ফা: দিলীপ এস.কস্তা

দিবস্থলীর নিভৃত পল্লীতে বেড়ে উঠা
শক্ত সুঠাম আদিবাস কিশোর কর্ণেলিউস মুরমু
চিরচেনা গ্রাম, মাঠ-প্রান্তর, খেলার সাথী ছেড়ে
আশ্রয় নেয় খ্রিস্টান পল্লী বনপাড়ার ছাত্রাবাসে
স্বাদ-স্বপ্ন-আকাংখা শিক্ষিত হওয়া ‘মারসাল তাবনের’
বর্ণমালা থেকে উচ্চ শিক্ষিত হবার দীপ্ত শপথে।

‘স্বাদ-স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিশোরটি হেঁটেছে বহুপথ
বনপাড়া থেকে সুইহারী; রমনা সেমিনারী থেকে বনানী
ধর্মযাজক হবার অপ্রাণ প্রচেষ্টা ব্রতে
জীবনের নোঙ্গঁর বেঁধেছে খ্রিস্ট বিশ্বাস-প্রেমের দহনে
অধ্যায়ন-শিক্ষা, সাধনা-তপস্যার সিঁড়ি বেয়ে
দূরন্ত কিশোরটি ‘অভিষিক্ত যাজক’ খ্রিস্ট মণ্ডলিতে,
দেশ-সমাজ-মানুষ নিকট তিনি নমস্য ফাদার কর্ণেলিউস।

দূর্বার সাহস আর প্রত্যাশায় বুক বেঁধে
ফাদার কর্ণেলিউসের পথ চলা ধর্মপল্লী থেকে ধর্মপল্লীতে,
নিজস্ব-ভাষা সংস্কৃতিতে; বিশ্বাস-বোধে তিনি সান্তাল সংস্কৃতির
উপাসনা-সংঙ্গীতের ধারক-বাধক, অগ্রপথিক সান্তাল সংস্কৃতির অঙ্গনে।

পথ চলার আনন্দময় যাত্রা পথে-হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি,
মরণঘাতক ব্যাধি ‘ক্যান্সার’ বাসা বাঁধে ফুসফুসে
চিকিৎসার সকল প্রচেষ্টা শেষ; নিজেকে সঁপে দেন পরম পিতার হাতে
‘শত সহস্র অশ্রু সচল মানুষের উপস্থিতিতে শায়িত হন
‘সারে তিন হাত’ মাটির ঘরে – সকল কাজের অবসরে।
ঘুমাও তুমি মহা ঘুমে! – হে নমস্য যাজক
আমরা জেগে আছি তোমারই অসমাপ্ত কাজ গতিশীল করার তাগিদে।

Please follow and like us: