গত ১২ ফেব্রুযারি, লুর্দের রাণী মারীয়া তীর্থ ও বনপাড়া ধর্মপল্লীর পর্ব উদযাপন করা হয়। তীর্থের ও পর্বদিনের খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তাঁর সহাপির্ত খ্রিস্টযাগে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু, সহকারি পাল-পুরোহিত ফাদার নবীন পিউস কস্তা ও সেন্ট যোসেফ স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল শংকর ডমিনিক গমেজসহ আরো ১১জন ফাদার, ৩০জন সিস্টার ও প্রায় ৩৫০০ মত খ্রিস্টভক্ত পর্বীয় খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনেক খ্রিস্টভক্ত তাদের মানত পূর্ণ হওয়ায় মায়ের প্রতি তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যেও খ্রিস্টযাগে যোগদান করতে আসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, তীর্থের প্রস্তুতিস্বরূপ চলে নয় দিনের নভেনা। বিভিন্ন ফাদারগণ, মা মারীয়ার বিভিন্ন গুণাবলী নিয়ে খ্রিস্টযাগের উপদেশ দেন ও নভেনা পরিচালনা করেন। নভেনার খ্রিস্টযাগে শত শত খ্রিস্টভক্তগণ যোগদান করেছেন বলে জানিয়েছেন নভেনায় অংশগ্রহণকারি খ্রিস্টভক্তগণ।

খ্রিস্টযাগের শুরুতেই বিগত বছরের সকল দয়াদানের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পর্বকর্তা ও মিসার উদ্দেশ্য দাতাদের নাম ঘোষণা করা। শোভাযাত্রা করে বিশপ মহোদয় তার খ্রিস্টযাগের উপদেশে বলেন, “আজ আমরা উদযাপন করছি, লুর্দের রাণী মারীয়া তীর্থ ও বনপাড়া ধর্মপল্লীর পর্ব দিবস। এই দিনে মা মারীয়ার মত আমাদের প্রত্যেকেই আর্দশ মা হতে হবে। সন্তানদের সঠিক গঠনদানের জন্য জপমালা প্রার্থনার অভ্যাস, পিতামাতার প্রতি বাধ্য থাকা এবং পরিশ্রমি করে তুলতে হবে। পরিবারে মা আমাদের জন্য জীবন বাজি রেখে পরিশ্রম ও ত্যাগস্বীকার করেন কিন্তু আমরা নিজেদের স্বার্থের কারণে তা অস্বীকার করি। একইভাবে আমরা মা মারীয়ার মধ্যস্থায় আমাদের জীবনের উপকারের কথা ভুলে যাই। কিন্তু মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা, তাকে স্মরণ করা আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত। এছাড়াও বর্তমান বিশ্বের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিজেদের জন্য অসুস্থদের জন্য মায়ের কাছ থেকে বিশেষ কৃপা ও আর্শীবাদ চাইতে পারি কারণ মা সর্বদা সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর বিশপ মহোদয় ও ফাদারগণ লুর্দের রাণী মারীয়ার মূর্তির কাছে নির্মিত ঝর্ণার জল আশীর্বাদ করলে লোকেরা তা থেকে জল গ্রহণ করেন। পাল-পুরোহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু সকলকে এই পর্বীয় খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Please follow and like us: