গত ৮ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টবর্ষ লুর্দের রাণী মারীয়ার ধর্মপল্লীতে ঘটা করে উদ্যাপন করা হয় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০২১। সকাল ৮টায় নাম নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে দিনের কায়ক্রম শুরু হয়। সকাল ৯ ঘটিকায় নারী দিবসের বিশেষ খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বনপাড়া সাধু ৬ষ্ঠ পল সেমিনারীর আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার পল পিটার কস্তা। খ্রিস্টযাগ শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু অংশগ্রহণকারী নারীদের উদ্দেশ্য শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। মূলসুরের উপ সহভাগিতা করেন ফাদার পল পিটার কস্তা। অতপর হালকা জলযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। পরিশেষে, নারী দিবসে সকল নারীদের সার্বিক কল্যাণ কমনা করে ও ঈশ্বরকে আর্শীবাদ যাচনা করে নারী দিবসের র্কাক্রম শেষ করেন পাল-পুরোহিত ফাদার বিকাশ রিবেরু।

-ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

গত ১৪ মার্চ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় খ্রিস্টভক্ত জনগণ বিষয়ক কমিশন ও পবা এপি, ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে, খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে “বাইবেল ও মাণ্ডলিক শিক্ষায় নারী নেতৃত্ব এবং করণীয়” বিষয়ের আলোকে দিনব্যাপি উদ্যাপন করা হয় “আর্ন্তজাতিক নারী দিবস” ২০২১ খ্রিস্টাব্দ। এতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ৫ টি ধর্মপল্লী থেকে মোট ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। কর্মসুচির শুরুতে খ্রিস্টযাগ এবং খ্রিস্টযাগের পর র‌্যালি করা হয়। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন খ্রিস্টভক্তজনগণ বিষয়ক কমিশনের কো-অডিনেটর ফাদার বাবলু কোড়াইয়া। তিনি উপদেশে বলেন, আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সকল নারীদেরকে জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। নারী দিবস পালন করতে গিয়ে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, নর এবং নারী সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে মানব সমাজ। তাই, নারীদের অধিকার ও সমতা বজায় রাখার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেজন্যই কবি কাজি নজরুল বলেছেন, এই পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর তার অর্ধেক করেছে নর এবং তার অর্ধেক করেছে নারী। তাই তো এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ও একই সুরে বলছে, “করোনাকালে নারী নেতৃত্ব; গড়বে সমতার বিশ্ব। তাই আসুন আমারা বৈষ্যমের প্রাচীর ভেঙ্গে সমতার বিশ্ব গড়ার কাজে আত্ম-নিয়োগ করি। সকাল ১০:৪৫ মিনিটে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ ও মি: সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন এপি ম্যানাজার পবা। “বাইবেল ও মাণ্ডলিক শিক্ষায় নারী নেতৃত্ব এবং করণীয়” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ফাদার পল গমেজ। তিনি বলেন, “একজন নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিবার, সমাজ, ও মণ্ডলি পরিচালনায় আমাদের অংশগ্রহণ ও দায়িত্বপালন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমি নই আমরাই মণ্ডলি এই মতবাদে আমাদেরকে বিশ্বাসী হতে হবে এবং সমাজ কাঠামো ও মণ্ডলিকে সেই ধারণায় সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে হবে।” আলোচনা শেষে মিশন ভিত্তিক আলোচনা ও নিজ নিজ ধর্মপল্লীতে গিয়ে যেন কাজ করতে পারে সে জন্য তারা ১০টি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সবশেষে নারীদের নিয়ে খেলাধুলা ও পুরুস্কার প্রদান করা হয়। এর ব্যবস্থাপনায় ছিল পবা এপি, ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ। পরিশেষে ফাদার বাবলু কোড়াইয়া সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নারী দিবেসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
-ফাদার বাবলু কোড়াইয়া

Please follow and like us: