পোপ ফ্রান্সিস কোভিড-১৯ বা করোনা টিকার মেধাস্বত্ত সম্পদের অধিকার পরিত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার দাবী সমর্থন করেছেন। প্রসঙ্গত: আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জোবাইডেন সম্প্রতি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকার প্রধানগণ, বিশেষভাবে জার্মানির চেন্সেলর অপ্রত্যাশিতভাবে বিরোধিতা করেছেন। করোনা টিকা সকলের জন্য, বিশেষভাবে দরিদ্রদের জন্য, সহজলভ্য করতে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গত ৮ মে ২০২১ খ্রিস্টাব্দে যে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে পোপ বলেন যে, বিশ্ব এখন “আত্মকেন্দ্রিকতার ভাইরাসে” আক্রান্ত। তিনি তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন “এই ভাইরাসের বৈকল্পিক বা একটি ভিন্নরূপ হলো বন্ধ জাতীয়তাবাদ যা আন্তর্জাতিকতাকে বাধাগ্রস্ত করে”। তিনি বলেছেন যে “এটি একটি উদাহরণ মাত্র।” পোপ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন “এই ভাইরাসের আরেকরূপ হলো ভালবাসা ও মানবতার নীতির উপর মেধাস্বত্ত ও বাজারনীতি যা এখন বিশ্বে প্রবল হয়ে উঠছে”। কোভিড-১৯ টিকার উপর ঔষধ প্রস্তুতকারক কম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায়িক পেটেন্ট বা অধিকার পরিত্যাগ করবে কিনা, এই বিতর্ক যখন চলছে তখনই পোপ তার নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন- ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশসহ প্রায় ১০০ দেশের অনুরোধ পাওয়ার পর, করোনা টিকার উপর মেধাস্বত্ত আইন পরিত্যাগের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে যে, কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-যত দ্রুত সম্ভব অধিক পরিমান টিকা প্রস্তুত করা ও বিতরণ করা। কিন্তু মেধাস্বত্ত সম্পদ পরিত্যাগ করলে ঔষধ কম্পানিগুলো এই কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিশপ জের্ভাস রোজারিও