গত ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ নবাই বটতলা ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে রক্ষাকারিণী মা মারীয়ার তীর্থ উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। সকাল ১০:১৫ মিনিটে শোভাযাত্রা সহযোগে পবিত্র খ্রিস্টযাগ শুরু হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। এছাড়াও ১৭ জন যাজক ৩০ জন সিস্টার ও প্রায় ৫০০০ খ্রিস্টভক্ত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন।
বিশপ মহোদয় তার উপদেশ সহভাগিতায় বলেন, নবাইবটতলার এই তীর্থ আমাদের প্রতেক্যের জন্য আশীর্বাদের কারণ, মা মারিয়া আমাদের সব সময় সাহায্য করেন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। ‘আমরা জানি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষাকারিণী কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থতায় পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এই নবাইবটতলার খ্রিস্টবিশ্বাসীগণ রক্ষা পেয়েছিলেন। বর্তমান বিশে^ মহামারি করোনা ভাইরাস-এর হাত থেকেও মা মারিয়া আমাদের রক্ষা করছেন। তাই মায়ের কাছে প্রার্থনা করি যেন ঈশ^রের কৃপা আশীর্বাদ আমরা মায়ের মধ্যস্থতায় লাভ করতে পারি।’
নবাইবটতলা ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তদের মধ্য থেকে মিসেস স্কলাসস্টিকা বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা এই দিনটিতে রক্ষাকারিণী কুমারী মারিয়ার তীর্থ উৎসব করি, আর সত্যিই মায়ের আশীর্বাদ আমরা লাভ করি। রক্ষাকারিণী মা আমাদের সকল নিবেদন পূর্ণ করেন আমাদের সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। ’
নবাইবটতলা ধর্মপল্লীর আরেকজন খ্রিস্টভক্ত বলেন, ‘রক্ষাকারিণী কুমারী মারিয়া আমাদের সবার মা। তিনি আমাদের ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি আজও আমাদের এই ধর্মপল্লীর সকলকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে যাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, নবাই বটতলায় খ্রিস্টভক্তগণ ৮ নভেম্বর, ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষাকারিণী কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থতায় পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পান। তখন থেকে প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করে রক্ষাকারিণী কুমারীর প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা নিবেদন করা হয় এবং রক্ষাকারিণী কুমারীর স্মরণে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ১৬ জানুয়ারি পর্ব উৎসব পালিত হয়ে আসছে। পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর অনেক ভক্তবিশ^াসীগণ মায়ের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন ও নিজ নিজ মানত নিবেদন করেন।
নবাইবটতলা ধর্মপল্লীতে রক্ষাকারিণী মা মারীয়ার তীর্থ উৎসব উদ্যাপন
Please follow and like us: