ফাদার সুনীল রোজারিও। খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় কেন্দ্র, রাজশাহী সিটি, বাংলাদেশ।
গত ১৫ জানুয়ারি ডিকন খোকন খ্রিস্টফার বাড়ো সিএসসি, যাজক পদে অভিষিক্ত হয়েছেন। রাজশাহী সিটিতে অবস্থিত গুড শেফার্ড ক্যাথিড্রাল চার্চে ডাইয়োসিসের বিশপ জের্ভাস রোজারিও কর্তৃক তিনি অভিষিক্ত হোন। আগেরদিন সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১৪ তারিখে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় কেন্দ্রে ডিকন বাড়ো’র জন্য নিবেদন করা পবিত্র ঘন্টা। পবিত্র ঘন্টার পর পরই পুরো ধর্মীয় ভাবধারায় মঙ্গল-আর্শীবাদ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গল-আর্শীবাদ অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বেলে, বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে তার ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ১৫ তারিখ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশপ জের্ভাস রোজারিও- ৩২জন যাজক, ব্রাদার, সিস্টার, জনগণ ও ডিকন খোকন খ্রিস্টফার বাড়োকে সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রা করে গির্জায় প্রবেশ করেন। অভিষেক অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিকনের দাদা ও বৌদি তাকে যাজকপদে অভিষিক্ত হওয়ার জন্য বিশপের হাতে সমর্পণ করেন। বিশপ অভিষিক্ত যাজককে উদ্দেশ্য ক’রে তাঁর উপদেশবাণীতে বলেন, “যাজকত্ব হলো ঈশ্বরের আহ্বান। একজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্ডলির সেবায় এগিয়ে আসেন। সুতরাং সব ধরণের কাজের দায় দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হয়। একজন যাজকের সদ্ইচ্ছার উপর নির্ভর করে- জনগণ কীভাবে তাকে সহায়তা দিবেন।” বিশপ বলেন, “একজন যাজক, যে কোনো সম্প্রদায়ভূক্ত হতে পারেন, কিন্তু যাজক হিসেবে তাদের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ- নিজের আধ্যাক্তিকতা বজায় রেখে জনগণকে আধ্যক্তিক সেবাদান করা।” খ্রিস্টযাগে পবিত্র ক্রুশ সম্প্রদায়ের প্রভিন্সিয়াল ফাদার জেমস ক্লেমেন্ট ক্রুশ সিএসসিসহ সম্প্রদায়ের আরো যাজক উপস্থিত ছিলেন।

খোকন খ্রিস্টফার বাড়ো, সিএসসি ২ নভেম্বর, ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্তমান, শ্রমিক সাধু যোসেফ (ভূতাহারা) ধর্মপল্লীর অর্ন্তগত, লক্ষীডাঁঙ্গা গ্রামে, আদিবাসী অ-খ্রিস্টান উড়াও পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা- মৃত: বিহারী বাড়ো এবং মাতা মৃতঃ রুনিয়া এক্কা । পরিবারে তারা পাঁচ ভাই ও তিন বোন। ১৬ তারিখ সকাল ১০টায় ফাদার খ্রিস্টফার নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে তার প্রথম ধন্যবাদের খ্রিস্টাযাগ অর্পণ করেন।
১৬ তারিখ রবিবার নব অভিষিক্ত যাজক শ্রমিক সাধু যোসেফ ধর্মপল্লীর গির্জায় জনগণের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের খ্রিস্টযাগ অর্পণ করেন। তিনি তার বক্তৃতায়- প্রার্থনা ও নানাভাবে সহযোগীতা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সেই সঙ্গে- তিনি যেনো নিঃস্বর্থভাবে মন্ডলির কাজ করে যেতে পারেন, সেই জন্য তাদের প্রার্থনা ও সহযোগীতা কামনা করেন। সবশেষে ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত সুশীল লুইচ পেরেরা- নব অভিষিক্ত যাজকের ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করে যাজকীয় অভিষেকের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য, ঈশ্বর, বিশপ, ফাদার, সিস্টার ও জনগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আমরা ফাদার ফাদার খোকন খ্রিস্টফার বাড়ো, সিএসসি’র মঙ্গল জীবন কামনা করি।

Please follow and like us: