গত ৩০ মে সমগ্র বিশ্বমণ্ডলীতে পালন করা হয় ত্রি-ব্যক্তি পরমেশ্বরের মহাপর্ব। এই বিশেষ দিনে লূর্দের রাণী মা মারীয়ার ধর্মপল্লী, বনপাড়াতে ১২৩ জন ছেলে-মেয়েকে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান করা হয়। পবিত্র এই সাক্রামেন্ত গ্রহণের প্রস্তুতি স্বরূপ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ গ্রামভিত্তিক এবং মিশন প্রাঙ্গণে ফাদার ও সিস্টারগণ বিশেষ ধর্মশিক্ষা দান করেন। খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তার সাথে সহার্পণ করেন আরও ৮ জন পুরোহিত। ধর্মপল্লীতে কর্মরত সিস্টারগণসহ খ্রিস্টভক্ত এবং আত্মীয়স্বজন নিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো প্রায় চার শত জন। খ্রিস্টযাগে হস্তার্পণ গ্রহণকারী প্রার্থীদের উদ্যেশ্যে শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় বলেন যে, ‘আজ পবিত্র ত্রিত্বের পর্বের বিশেষ দিনে তোমরা সত্যিই আশির্বাদিত হয়েছ পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করে তার সৈনিক হয়ে উঠেছ বলে। হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের দেহ, মন আলোকিত হবে, তোমরা পবিত্র শক্তি সঞ্চয় করে সকল মন্দতার সাথে লড়াই করে জয়ী হবে। প্রার্থনাই হবে এই লড়ায়ে তোমাদের অস্ত্র। পবিত্র আত্মার দান তোমাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করে তুলব্ েএবং পবিত্র জীবন-যাপন করতে সাহায্য করবে। আজ হতে তোমাদের জীবন হবে অন্যদের কাছে অনুকরণীয়। শেষে তিনি সকল প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।
পবিত্র খ্রীষ্টযাগের শেষে ধর্মপল্লীর পালক-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু, বিশপ মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ দেন, এছাড়াও সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার পিউস গমেজ, প্রিন্সিপাল ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ, সকল ফাদার, সিস্টারসহ যারা বিভিন্নভাবে এই অনুষ্ঠান সফল করতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রার্থীরা বিশপ মহোদয়কে ফুলের মালা ও ফাদারদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রার্থীদের দলীয় ছবি, নাস্তা গ্রহণ এবং পুনরায় বিশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় জানানো হয়।
বনপাড়া ধর্মপল্লীতে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান
Please follow and like us: