ফাদার সাগর কোড়াইয়া
সব মানুষের জীবনেই ইতিহাস আছে। তবে সব ইতিহাস স্মরণীয় নয়। আবার অনেকে নীরবে-নিভৃতে কাজ করতে ভালবাসেন। বিনিময়ে কি পাবেন সে আশা কখনোই করেন না। তবে তিনি যে অবদান রাখেন তা স্পন্দিত হতে থাকে কাল থেকে কালান্তরে। মানুষ ভুলে যেতে পারে তাকে কিন্তু সত্যের যে সোপান তা থেকে তিনি বিচ্যূত হন না কখনো। হয়তোবা মূহুর্তের জন্য মানুষের মনের আড়াল হন; তবে ইতিহাস এবং সত্য তাকে এক সময় সবার সামনে দিনের আলোর মতো ঠিকই প্রকাশ করে। এমনই এক উচ্চতায় নিয়ে আসে যেখান থেকে তিনি স্বমহিমায় ভূষিত হন; হয়ে থাকেন স্মরণীয়। পল রোজারিও এমনই একজন ব্যক্তি যিনি সমাজ ও মণ্ডলীকে তাঁর সামর্থানুযায়ী অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রত্যাশার ডালি কখনো পূরণ করতে চাননি। পল রোজারিও তাঁর কাজের জন্য জনগণের মাঝে পল মাষ্টার ও পল আরডি হিসাবেই পরিচিত। সমাজ ও মণ্ডলীতে অনন্য অবদানকারী পল রোজারিও ১৯ এপ্রিল, ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে গাজীপুরের কালিগঞ্জের নাগরীর তিরিয়া গ্রামে ভক্ত বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আর এই ভক্তবংশ নামকরণের রয়েছে পুরনো ইতিহাস। ‘১৬১৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে ভক্তবংশ গুরু উদপ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। সেই সময় নাগরীর গির্জা ছিলো ছনের ছাউনীতে ঘেরা। কথিত আছে যে, রাত হলে গির্জা ঘরে বড় বড় ঢিল পড়তো। প্রচার হয়ে পড়ে, এ এক ভৌতিক কাণ্ড। এই ঢিল দেওয়া বন্ধের জন্য উদপ নিজের ইচ্ছায় রাত্রিতে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র এক রাত্রি রোজারিমালা প্রার্থনা করে এই ভৌতিক কাণ্ড বন্ধ করেন। রোজারিমালার প্রতি এই ভক্তি প্রদর্শন করে ভৌতিক কাণ্ড দূরীভূত করায় উদপকে ভক্ত হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়’ (ভক্তবংশ পরিচয়, ফাদার সিলভেস্টার রোজারিও)।
পিতা জোয়া রোজারিও ও মাতা রীতা গমেজ সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শিশু পল রোজারিওকে গ্রামের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠার শিক্ষা দেন। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষকে বিনামূল্যে দেবার মনোভাব নিয়েই বেড়ে ওঠতে থাকেন পল রোজারিও। এছাড়াও অন্যান্য ভাইবোন আলি, চার্লি, নিকোলাস, এমিলিয়া, এলিস, রেজিনা, এলিজাবেথ (যিনি অফ চ্যারিটি সিস্টার ছিলেন) ও পিতরের স্নেহ-ভালবাসায় পল রোজারিও পারিবারিক বন্ধনের সত্যিকার আবহ পেয়েছিলেন বেশ। পল রোজারিও’র ৪/৫ বছর বয়সে ১৯৩৮/৩৯ খ্রিস্টাব্দে পিতা জোয়া পরিবার পরিজন নিয়ে ভাগ্যান্নেষণে বোর্ণী ধর্মপল্লীর কাশিপুর গ্রামে এসে বসতি গড়ে তোলেন। এখানে এসেও তাদের বংশের নামানুসারে বাড়ির নাম হয়ে ওঠে ভক্তবাড়ি। আর জোয়া রোজারিও’কে সবাই জোয়া ভক্ত নামেই সন্মোধন করতে থাকে। বর্তমানে কাশিপুর গ্রামে ভক্তবংশধরদের বসবাস। পল রোজারিও’র মধ্যে পড়াশুনা ও জ্ঞান আরোহনের প্রতি ছিলো প্রচণ্ড আগ্রহ। জানা যায় যে, তিনি ইংরেজীতে ছিলেন বেশ দক্ষ। ইংরেজি শব্দার্থ লিখতে লিখতে একটি ডিকশনারী খাতাও বানিয়ে ফেলেছিলেন। অল্প বয়সে পিতার মৃত্যু হলে তিনি আর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারছিলেন না। আর এই দূর্যোগময় পরিস্থিতে ত্রাতা হিসাবে আসেন বড়বোন রেজিনা। বড়বোনের উৎসাহ-উদ্দিপনা ও আর্থিক সহায়তায় তিনি আবার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকেন। জোনাইল থেকে তিনি হরিপুর দূর্গাদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যান।
পল রোজারিও ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে নাগরী ধর্মপল্লীর সাধু নিকোলাসের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাশ করার পর পল রোজারিও’র জীবনে ত্রাতা হিসাবে আসেন বোর্ণী ধর্মপল্লীর কারিগর স্বর্গীয় ফাদার আঞ্জেলো কান্তন। ফাদারের অনুপ্রেরণা ও বড়বোন রেজিনার সহায়তায় নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন। নটর ডেম কলেজে পড়াশুনার শুরুতে নাগরী ধর্মপল্লীর পল রড্রিক্সের বঙ্গভবনের স্টাফ কোয়াটারে থাকতেন। সেই সময় পল রড্রিক্স ভঙ্গভবনে অফিস স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আর স্টাফ কোয়াটারে থাকতেই পল রড্রিক্সের মেয়ে মনিকা রড্রিক্সের (বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পি কমল রড্রিক্সের বড়বোন) সাথে পল রোজারিও’র পরিচয় হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে পল রোজারিও নটর ডেম কলেজের মার্টিন হলে থাকার সুযোগ পেয়ে চলে যান। সেই যে পরিচয়; সেই পরিচয় থেকে পছন্দ এবং অবশেষে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে নটর ডেম কলেজ থেকে বিএ পড়াশুনা সম্পন্ন করে মনিকা রড্রিক্সকেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। সম্ভবত বিয়ের পর পরই ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। তিনিই বড়াইগ্রাম থানার প্রথম মাষ্টার ডিগ্রী অর্জনকারী। পল রোজারিও ১৯৬০/৬১ খ্রিস্টাব্দের দিকে ফাদার কান্তনের আহ্বানে বোর্ণীতে ফিরে এসে মিশন প্রাঙ্গণের স্কুলে ইংরেজি শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পল রোজারিওসহ বার্নার্ড বিশ্বাস ও সুশীল গমেজ স্যার তৎকালীন মিশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত টিচার্স কোয়াটারে থাকতেন। বোর্ণী মায়ের এ ত্রিরত্নসহ আরো অনেককে সঙ্গে নিয়ে এ সময় ফাদার কান্তন তিলে তিলে বোর্ণী ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠনে জোর দেন। বোর্ণী মায়ের এ অক্লান্ত পরিশ্রমী যোগ্য নেতাদের হাত ধরেই আজকের এই ক্রেডিট দাঁড়িয়ে আছে। পল রোজারিও মাষ্টার বোর্ণী ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব, সৎ পরামর্শ ও শ্রম বোর্ণীবাসীর অবশ্যই স্মরণ করা দরকার।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকার পর ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে পল রোজারিও’কে সামাজিক নেতৃত্বের উপর ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডাতে পাঠানো হয়। যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে দেশে ফিরে এলে তিনি কোর (বর্তমান কারিতাস) সংস্থার পক্ষে ফাদার কান্তনের সাথে দরিদ্রদের মাঝে কাজ শুরু করেন। এ সময়ে তিনি হতদরিদ্রদের ব্যাপক রিলিফ প্রদান করেন। জানা যায়, দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করার পর বস্ত্র সংকুলান না হওয়াতে স্ত্রীর জমানো শাড়ীও দরিদ্র মহিলাদের রিলিফ হিসাবে প্রদান করেন। এছাড়াও যুদ্ধশিশুদের সুস্থ জন্মগ্রহণের জন্য বেশ অবদান রাখেন। এ সময়েই পল রোজারিও’র জীবনে নেমে আসে বেদনাদায়ক ঘটনা। কয়েকজন দূর্বৃত্তের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন তিনি। জীবন মরণের এই সন্ধিক্ষণে আবারও ত্রাতার ভূমিকায় আসেন ফাদার কান্তন। পল রোজারিওকে পরিবারসহ ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থান করে তিনি ইউনিসেফে চাকুরী শুরু করেন। বোর্ণীতে থাকাকালীন যারা পল রোজারিওকে হত্যার জন্য গুলি ছুঁড়েছিলো তারা ঢাকায় তাঁর সাথে দেখা করে ক্ষমা চাইতে গেলে তিনি অপরাধীদের ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মহান আদর্শ দেখান। চাকুরীকালীন অবস্থায় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশের কোর সংস্থায় যোগ্য শিক্ষা অফিসারের প্রয়োজন দেখা দিলে আবারও ফাদার কান্তনের আহ্বানে দিনাজপুর কোরে শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এইসময় পল রোজারিও দিনাজপুরের নিমতলার চুড়িপট্রিতে পরিবারসহ বসবাস করতে থাকেন। দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশে তিনি ৩ বছর অতিবাহিত করে কারিতাস, রাজশাহী অঞ্চলে বদলী হন। পরবর্তীতে ফাদার চেসকাতোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১ নভেম্বর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে পল রোজারিও রাজশাহী কারিতাস অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নিযুক্ত হন। এ সময়ে বা তারও আগে কারিতাসে থাকাকালীন কারিতাস তথা সমগ্র অঞ্চলকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান স্মরণীয়। বোর্ণী মিশনের দুটি ব্রিজ, আদগ্রাম স্কুলের সামনে ব্রিজ, কাশিপুর গ্রামে স্লুইসগেট, বোর্ণী মিশনের সিলাই সেন্টারে উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন দেশে প্রেরণ, রয়না থেকে জোনাইল, জোনাইল থেকে চাটমোহর পর্যন্ত ইটবিছানো রাস্তাসহ আরো নানা স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট তৈরী, বিভিন্ন স্কুল কলেজে মাঠ তৈরী ও সংস্কার, দরিদ্র ও নিঃস্ব-সহায় সম্বলহীনদের জন্য বসতবাড়ি তৈরী, নলকূপ স্থাপন, বরেন্দ্র এলাকায় বৃক্ষরোপন ও পুকুর খনন এবং গবাদী পশু পালনে সহযোগিতায় তিনি ব্যাপক অবদান রাখেন। মানুষের প্রতি পল রোজারিও’র দরদ ছিলো উল্লেখ করার মতো। আঞ্চলিক পরিচালক থাকাকালীন নিজ বাড়ি বোর্ণীতে গেলে ফিরে আসার সময় সঙ্গে করে তিনি অসুস্থ্যদের গাড়িতে করে এনে নিজ বাসায় জায়গা দিতেন। যাতে করে রাজশাহীতে ভালো চিকিৎসা সেবা পেতে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের কারিতাসের প্রথম আঞ্চলিক পরিচালক পল রোজারিও কারিতাস থেকে অবসর নেন। এ সময় তিনি রাজশাহীতে ছেলের বাসায় থাকতেন। অবসর গ্রহণ করার পর বিদেশ থেকে প্রজেক্ট এনে রাজশাহীর কাজিহাঁটায় নেশাগ্রস্থদের সুস্থ্যতার জন্য ‘প্রভা’ নামক একটি কেন্দ্র স্থাপন করেন। কিন্তু এই কেন্দ্রে দূর্নীতি প্রবেশ করলে তিনি মানসিকভাবে কষ্ট পান এবং কেন্দ্রের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। অবসর ও বার্ধক্যে তিনি একাকিত্ব অনুভব করতেন। মানুষের সান্নিধ্য লাভ করে কথা বলতে চাইতেন কিন্তু সে সুযোগ না থাকাতে তিনি পড়াশুনা ও লেখালেখিতে সময় কাঁটাতেন। পল রোজারিও নিজের জীবনের কষ্টগুলো নাকি ইংরেজিতে লিখেছিলেন। তিনি ছিলেন সঙ্গীতানুরাগী। সময় পেলেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতেন। তিনি আধ্যাত্মিক ও ধার্মিক ছিলেন; প্রতিদিন সকালের খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করতেন। তবে তথাকথিত দীর্ঘ সময় ধরে প্রার্থনা ছিলো তাঁর অপছন্দ। পাড়া-মহল্লার সবাই পল রোজারিও’কে দাদু বলে সন্মোধন করতো; আর তিনিও তা বেশ উপভোগ করতেন। পরিচিত নাতি-নাতনীর বয়সীদের খিতাবী নামে ডাকতেন তিনি। পান খাওয়াতে অভ্যস্ত ছিলেন; আর তাই তিনি পানের বাটা সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন বলে শোনা যায়।
‘শৃৃঙ্খলাবোধ যে উন্নয়নের প্রথম সোপান’ সে বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। নিজে শৃঙ্খলা মেনে চলতেন এবং অন্যকে তা মেনে চলতে শিক্ষা দিতেন। অনাড়ম্বর জীবন যাপন ছিলো পল রোজারিও’র ভূষণ; আর সে কারণেই কারিতাসে চাকুরীরত অবস্থায় বোর্ণী ধর্মপল্লীর ছোট ব্রিজের উত্তর পাশে ছোট একটি বসতবাড়ি তৈরী করেছিলেন। তাঁর একান্ত ইচ্ছা ছিলো জীবনের শেষ সময়টুকু খুবই সাদাসিধেভাবে সেখানেই কাঁটাবেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘বিলাসীতা করবে না, যদি কর তবে ধ্যান হবে না’ ‘উঁচু চিন্তা আর সাধারণ জীবন যাপন কর’। মানুষের জীবনে স্বার্থপরতাকে তিনি অত্যন্ত ঘৃণা করতেন। নানা গুণে গুণান্বিত দিকপাল পল রোজারিও ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসারে ভুগে দুইবার ব্রেনস্ট্রোক করেন। তৃতীয়বার ডিঙ্গাডুবা সিকসেল্টারে ব্রেনস্ট্রোক করে রাজশাহী মেডিকেলে ২দিন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ১৯ মে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। পল রোজারিওকে বাগানপাড়া ধর্মপল্লীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মানুষের পার্থিব জীবনের শেষ আছে; তবে জীবনের গল্পের শেষ নেই। জীবনের পাতায় সে গল্পগুলো আপনি ছেপে যায়। পল রোজারিও’র দৈহিক মৃত্যু হয়েছে; তবে তাঁর কর্মযজ্ঞই হচ্ছে গল্প। আর এই গল্পগুলোই আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণা। ক্ষণজন্মা এই পুরুষের পুরুষত্তোমতাকে কেউ কখনো চাইলেও অস্বীকার করতে পারবে না। জ্ঞানার্জন যে বই পড়ে এবং ভ্রমণ উভয়ের মধ্য দিয়ে সম্ভব তা তিনি দেখিয়েছেন। পল রোজারিও প্রায় চৌদ্দটি দেশে গিয়েছেন যা তাঁর জ্ঞানকে আরো শাণিত করে। কর্মের মধ্যে যে আনন্দ তিনি তা ঠিকই আবিষ্কার করে জীবনকে কর্মের দ্বারাই আবৃত্ত করেছিলেন। তিনি দেখিয়েছেন কর্মে সদচিৎানন্দ কাকে বলে। আর তাই পল রোজারিও বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মযজ্ঞের পরতে পরতে।
স্বমহিমায় ভূষিত তিনি: প্রসঙ্গ পল রাজারিও
Please follow and like us: