায়নি। এমন আন্তঃমহাদেশীয় সমস্যা, ধর্মীয় নেতাদের ঐক্যের কর্মসূচীতে অনেকটা আশার কথা শোনাচ্ছে। সর্বধর্মীয় ভ্রাতৃবর্গের ধর্মীয় নেতারা নিজেদের মধ্যেকার সমস্ত প্রার্থক্য ভুলে গিয়ে মানবতাবিরোধী এই শত্রুর বিরুদ্ধে একত্রে দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব এখন সর্বজনীন পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। সর্বধর্মীয় ভ্রাতৃবর্গের সর্বোচ্চ সংঘের মহাসচীব, বিচারপতি মোহামেদ আব্দেল সালাম বলেছেন, “বিশ্ব নেতা ও জনগণের একমাত্র বিনম্র প্রার্থনা ও ভ্রতৃত্ববোধ এখন আমাদের নিরাপত্তা ও মানব সমাজের স্বাস্থ্য, আশা জাগিয়ে রাখার প্রথম শর্ত হতে পারে।” সংঘের মতে, ইতিহাসের এই ভয়াবহ সময়ে আজকের বিশ্ব মানব সমাজ এই মহামারি থেকে আরোগ্যলাভের জন্য যে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে একত্রিত হয়েছেন, এটা বিশ্ব ঐক্যের নিমিত্তে স্বপ্ন পূরণের জন্য একটা বাস্তব পদক্ষেপ। এদিকে ওয়াশিংটনের হিব্রু সমাজের প্রধান রাব্বী এবং মানব ভ্রাতৃবর্গের সর্বোচ্চ সংঘের সদস্য ব্রুস লাস্টিগ বলেছেন, “আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করছি কীভাবে এই ভয়াবহ মহামারি জনজীবন কেড়ে নিচ্ছে, সেই সাথে এটাও প্রকাশিত হচ্ছে যে, সামনের দিনে একটা উন্নত, সম্মিলিত ও ঐক্যের মানব জীবন অপেক্ষা করছে।” সংঘের সদস্য এবং পোপের ব্যক্তিগত সহকারি, মুন্সিনিয়র ইয়োয়ান্নিস লাহ্জি গায়েইড বলেছেন, “আমরা যে বিশ্ব মানব সমাজ এই মহামারি থেকে উদ্ধারের অপেক্ষায় আছি, একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই কোটি মানুষের বিপন্ন জীবন রক্ষা করতে পারেন।” অতীতে ধর্মের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয়েছে। আজকের দিনেও ধর্ম রাজনৈতিক স্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাব্বীর ভাষা ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়, সেইদিনের ধর্মযুদ্ধের ভয় আর থাকবে না, ধর্মের নামে অযথা উস্কানী নির্মূল হয়ে সর্বধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে। বৃহত্তর অর্থে একটা মানবধর্ম বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যের তাবুতে নিয়ে আনবে। সেই সাথে, মানুষের কল্যাণে মানুষকে এগিয়ে আসার যে একটা সংস্কৃতি গড়ে ওঠার ইংগীত লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে একটা সেবার সংস্কৃতি তৈরি করবে।
আধুনিক সভ্যতা ও অতি চাক্চিক্য সংস্কৃতির কারণে পরিবারের আদি ঐতিহ্য ব্যাকফুটে চলে গেছে। অনবরত ছুটাছুটির কারণে পরিবারের দিকে নজর দেওয়ার সময় কমে গেছে। এক ভিটায় অবস্থানকারিদের মধ্যে কার কী প্রয়োজন, কার কী দায়িত্ব, কে কেমন আছেন, তার খোঁজ খবর নিতে মানুষ ভুলেই যাচ্ছিল। এখন কর্মজীবীদের বড় অবসর। পোপ বলেছেন, “পরিবারে এখন অনেকে এমন সব কাজ করছেন, যা আগে তারা কোনদিন করেন নি।” ফলে পরিবারকে নতুন করে দেখার সুযোগ হয়েছে। এই অবসরে, একসাথে বসবাস, খাওয়া-দাওয়া, প্রার্থনা- পরিবারকে নতুন করে আবিস্কার করতে সাহায্য করছে। নিজের মধ্যে দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা ভালোবাসার আবেদন গড়ে তুলছে। যুগের বিবর্তনে পরিবারে যে স্খলন শুরু হয়েছিল, এই অবসরকাল তা নিরাময় করতে সাহায্য করবে। পোপ ফ্রান্সিসস বলেছেন, “পরিবারে সৃজনশীল ভালোবাসা বিচ্ছিন্নতা কমাতে পারে।”
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ বৃহৎ শক্তির প্রতি নত হওয়ার আয়োজন করে আসছেন। উত্তম শক্তির দিকে হাত তুলেছেন। সুতরাং, সৃষ্টিকর্তার প্রতি মানুষের বিশ্বাস যে হারিয়ে গেছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু তাঁকে প্রশংসা করার আয়োজন কমে গেছে সেটা বলতেই হয়। প্রভুর প্রার্থনায় দেখি, প্রথম পর্বে ঈশ্বরের প্রশংসা করা হয়েছে। তিনি সর্বশক্তিমান, স্বর্গ ও মর্তে তাঁর অধিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে মানুষ ঈশ্বরকে স্বীকার করে নিজের প্রয়োজন তুলে ধরেছেন। তাই বলতেই হয়, খালি খালি বিশ্বাস থাকলেই হলো না, তাঁর কাছে চাইতে হবে। বাইবেল বলেছে, “তুমি চাও তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি দরজায় আঘাত করো, দরজা খুলে দেওয়া হবে।” ঈশ্বরের কাছে মানুষের চাওয়ার দিনটা আবার শুরু হল। মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারল, এই মহাসিন্ধুতে সে মাত্র একটি বিন্দু। দাম্ভিক মানুষের দম্ভ্য হল- কী হবে এই মন্দির, মস্জিত, ভজনালয় ও বিগ্রহ গড়ে। বিশ্বে তো কোন কিছুর অভাব নেই। বেঁচে থাকার সব উপকরণ হাতের কাছে ভীড় করছে। কিন্তু ঈশ্বর এবার দেখিয়ে দিলেন, তিনি যেমন বিশ্বালয়ে, বৃহত্তরে ও ভজনালয়ে, তেমনি বিরাজমান বিন্দুতে। মানুষ তো সেই বিন্দুই মাত্র। এবার মানুষ ভালোভাবেই টের পেল, সে কত অসহায়। মহাসমুদ্রে একবিন্দুসম অহংকার নিয়ে নিজেকে সূর্য, চন্দ্র, তারকা ভেবে কোন রক্ষা নেই। তাই তাঁর কাছে নত না হয়ে উপায় কী, না চেয়ে রক্ষা কী। খেতে বসে যার হাত কোনকালে কপালে ওঠেনি, সে-ও জপমালা নিয়ে এখন মায়ের কোলে নিজেকে সঁপে দিচ্ছেন। দেবালয়ের কপাট বন্ধ, তাই বলে ঈশ্বরের শ্রবণদ্বার তো আর বন্ধ না। অনেকে অনলাইনে ধর্মকর্ম, উপদেশবাণী শোনার জন্য খোঁজ খবর রাখছেন। করোনা বিদায় নিলে এই অনলাইন সার্ভিসটা যেনো ভক্তদের ঘরে বসিয়ে না রাখে। এই দিকটা একটা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। পোপ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।
মানুষের জীবনে ধর্মের স্থান অস্বীকার করার উপায় নেই। জীবনে প্রশান্তি, জীবনে শৃঙ্খলা ও শান্তি স্থাপনে ধর্মের বিধান মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। প্রতিটি ধর্মেই বলা হয়েছে জীবনে ধর্মের আবশ্যিকতা। ধর্মকর্ম পালন কোন খন্ডকালীন বিষয় নয়, শুধু আপদকালীন কোন কর্তব্য নয়। ধর্মের শিক্ষা-বিধান মেনে না চললে, ঈশ্বরের ক্ষোভ-খড়গ, মানুষের উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোন মহামারিরূপ নিয়ে নেমে আসবে- এই বিষয়ে বাইবেল বলে, “তুমি যদি, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরবান্বিত ও ভয়াবহ নামকে ভয় না কর, তবে সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার বংশকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করবেন। বহুকাল স্থায়ী মহাঘাত ও বহুকাল স্থায়ী ব্যাথাজনক রোগ দ্বারা আঘাত করবেন।” আজকের মহামারি কী মানবজাতীর জন্য ঈশ্বরের সেই আঘাত ? কিন্তু পবিত্র বাইবেল আবার এটাও বলছে, “এই দেশে তোমার নামে এক ধর্মগৃহ নির্মাণ করে বলছে, খড়গ, বিচারের দন্ড, কি মহামারি, কি দুর্ভিক্ষসরূপ অমঙ্গল যখন আমাদের প্রতি ঘটবে, তখন আমরা এই ধর্মগৃহের সামনে তোমার নামে দাঁড়াব। কেননা. এই ধর্মগৃহে তোমার নাম রয়েছে এবং আমাদের সংকটে আমরা তোমার কাছে ক্রন্দন করব। তাতে তুমি আমাদের ক্রন্দন শুনে আমাদের উদ্ধার করবে।” আসুন, আমরা যে সংকটময় অবস্থার অভিজ্ঞতা করছি, তার গুরুত্ব হালকা করে না নিয়ে, গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন ক’রে জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করি এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করি। পাঠকদের প্রতি রইলো শুভেচ্ছা।

Please follow and like us: