গত ১০ জুন, ২০২১ কারিতাস বাংলাদেশ, রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে কারিতাস কর্তৃক আয়োজিত অনলাইনভিত্তিক আন্তঃস্কুল বিজ্ঞানমেলা এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন কার্যক্রম ভিডিও ফোটেজের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় অনলাইনে প্রধান অতিথির বাণী প্রদান করেন রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এসটিডি, ডিডি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বাণী প্রদান করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশনের সেক্রেটারি, ফাদার পল গমেজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেন কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা। উক্ত প্রতিযোগিতায় পাবনা, নাটোর ও রাজশাহী জেলার মিশন পরিচালিত ১০টি স্কুল হতে ৯৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ৬ ধরনের প্রজেক্ট যেমন: আধুনিক কৃষি, ভূগোল ও পরিবেশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং রসায়ন, পদার্থ ও জীব বিজ্ঞান প্রযুক্তির প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয়। অপরদিকে, প্রতিযোগিতার অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সংগীত, আবৃতি, অভিনয় ও দলীয় নৃত্য। গতকাল ১০ জুন, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে প্রতিযোগীদের নিকট হতে প্রাপ্ত ভিডিও ফোটেজ মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেয়া হবে। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেন কারিতাসের এফওয়াইটিপি প্রকল্প ও ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ।
প্রধান অতিথি পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও তাঁর অনলাইন বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল হতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষা কাজে এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে। এছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, কেউ বা কৃষি বিজ্ঞানী, নাট্যকার, সংগীত শিল্পী এমন নানা ধরনের পেশায় তারা প্রবেশ করবে পারে।
ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশনের সেক্রেটারি, রেভা. ফাদার পল গমেজ বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা এটাই প্রথমবার। আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, এসএমসি সকলেই এ প্রতিভা বিকাশের কাজে সহায়তা করেছে। এ অনলাইন প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য একটি বড় অভিজ্ঞতা ও যা পরবর্তীতে অনেক কাজে দিবে।
আঞ্চলিক পরিচালক মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা প্রতিযোগিতায় বিভিন্নভাবে সহায়তায় জন্য পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় ও ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশনের সেক্রেটারি মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হলো শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না এবং ঘরে থেকে দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। ফলে মানসিক অশান্তিতেও রয়েছে। কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা আহবান করায় সীমিত পরিসরে হলেও তারা অংশগ্রহণ করতে পারছে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ভিডিও চিত্র আমরা ডকুমেন্ট্রি তৈরী করে রাখবো যা প্রয়োজনে পরবর্তীতে তারা দেখতে পারবে।
– মি: অসীম ক্রুশ