২০২০ খ্রিস্টাব্দের পালকীয় কর্মশালার মূলসুর ছিলো “আমরা হলাম দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবক”। দায়িত্বপ্রাপ্ত (Stewardship) সেবক হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের করণীয়: দায়িত্বশীল আচরণ, দায়বদ্ধতা, ঐশ অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সৃষ্টির যত্ন ও পরিবেশ রক্ষা, ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেছি। সেবার ঐশ্বতাত্ত্বিক, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক তাৎপর্য উপলব্ধি করে দায়িত্বশীল সেবক হিসেবে সময় (Time), সামর্থ্য (Talent) ও সম্পদ (Treasure) এর যথাযথ ব্যবহারে আমাদের বুদ্ধিমত্তা (Intelligence), সেবাকাজ ও প্রেম-ভালোবাসাকে (Heart) সম্পৃক্ত ও একাত্ম করার মাধ্যমে সেবাকাজে সফলতা আনয়ন সম্পর্কে সচেতন হয়েছি। কর্মশালায় যে সব দর্শন (Vision), প্রেরণ (Mission) এবং অগ্রাধিকারসমূহ (Priorities) নির্ধারণ করা হয়, সে সব নিম্নে উল্লেখ করা হল। দর্শন (ঠরংরড়হ) মণ্ডলিতে দায়িত্বশীল ও বিশ্বাসযোগ্য সেবক হওয়া। প্রেরণ (Mission) দায়িত্বশীল ও বিশ্বাসযোগ্য সেবক হয়ে ওঠার জন্য খ্রিস্টিয় গঠন এবং ঈশ্বর, বিশ্ব প্রকৃতি ও মানুষের সেবার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। এই দর্শন ও প্রেরণ বিবৃতির চতুর্থটি হলোঃ
বিশ্বপ্রকৃতি ও পরিবেশের যত্ন, রক্ষা ও সংরক্ষণে ব্যক্তি, পরিবার ও মণ্ডলি পর্যায়ে সচেতনতা দান ও উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ভূমিকাঃ মৌমাছি কিন্তু ফুলকে আহত না করেই মধু আহরণ করে। শুধু মৌমাছি কেনো, মানুষ বাদে গোটা পশু-পাখিজগৎ কিন্তু বনের। প্রকৃতি মানুষের জন্য যতো না, তার চেয়ে বেশি পশু-পাখির জন্য। তারা জানে প্রকৃতি-পরিবেশ না থাকলে তাদের জীবন বিপন্ন হবে। তাই তারা প্রকৃতি ধ্বংস করে না। মানুষও জানে কিন্তু তাদের কাছে প্রকৃতি আরাধ্য নয়- আরাধ্য হলো অর্থ আর লোভ। যে কারণে আজ বিশ্বে নেমে এসেছে বিপর্যয়। সব ধর্মই বলে, সৃষ্টি হলো ঈশ্বরের দান তাই এই দানকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সব ধর্মীয় নেতারাই বলেন, ঈশ্বরের এই দানকে রক্ষা করা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক আহ্বান। বিশ্বপ্রকৃতি ও পরিবেশের যত্ন, রক্ষা ও সংরক্ষণে বিভিন্ন ধর্ম কী বলে, আজকের অনুধ্যানে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র।
ইসলাম ধর্ম ঃ বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং মালিক হলেন স্বয়ং আল্লাহ্ এবং তিনি দুনিয়া পয়দা ক’রে তা তাঁর বান্দার কাছে হেফাজত দান করেছেন। সুতরাং মানুষের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে রক্ষা এবং তার মধ্যেকার ঐক্য নিশ্চিত করা। “আল্লাহ পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্য বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন এবং তিনি তোমাদের দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময় (আল মু’মিন:৬৪)।” এছাড়াও, ইসলাম ধর্ম প্রয়োজনের অধিক পরিমানে প্রকৃতির সম্পদ ভোগ করাকে নিষিদ্ধ করেছে (আল আ’রাফ: ৩১)। সেই সঙ্গে তাঁর সৃষ্টি থেকে যা কিছু উৎপন্ন হয় তা নষ্ট না করার আদেশ দিয়েছেন। “…এগুলোর ফল খাও, যখন ফলন্ত হয় এবং হক দান কর কর্তনের সময়ে এবং অপব্যয় করো না (আল আনআম:১৪১)।” মোট কথা ইসলাম ধর্মে স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে- সৃষ্টির মালিক হলেন আল্লাহ এবং এই সৃষ্টিকে তিনি দিয়েছেন মানুষের বাসস্থান হিসেবে। কিন্তু তাই বলে তাঁর সৃষ্টিকে অপবিত্র, অপব্যয়, অধিকব্যয়, অধিকভোগ করে কোনোভাবেই এবং পরিবর্তন করা যাবে না। কোরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই (আররূম: ৩০।”
বাহা’ই বিশ্বাস ঃ বাহা’ই ধর্মের লেখায় বার বার বলা হয়েছে, মানব জীবন ও এই প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাদের মতে, প্রকৃতির প্রতি মানুষের থাকতে হবে গভীর শ্রদ্ধা কারণ প্রকৃতির সঙ্গে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের আর সবকিছু অবিচ্ছেদ্ধ অংশ হয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করেন, প্রকৃতি হলো ঐশ্বরিক এবং এক মানবতার প্রতিফলন।
বৌদ্ধ ধর্ম ঃ কর্মের উৎপত্তি ও কর্ম সম্পর্কে বৌদ্ধ ধর্ম যে মূল্যবোধের কথা বলে তা হলো সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ দায়িত্ব। বৌদ্ধ ধর্মে বলা হয়েছে, আমাদের কাজের যে নৈতিকতা সেটাই ভবিষ্যতের চরিত্রকে গঠন করে এবং সেটাই হলো টেকসই উন্নয়ন। তাদের মতে, মৌমাছি ফুলকে আহত না করে, ফুলের রং, সুরভি নষ্ট না করে মধু আহরণ করে চলে যায় ঃ অতএব জ্ঞানীদের বিচরণও কিন্তু ঠিক তাই হওয়া।
কনফুসিয়ানিজম ঃ গত প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে কনফুসিয়ান (চীনা দর্শন) মতবাদ চীনদেশের সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং রাজনীতিকে প্রভাবিত করে আসছে। সমাজ বিজ্ঞানিদের মতে, কনফুসিয়ান মতবাদ হলো নাগরিক ধর্ম- যা তাদের সমাজ কাঠামো এবং জীবন পথের প্রদর্শক। চীনা দর্শন মতে, প্রাত্যহিক জীবনের কর্মক্ষেত্রই হলো আসল ধর্ম। তবে তারা এটাও বলে যে, মানবতাবাদ- প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত।
জৈন ধর্ম ঃ ভারতের এই জৈন ধর্মের মূল শিক্ষা হলো অহিংসা- শান্তিময় ও শৃঙ্খলাময় জীবন। জৈন ধর্ম শিক্ষা দেয়, “কোনো জীবন্ত প্রাণি বা জীবন্ত বস্তুকে আহত, হত্যা, অপমান বা নির্যাতন করবে না।” জৈন ধর্ম মতে, মানুষ হলেন সৃষ্টির উত্তম তাই তাদের আদর্শ হবে মহাবিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। তারা বলেন, জীবনের সঙ্গে অনন্তলোকের একটা ধারণা জড়িয়ে রয়েছে এবং সেই সঙ্গে সৃষ্টির মধ্যে উত্তম হিসেবে মানুষের দায়িত্ব জড়িয়ে রয়েছে।
শিখ ধর্ম ঃ ভারতের আর একটি ধর্ম হলো শিখ ধর্ম। পরিবেশ সম্পর্কে শিখ ধর্মের শিক্ষা হলো, তুমি এবং তুমি নিজেই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা এবং তাতেই তোমার সন্তুষ্টি। তুমি এবং তুমি নিজেই ভ্রমর, ফুল, ফল এবং বৃক্ষাদি। তুমি এবং তুমি নিজেই জলরাশি, মরুভূমি, সাগর, মৎস্যকূল, সরীসৃপ এবং সব উৎসের উৎস। যার সংক্ষীপ্ত ব্যাখ্যা হলো- সৃষ্টি থেকে মানুষ আলাদা নয়। সৃষ্টির পরিণতি হলো মানুষের পরিণতি।
সিন্টু ধর্ম ঃ সিন্টুধর্মের ভিত্তি হলো আত্মা। তারা বিশ্বাস করেন, প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুর মধ্যে আত্মা বিরাজমান, যেমন- বাতাস, জলরাশি, পাহাড়-পর্বত, ইত্যাদি। সুতরাং যারা এসব বিশ্বাস করেন তারা তাদের আত্মায় প্রকৃতির খুব কাছে এবং তাদের উৎসাহিত করা হয় প্রকৃতি-পরিবেশকে রক্ষা করতে। তাদের মতে, সিন্টু ধর্মের অনুসারিদের কাছে আশা করা হয়- প্রকৃতি এবং মানবজাতির সঙ্গে শান্তিময় সহবস্থান।
তাও ধর্ম ঃ তাও শব্দের অর্থ পথ- যে পথের মধ্যদিয়ে মানুষ খুঁজে পেতে পারেন নিজের আচরণ ও অন্যকে পরিচালনার পথ। প্রাচীন চীনের এই তাও ধর্মের বাণী ছিলো- “প্রকৃতি এবং মানবজাতির মধ্যে ভারসাম্যতা। তাও ধর্ম বিশ্বাস করে, মূল প্রকৃতি হলো অনন্তের বিধান। প্রকৃতির এই বিধানকে জানতে হলে নিজেকে আলোকিত করতে হবে। কিন্তু যে কেউ প্রকৃতির বিধানকে অমান্য করে সে অমঙ্গল বয়ে আনে। তাদের মতে, প্রকৃতির বিধানকে জানতে হলে তার প্রতি দয়া দেখাতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে স্বাভাবিক পরিবর্তনকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সুতরাং মানবতার সঙ্গে প্রকৃতির যে সম্পর্ক রয়েছে- তা যদি কেউ অসারভাবে নেয়, তবে সে শুধু প্রকৃতিকে শোষণ করে। এই দুইয়ের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে যারা তা বুঝতে পারেন তারাই মাত্র প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করতে পারেন এবং প্রকৃতি থেকে শিক্ষালাভ করতে পারেন।
ইহুদি ধর্ম ঃ বিশ্ব জগত সম্পর্কে ইহুদি ধর্মের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। ইহুদি ধর্ম মতে, ভূমি, পরিবেশ এবং সব সম্পদ ঈশ্বরের এবং মানব জগতের কাজ হলো এই দানের যত্ন নেওয়া। বাইবেলের আদি পুস্তকে এ্যাদেন বাগানের উল্লেখ আছে। যে বাগান মানুষের কাছে দেওয়া হয়েছিলো তাদের জীবিকার জন্য কিন্তু অপব্যবহার করার জন্য নয়। “ঈশ্বর বললেন, দেখো আমি সব ভূতলস্থিত যাবতীয় বীজ উৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদের দিলাম। তা তোমাদের খাদ্য হবে (আদি ১:২৯।” গীতসংহীতায় বলা হয়েছে, “পৃথিবী তার মধ্যকার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুর; জগৎ ও তার বাসীগণও তাঁর (২৪:১)।” প্যাট্রিয়ার্ক বার্থোলমিউ বলেছেন, “সম্ভ্রম ও বিস্ময়ের সঙ্গে আমাদের প্রকৃতিকে যত্ন করতে হবে, যেমন সন্তানদের জন্য করে থাকি। তা করা শুধু ঈশ্বরের উপস্থিতি প্রমাণ করার জন্য নয়- কিন্তু আমাদের শ্বাস নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য।”
হিন্দু ধর্ম ঃ হিন্দু ধর্ম প্রকৃতির অনেক গভীরে বিদ্যমান। হিন্দু শাস্ত্র মতে, ভগবৎ গুণ প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত, যেমন- নদী, পাহাড়, বৃক্ষলতা, পশু-পাখি তথা বিশ্ব। তাই হিন্দু ধর্ম উৎসাহ দেয় পরিবেশ রক্ষা করার জন্য। ভগবৎ গীতায় বলা হয়েছে, “ব্রহ্মা যা হলো আত্মা, যার কোনো শুরু নেই, যিনি বস্তু জগতের উর্ধেŸ। কিন্তু মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। অতএব মানুষ প্রকৃতি থেকে সরে যাওয়া মানেই হলো তার অস্থিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়া। মানুষ যখন প্রকৃতিকে ধ্বংস করে তখনই সে প্রকৃতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় আর নিজের ধ্বংস ডেকে আনে। হিন্দু ধর্ম মতে, “প্রকৃতির সব কিছুই সব কিছুকে প্রভাবিত করে।” সুতরাং মানুষ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অংশ- তার অস্থিত্ব অন্যের অস্থিত্বের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে।
খ্রিস্টধর্মে ধায়িত্বপ্রাপ্ত সেবক ঃ চার্চ আমাদের শিক্ষা দেয় যে, মানুষের যে মর্যাদা তা হলো ঈশ্বরের কাজ ও গৌরব। মানুষের এই মর্যাদা প্রশংসিত হয় তার সঠিক সিদ্ধান্ত, অন্যকে সেবাদান এবং তার বুদ্ধিমত্তা সেবক হয়ে ওঠার মধ্যদিয়ে। ঈশ্বর মানুষকে এই বিশ্বটা দান করেছেন বসবাসের জন্য, আনন্দের জন্য। কিন্তু শর্ত হলো- এই দানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এবং সঙ্গে ধরিত্রীর যত্ন নেওয়া। পোপ ফ্রান্সিস তাঁর ‘তোমার প্রশংসা হোক’ সর্বজনীন পত্রে বলেছেন, “আমাদের অভিন্ন বসতবাটিকে রক্ষা করার জন্য জরুরি চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোটা মানব পরিবারকে একত্রিত করার চিন্তা ভাবনা, যাতে টেকসই ও সম্পূরিত উন্নয়ন সাধিত হয়, কেননা আমরা জানি যে, পরিবর্তন সম্ভব। বিশ্বসৃষ্টির প্রভু আমাদের পরিত্যাগ করেন না, তিনি কখনো তাঁর প্রেমপূর্ণ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন না অথবা আমাদের সৃষ্টি করেছেন বলে অনুশোচনা করেন না। এক সাথে মিলেমিশে এখনও আমাদের অভিন্ন বসতবাটিটি নির্মাণ করার ক্ষমতা মানবজাতির আছে (পৃষ্ঠা ১২)।” পোপ তাঁর এই সর্বজনীন পত্রের পুরোটা জুড়েই বলেছেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবক হয়ে ওঠার প্রথম অধ্যায়টা শুরু হওয়ার কথা পরিবারে। সন্তানরা লক্ষ্য করে তাদের পিতামাতা কীভাবে প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করে। সন্তানগণ যেনো প্রকৃতিকে আবিষ্কার করতে পারে, সেই জন্য তাদের সঙ্গে আলাপচারিতা প্রয়োজন। সন্তানদের বুঝাতে হবে যে, মাটি, জল, আলো ও বাতাস, এসবই ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন বেঁচে থাকার জন্য, অবপ্যবহার করার জন্য নয়। সন্তানদের শিক্ষা দিতে হবে যে প্রকৃতি হলো আমাদের হাত। সুতরাং যে হাত আমাদের খাওয়ায়- সে হাত আমরা কেটে ফেলতে পারি না।
চার্চের পালকীয় কাজের একটা কর্মসূচি হতে পারে পরিবেশ রক্ষা। এই কাজটি শুরু করতে হবে বিদ্যালয় থেকে। পাঠ্যসূচিতেও থাকতে হবে বিষয়টি। শিশুরা যেনো তাদের জীবন শুরুর কাল থেকেই শিখতে পারে এবং বেড়ে উঠতে পারে পরিবেশকে যত্নের মধ্যদিয়ে। বিদ্যালয় চত্বরটিতে গাছ-পালা লাগিয়ে নান্দনিক করে তোলার দায়িত্ব দিতে হবে ছাত্রদের। প্রকৃতি ঈশ্বরের দান, আর এই দানের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব যে ঈশ্বর মানুষকে দিয়েছেন- এই শিক্ষা নিয়েই যেনো আমাদের সন্তানরা দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবক হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।