ফাদার সুনীল রোজারিও।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটিতে অবস্থিত সাধু পিতরের ধর্মপল্লী ও সেমিনারিতে ধর্মীয় ভাবধারায় এবং পুরো স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ ক’রে সাধু পিতরের ধর্মাসন পর্ব উদ্যাপন করা হয়েছে। সকালে প্রধান গির্জায় খ্রিস্টযাগ শুরু হয় আদিবাসী কৃষ্টি ও শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে। খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন ফাদার উইলিয়াম মুর্মু এবং তাকে সহায়তা করেন সুব্রত কস্তা এবং সুনীল ডানিয়েল রোজারিও। ফাদার মুর্মু তার উপদেশ বাণীতে বলেন, যিশুর অন্যতম শিষ্য সাধু পিতর বার বার ভুল করার পরেও তাঁর আহ্বানের প্রতি বিশ্বস্থ্য ছিলেন এবং শেষ পযর্ন্ত তাঁর বিশ্বাস সমুন্নত রেখে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। খ্রিস্টযাগের পর উপাসনায় যোগদানকারিদের মধ্যে সাধু পিতরের নামে আর্শীবাদিত বিস্কুট বিতরণ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই মূল সেমিনারি ভবনের প্রধান ফটকের সামনে “আত্মত্যাগ” নামে সেমিনারিয়ানদের দেয়াল পত্রিকার উদ্বোধন করা হয়। ফেব্রুয়ারি হলো ভাষা শহীদের মাস। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য অনেকেই আত্মত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে যাজকীয় জীবন হলো আত্মত্যাগের জীবন। নিজের স্বার্থকে ত্যাগ না করলে এই জীবনে প্রবেশ সম্ভব নয়। তাই দেয়াল পত্রিকার আত্মত্যাগ নামটি সার্থক হয়েছে। দুপুরে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ সেমিনারি চত্বরে অল্প পরিসরে বন ভোজনের আয়োজন করেন।
সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরোয়া পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলো, সাধু পিতরের জীবন নিয়ে সেমিনারিয়ানদের দ্বারা রচিত ইংরেজি নাটিকা ঠড়পধঃরড়হ বা আহ্বান নাটিকার মঞ্চায়ন। পিতর ছিলেন পেশায় মৎস্যজীবী বা জেলে। কিন্তু যিশু তাঁকে আহ্বান করে মনোনীত করেছিলেন একজন মানুষ ধরা জেলে হিসেবে। এটাই ছিলো নাটিকার উপজীব্য বিষয়। সন্ধ্যার এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আপ্যায়নে রাজশাহী সিটির ফাদার ও সিস্টারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাধু পিতরের ধর্মাসন পব উদ্যাপন
Please follow and like us: