ফাদার প্যাট্রিক গমেজ
পরিবারঃ মা’র কাছ থেকে জেনেছি, ছ’মাসের শিশু ছিলাম যখন ১৯৫০ এর দিকে বোর্ণী এসেছিল আমার বাবা-মা, ঠাকুর মা, ঠাকুরদা।
বাবা: বাবা পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ঢাকায়ও শিক্ষকতার সাথে কাটেখিস্ট এর কাজ করেছেন। ময়মনসিংহ এলাকায় কাটেখিস্ট বা ধর্মশিক্ষক হিসাবে বাবার প্রচার-কাজ বাবার কাছ থেকেই শুনেছি। মান্দিদের কৃষ্টি-কালচারের কথাও শুনেছি। বাবার কাছ থেকে এগুলো শুনতে কেন যেন খুব ভাল লাগত, মজা লাগতো। ঢাকার নাগরীতে মিশনের ফাদারকে কেমনভাবে সাহায্য সহায়তা দিতেন, তা-ও বাবা বলতেন। প্রাইমারীর বালক! শুধু হা করে শুনতাম। তবে মনে একটা আবেগ কাজ করতো।
বাবা ছিলেন ফাদার কান্তনের নিত্য সহযোগী। ক্ষণে ক্ষণেই পিটার বাবুর্চিকে বলতেন ফাদার, ”পিতর, এদুইন মাস্তারকে একনই দাকো, একনই আসিতে বলো। কতা করিও না, একনই যাও।” আমাদে বাড়ী বোর্ণী মিশনের কাছেই । বাবা দৌড়ে আসতেন। ফাদর যা করতে বলতেন তা-ই করতেন, মিশনের কাজে যেখানে যেতে বলতেন, সেখানেই যেতেন। মাঝে মধ্যে ফাদার বকশিষ হিসাবে পাউডার দুধের টিন, রান্নার তেলের টিন দিতেন। বাবা মায়ের হাতে তুলে দিতেন। “কার্তিনা, এই যে ফাদার দিছে। হিসাব কইরা খরচ কইর।” আমরা ছিলাম খুবই গরীব! মাস্টারী করে বাবা যৎসামান্য যা পেতো তাই দিয়ে সংসার চলতো।
বাবার ধর্মীয় জীবন: গীর্জায় প্রার্থনা চালাতেন। ল্যাটিন মিসার উত্তরগুলো দিতেন এখন যা আমরা বাংলায় বলি। ল্যাটিন গান করতেন। যেহেতু মাস্টার, তাই গীর্জায় বাচ্চাদের, আমাদের কড়া নজরে দেখতেন। আমরা যেন প্রার্থনা করি, হাসাহাসি না করি, দুষ্টামী না করি। এখানে মারীয়া বাম্বিনা সিস্টার ভিনসেন্সা’র ভূমিকাও অনেক। একবার সেবক করার সময় একটু হাসাহাসি করেছিলাম। মিসার পর বাবার কান্মলা এখনো মনে আছে।
বাবা-মা পরিবারে রোজারীমালা প্রার্থনা করতেন সবাইকে নিয়ে। প্রতিদিন। বাই চান্চ একসঙ্গে কোনদিন না হলেও বা বাবা বাইরে থেকে দেরীতে আসলেও বাবাকে দেখেছি বাড়ীর উত্তরে হেটে হেটে একা একা রোজারীমালা প্রার্থনা করতে, শেষে বাবার প্রিয় গান: ”ওহে ত্রাণপতি করি এই মিনতি, পাপী বলে আমায় তেজো না।”
বাবা ছিলেন শিক্ষক। তাই তাঁর ছেলেমেয়েরা যেন সদাচরণ করে, শিস্টাচার, গুরুভক্তি, বিশপ-ফাদার-সিস্টারদের সন্মান করা, এগুলো তিনি করতেন; আমাদেরও করতে বলতেন।
আমার মা, বেশী শিক্ষিত না: ঢাকায় আমার ‘আগের মা’ বিয়ের পর বেশীদিন পৃথিবীতে থাকে নি। ঈশ্বর তাকে নিয়ে যাবার পর তিরিয়া ভক্তবাড়ীর কাথারিনা রোজারিওকে বিয়ে করলেন। মা মাত্র প্রাইমারী পাস। বাবা তৎকালের জি.টি. পাস। বোর্ণী মাকে দেখতাম সকালে ঘুম থেকে উঠে, খাবার আগে ও পরে, কোথায়ও যাবার আগে, ঘুমাবার আগে প্রার্থনা করতেন। প্রভুর প্রার্থনা, প্রণাম মারীয়া, এবং নিজে নিজে তৈরী ক্ষুদ্র একেবারে সরল-সহজ প্রার্থনা। মা বোর্ণী ‘কুমারী মারীয়ার সন্তান’ সংঘের মেম্বার এবং দুইবার সভানেত্রী ছিল। প্রত্যেকদিন মিসায় যোগদান করতো মা। আমাকেও ভোরে ডেকে মিসায় নিয়ে যেতেন। সেবক করতাম। জোলার পাড়ের সুনীল (বর্তমানে ফাদার সুনীল ডানিয়েল) ও আমি প্রতিযোগীতায় নামতাম কে আগে গিয়া মিসার সেবক করতে পারবে।

বাবা-মাকে দেখেছি: ভিক্ষুক আসলে কোনদিনই খালি হাতে ফিরিয়ে দিত না। পরিবারে কেউ অযাচিত কটু কথা বললে, মা নীরবে সহ্য করতেন। বাবা-মা ’র আন্তঃ-ধর্মীয় সম্প্রীতি ছিল প্রচুর। বড়দিনে নিকটবর্তী চাচা-চাচিদের, তাদের বাচ্চাদের পিঠা, ভাত তরকারী এবং আরো অনেক সময়ে। ওরা আমাদের চাইতেও গরিব। ওরা আমাদের বাড়ীতে অনেক কাজ করে দিত। এক মধুর সম্পর্ক!
মা ও ফাদার-সিস্টার: সিস্টার সিলভিয়া আমাদের সেবক করতে শেখাতেন। মিসার উত্তরগুলো ছিল ল্যাটিন ভাষায়। মুখস্ত করতে হত। সেবক করতে করতে মনে এক আবেগি ইচ্ছা হতঃ “আমিও যদি ফাদার কান্তনের মত মিসা উৎসর্গ করতে পারতাম! আমিও যদি গ্রামে রোগীদের কমুনিয়ন দিতে যেতে পারতাম!” সিস্টার সিলভিয়া সেবকদের প্রশ্ন করতেন: “তোমরা কে কে ফাদার হতে চাও?” আমি হাত তুলতাম সবার আগে। হাস্যকর হলেও সত্য: বাড়ীতে লুকিয়ে লুকিয়ে পুরান গামছা মাঝখান দিয়ে ছিড়ে ‘চেজুবুলের’ মতগায়ে দিয়ে মনে মনে একাই ‘ফাদারগিরি’ করতাম; বলতাম ফিসইফস করে: দমিনুস ভবস্কিুম —। একবার মায়ের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিলাম: মা বলে উঠেছিলেন: “পোলার কিত্তি দেহ!” মা ডেকে বলেছিলেন: “ফাদার অইতে অইলে পরতেক দিন গীর্জায় যাওন লাগব। প্রারথনা করতে অইব। সক্কালবেলা ওডন লাগব। দেহনা, ফাদার কান্তন, কোন ভোরবেলা হারিকেন জালাইয়া বই খুইল্লা প্রারথনা করে। সিস্টাররা লাইন কইরা আড্ডা দিয়া (হাটু দিয়ে) প্রারথনা করে। তুমি পারবা তো?। ” কোন উত্তর দেই নি। শুধু ইচ্ছাটা গাঢ় হচ্ছিল। মনে মনে বলছিলাম: চেষ্টা করলে আমিও পারুম। আর সত্যিই ভোর ঘণ্টা পড়তেই বাবা জোর গলায় বলতেন: “ওঠ প্যাট্রিক, হাতমুখ ধোও, গীর্জায় যাও।” আর আমি শীতের দিনে আলসামী লাগলেও বাবার ভয়ে উঠতাম ও গীর্জায় যেতাম। বাবা-মা-ও যেতেন। আমার না গিয়া উপায় নেই।
ফাদার কান্তন-প্রার্থনার মানুষ: ফাদার কান্তনকে দেখতাম: কি ভক্তিভরে মিসা দিতেন! ল্যাটিন ভাষা বুঝতাম না; কিন্তু তাঁর ঔপাসনিক ভক্তিময়তা আমাকে আকর্ষণ করতো দারুনভাবে ও ফাদার হওয়ার ইচ্ছাকে আরো অধিক জাগ্রত করত। ‘বড় মিসা‘র সময় ফাদার কান্তন কি সুন্দর করেই না সুর করে মিসার তিনটি প্রার্থনা, বন্দনা ল্যাটিন ভাষায় গাইতেন! কি সুন্দর করে-ইনা স্বর্গীয় সুষমায় সুমধুর সুরে শুরু করতেন: গ্লোরিয়া ইন একসেলসি দেও” জনগণ একসঙ্গে গেয়ে উঠতেন: এৎ ইন্ র্তেরা পাক্স হোমিনিবুস —- ইত্যাদি। এটি হল বর্তমানেরঃ জয় পরমেশ্বরের —। ফাদার কান্তন ও সিস্টার সিলভিয়া রোমান রীতিতে উপসনা যেমনটি হবার কথা একেবারে ঠিক সেইভাবেই করতেন। ফাদার-সিস্টারদের এমন সুন্দর মিল ছিল!
ফাদার-সিস্টার ঈশ্বরের মানুষ: বাবা মা ফাদার সিস্টারদের এমন উচ্চ পর্যায়েই দেখতেন যে, বাড়ীর কোন ফলমূল হলে তা গীর্জায় মিসার সময় নিয়ে যেতেন। বড়দিনে পিঠা-টিঠা প্রথমেই আমাকে নিয়ে যেতে বলতেন ফাদার সিস্টারদের জন্য। আর বিশপ ওবের্ট আসলে তো কথাই নাই। আমরা নিয়ে যেতাম শবজি, মুরগী, চাউল, ডিম ইত্যাদি। তখন বিশপ বোর্ণী আসা মানে বিরাট কিছু!! আমরা ড্রৃম বাজিয়ে গাইতাম: পিত, দেখ তোমায় ঘিরে কতজন; আমরা সব তোমার সন্তান!
ফাদার সজ্জি পিমে। উপদেশ দিতে ডাকতেন ফাদার কান্তন ফাদার সজ্জিকে। এ-তো সুন্দর উপদেশ দিতেন তিনি! বড়রা এবং আমরা কিশোর-যুবারা শুধু শুনতেই চাইতাম। মনে ভাবের উদয় হতোঃ আমিও যদি ফাদার হয়ে এরকম উপদেশ দিতে পারতাম!
তবে প্রশ্নের উদয়: আবার প্রশ্ন করতাম মনে মনে: “আমার শইলের চামড়া তো কালা! ফাদারগো চামড়া তো সাদা! আমি কি ফাদার অইতে পরুম? “বেনেডিকশনের সময়, সাক্রামেন্তের শোভাযাত্রার সময় ফাদার কান্তন লম্বা কাপড় (কোপ) পরেন। আমি তো বেশী লম্বা না। ফাদার অইলে তো আমাকেও পরতে হবে; তহন তো ওই কাপড় মাটিতে হেস্রাইব! তহন ????” আরো একটা প্রশ্ন: ফাদাররা তো চামুচ-কাট-িচামুচ দিয়া খায়, আমি কি পারুম? একদিকে যাজক হবার প্রবল ইচ্ছা, অন্য দিকে শিশুসুলভ নানান প্রশ্ন নিজে নিজেকেই।
মিশনে সেবাকাজ: ফাদার কান্তন ও সিস্টার সিলভিয়া মিশনে কাজ করতে আসতে বলতেন। কাজের শেষে সিস্টার আমাদের ভাঙ্গা-হোস্তিয়া খাবার জন্য দিতেন। কি খুশীই না হতাম।
সেমিনারীতে প্রবেশ : এক ঐশ পরিকল্পনার নাটক বৈকি: “বড় ফাদার” ফাদার কান্তন ছিলেন বড়ই কড়া। তবে আমাদের অনেক ভালবাসতেন। আমাদের সাইজ করেছিলেন। নৈতিক, আধ্যাত্মিক, মানবিক! সময়মত স্কুলে আসা, গীর্জায় আসা; ভালভাবে মাঠ পরিস্কার করা, নিলুজি তোলা ইত্যাদি। ফাদার ভিগানো ও ফাদার লিচিয়ার্দি’কে ভয় করতাম কম। একদিন ফাদার ভিগানো ও ফাদার লিচিয়ার্দিকে বলেই ফেল্লাম: ’আমি ফাদার হতে চাই।’ দিনাজপুর সেমিনারীতে যেতে চাই। তবে প্রথম চেনা, আহ্বানের বীজ পেয়েছিলাম সিস্টার সিলভিয়ার কাছ থেকেই। তিনিও ফাদার ভিগানোকে আমার হয়ে বললেন। ফাদার কান্তন জানতে পেরে খুব বেশী ইন্টারেস্ট দেখান নি, কারণ? কারণ হল, সেই সময় প্রফুল্লদা (বর্তমানে ফাদার ইম্মানুয়েল) বান্দুরা সেমিনারীতে, এন্ত্রু মনোরঞ্জন (মনোদা) দিনাজপুর সেমিনারীতে (ফাদার নেবুলনী রেক্টর), প্যাট্রিক-ও সেমিনারীতে গেলে তাদের বাবা-মাকে কে দেখবে? কিন্তু ভাগ্যের লিখন কে করবে খন্ডন? সেমিনারীতে যাওয়ার ইচ্ছা বাড়তেই লাগল আমার ।
ফাদার কান্তন দেশে ইটালীতে ছুটিতে! ফাদার ভিগানো ও ফাদার লিচিয়ার্দি বোর্ণীতে। ফাদার ভিগানো শর্ত দিলেন: ল্যাটিন ভাষা শিখতে হবে সেমিনারীতে যেতে হলে। বই দিলেন। প্রতিদিন ফাদারের কাছে আসতাম ল্যাটিন শিখতে। মনে পড়ে: Rosa Rosae, Dominus Domini।
এদিকে আরেক “শুভ” ঘটনা: মনো দাদা (এন্ড্রু মনোরঞ্জন) ও খ্রীস্টফার অপু দেশাই একসঙ্গেই দিনাজপুর সেমিনারী থেকে চলে আসে; কারণ দিনাজপুর মডার্ণ সিনেমা হলে ইন্ডিয়ান সিনেমা “সাগরিকা” দেখতে গিয়েছিল। এ দুজনেরই আহ্বান ছিল শিক্ষাসেবা। এ দ’ুজনকেই স্মরণে রাখবে বোর্ণীর হাজারো মানুষ, হাজারো ছাত্র-ছাত্রী।
আহ্বানে শিক্ষাগুরুবৃন্দ: প্রাইমারী পাস করে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বোর্ণী স্কুলে পড়াশোনা করেছি। সিস্টার সিলভিয়া (ইংরেজী ক্লাস), সিস্টার ভিনসেন্সা (অংক ও নাচতে শেখাতেন), পরশী দিদিমণি (বাংলা ও নৈতিক শিক্ষা; ফাদার হবার উৎসাহদাতা), সাবিনা দিদিমণি (বাংলা হস্তলিপি, শ্রুতলিপি, মৃংখলার প্রতি খুবই কড়া) এঁরা আমার শিক্ষাগুরু। প্রাইমারীতে এবং ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অমার বাবা এডুইন মাস্টার (ইংলিশ), বার্ণার্ড বিশ্বাস (অংক:পাটি গণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি), কুতুবুদ্দিীন বিএসসি (অংক) ইনারা আমার শিক্ষাগুরু এবং আরো অনেকেই। পরীক্ষায় পাস না করলে সেমিনারীতে যাওয়ার ভাগ্যই হত না, মনে হয়! বার্ণার্ড স্যারের উৎসাহ মনে থাকবে সারাজীবন।
অবশেষে সেমিনারীতে ঃ ১৯৬৫ সালে জানুয়ারী মাসে ফাদার লিচিয়ার্দি আমাকে দিনাজপুর সেমিনারীতে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসেন। রেক্টর ফাদার নেবুলনী পিমে। মাত্র একমাস পেলাম ওনাকে। এর পরেই এসএসসি পর্যন্ত রেক্টও ফাদার পল পজ্জি পিমে। ফাদার কান্তন ইটালী থেকে ফিরে আসেন। দেখেন: এন্ড্রু সেমিনারীর বাইরে, আছে বাড়ীতে। পরে নটর ডেম কলেজে। আর প্যাট্রিক দিনাজপুর সেমিনারীতে, সেমিনারীর ভিতরে। অনেক খুশী ফাদার। সেমিনারীতে এসে ফাদার কান্তনই বলেছিলেন: “বাবু সেমিনারীতে এসেছ। বালো করিবে। দুস্তামী করিবে না।”
সেন্ট ফিলিপস্ স্কুল: ১৯৬৭ সালে সেন্ট ফিলিপস্ হাইস্কুল থেকে আমরা ২৩জন এসএসসি পরীক্ষা লিখেছিলাম। সবাই পাস করেছিলাম। আশ্চর্য! প্রথমবারের মত সেই বছর মাত্র একজন প্রথম বিভাগে (First Division) পাশ করেছিল সেন্ট ফিলিপস্ হাইস্কুল থেকে। শিক্ষাগুরু পরম শ্রদ্ধেয় এডুয়ার্ড স্যার জীবিত। প্রয়াত হয়েছেন পরম শ্রদ্ধেয় আলুইসুস স্যার, পন্ডিত স্যার প্রমুখ।
পরবর্তী ধাপগুলো: নটর ডেম কলেজ, মেথিস হাইস সেমিনারী । করাচী খ্রিস্টরাজা সেমিনারী; সেন্ট যোসেফস সেমিনারী, রমনা ঢাকা ; ন্যাসনাল সেমিনারী, বনানী ঢাকা; ডিকন সেবাকাজ তুমিলিয়া, ঢাকা। ৭-১-১৯৭৯ বোর্ণী : যাজকীয় অভিষেক। বৃহত্তর দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশের যাজক।
অভিষেককারী: আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও; প্রশাসক, দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ।
প্রভুর দ্রাক্ষাক্ষেত্রে পরিবারের তিনজন:
১। বোর্ণীর সিস্টাস অব চ্যারিটি তথা মারিয়া ভাম্বিনা সিস্টারদের জীবন, দুই দাদার জীবন দেখে সর্বপরি বাবা-মার আদর্শ-উৎসাতে ছোট বোন মাগ্রেট হল সিস্টার মার্গ্রেট, এস সি; (১৯৮৭)
২। ফাদার কান্তন, ফাদার লুকাশ মারান্ডী, ফাদার ভেরপেল্লী’র সহায়তায় প্রফুল্লদা ভারতে অভিষিক্ত হলো টিওআর ফ্রান্সিকান সন্ন্যাসব্রতী যাজক হিসাবে ফাদার ইম্মানুয়েল প্রফুল্ল গমেজ টিওআর। (১৯৭৪)
৩। আর অযোগ্য আমি ফাদার প্যাট্রিক গমেজ, (১৯৭৯) বৃহত্তর দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ; বর্তমানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ)। আমার আহবানের কাহিনী বা পেচাল তো উপরেই উল্লেখ করা হল।
(একান্তই নিজস্ব, ব্যক্তিগত সহভাগিতা। ঈশ্বরের প্রতি, বাবা-মা’র প্রতি, ফাদার সিস্টারদের প্রতি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি, বিশেষ বিশেষ ভক্তজনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ আমার যাজকীয় আহবানে তাঁদেও ভূমিকা ও অবদানের জন্য)।

Please follow and like us: