গত ২৪ মে, সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর অর্ন্তগত বড়গাছি-কানুপাড়া গ্রামে, সাধু মার্কের কাছে উৎর্সগকৃত নব নির্মিত গির্জা ঘরের শুভ উদ্বোধন ও আর্শীবাদ অনুষ্ঠান এবং হর্স্তাপণ সাক্রামেন্ত প্রদান করা হয়। গির্জা আর্শীবাদ অনুষ্ঠানের খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তার সর্হাপিত খ্রিস্টযাগে ১৫ জন ফাদার, ৩ জন সিস্টার, ১ জন ডিকনসহ ৪০০ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন। একই দিনে ৪১ জন ছেলে-মেয়েকে হর্স্তাপণ সংস্কার প্রদান করা হয়। সান্তালি কৃষ্টিতে লোটাদাক ও নাচের মাধ্যমে বিশপ মহোদয়সহ অতিথীদের বরণ করা হয়। ফিতা কাটা ও চাবি প্রদানের মাধ্যমে গির্জার শুভ উদ্বোধন করা হয়।
গির্জা আর্শীবাদ অনুষ্ঠানে ও হর্স্তাপণ সাক্রামেন্ত প্রদান খ্রিস্টযাগে বিশপ মহোদয় উপদেশে বলেন, আমি সর্ব প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ‘প্রভাগান্ধা ফিদেকে’, যাদের অর্থায়নে আজ আমরা এ গির্জা ঘরটি পেলাম। সেই সাথে ফাদার ইম্মানুয়েল কে. রোজারিওকে কারণ, তার তত্ত্বাধানে সমস্ত কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও সকল ফাদার-সিস্টারদেরকে এবং মি: আন্তনসহ গ্রামবাসীদেরকে যাদের আত্মত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমে সম্পাপ্ত হয়েছে এই গির্জার নিমার্ণ কাজ। গির্জা নির্মিত হয়েছে বলেই যে আমরা পরিপক্ক বা খাঁটি খ্রিস্টান হয়ে গেছি, তা কিন্তু নয় বরং এই গির্জায় প্রতিদিন আমাদের বিশ^াসের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কেবল মাত্র খাঁটি-বিশ^াসী খ্রিস্টভক্ত হয়ে উঠতে পারব। আর পবিত্রাত্মা আমাদের এ কাজে পূর্ণ সহায়তা দান করবেন। তাই “আজ তোমরা যারা হর্স্তাপণ সাক্রামেন্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছ এবং এর মধ্য দিয়ে তোমরা খ্রিস্টের সৈনিক হয়ে উঠবে। কারণ, এ সাক্রামেন্ত লাভ করার মধ্য দিয়ে তোমরা পবিত্র আত্মাকেই লাভ করবে। পবিত্র আত্মা তোমাদেরকে পাপ ও শয়তানকে পরিত্যাগ করতে সাহায্য করবেন। কেননা, পবিত্র আত্মাই তোমাদেরকে মণ্ডলির ও যিশুর কথা শুনতে শক্তি, সাহস, মনোবল যুগিয়ে দিবেন।”
পরিশেষে, ধর্মপল্লীর বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা, গির্জাঘর নির্মাণ কাজে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বিশেষভাবে ‘প্রভাগান্ধা ফিদেকে’, তাদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য, পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিওকে তার সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য, ফাদার ইম্মানুয়েল ও মি: আন্তনকে সকল কাজ পরিকল্পনা অনুয়ায়ী সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য, সকল প্রাক্তন পাল-পুরোহিতদের যারা বিশেষভাবে গির্জা নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন এবং গ্রামবাসী সকলকে যাদের সার্বিক সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে, উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল ফাদার, সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে এবং সকলকে মধ্যাহ্ন ভোজের নিমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।
-রির্পোটার বরেন্দ্রদূত

Please follow and like us: