“যেতে নাহি দিব হায়,
তবু চলে যায়।”
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, আজ ২০ আগষ্ট, রোজ শুক্রবার, বেলা ৪:৪০ মিনিটে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের যাজক ভ্রাতৃসংঘের পুষ্পবৃক্ষ থেকে ঝড়ে গেল সুভাষিত আরো একটি পুষ্প, নিভে গেল জীবন প্রদীপ। মাটির দেহ নিথর করে চলে গেলেন, পরম পিতার সমীপে চির শান্তির নীড়ে। অত্যন্ত হাস্য-রসিক. প্রাণবন্ত, বুদ্ধিদীপ্ত ও নিবেদিত প্রাণ ছিলেন প্রয়াত ফা: বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু। তিনি বেশ কয়েক মাস যাবৎ ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন ও Ashania Mission Cancer Hospital -এ চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতির জন্যে তাকে ICU-তে Life Support-এ রাখা হয়। গত ১৯ আগষ্ট Ashania Mission Cancer Hospital -এ Life Support-এ থাকা অবস্থাতেই তাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ ২০ আগষ্ট বিকাল ৪:৪০ মিনিটে এ ভব সংসার থেকে চিরতরে পাড়ি দিলেন না ফেরা দেশে পরম পিতার সান্নিধ্যে। তিনি ২৩-০২-১৯৭০ সাভার ধরেন্ডা ধর্মপল্লীর অন্তর্গত কমলাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ভাই-বোনদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ। মা-বাবার অতি আদরের সন্তান ছিলেন। তিনি ২৭-১২-২০০০ খ্রিস্টাব্দে বোর্ণী মারীয়াবাদ ধর্মপল্লীতে প্রয়াত আর্চ বিশপ পৌলিনুস কস্তা কর্তৃক যাজকপদে অভিষিক্ত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর ৫ মাস ২৮ দিন।
স্বর্গীয় ফাদারের এই মহাপ্রয়ানে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ, ফাদার সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তদের পক্ষ থেকে স্বর্গীয় ফাদারের পরিবারের পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের জানাই আন্তরিক সমবেদনা। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। ঈশ্বর যেন তার এ ভক্ত সেবককে অনন্ত বিশ্রাম ও চিরশান্তি দান করেন।
আজ রাতের মধ্যেই প্রয়াত ফাদারের মৃতদেহ বনপাড়া ধর্মপল্লীতে আনা হবে। সকাল ৯:০০ টার সময় তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করে প্রথম খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হবে বনপাড়া লুর্দের রাণী ধর্মপল্লীতে এবং খ্রিস্টযাগের পর প্রয়াত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু’র মৃতদেহ মারীয়াবাদ ধর্মপল্লী বোর্ণীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিকাল ৩:০০ টার সময় পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর, তাকে বোর্ণী মারীয়াবাদ ধর্মপল্লীর কবরস্থানে সমাধি দেয়া হবে। আপনারা যে কোন খ্রিস্টযাগে যোগদান করে ফাদারের চির বিদায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।