রাজশাহী ফ্যামিলি রোজারি মিনিস্ট্রি’ টিম এর আয়োজনে গত ২১ অক্টোবর ২০২১  খ্রিস্টাব্দ , সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে প্রায় ১৪০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে ‘পরিবারে জপমালা প্রার্থনা বিষয়ক’ একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারের মূলসুর হিসেবে নেওয়া হয় ‘এসো জপমালা প্রার্থনা করি কুমারী, মারিয়ার আদর্শে জীবন গড়ি’। ২০ তারিখ সন্ধ্যায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে কুমারী মারিয়ার মূর্তি ও প্রদীপ নিয়ে শোভাযাত্রা করে বিশেষ জপমালা প্রার্থনা করা হয়। এই সেমিনারে ৫ জন ফাদার ৩ জন সিস্টার উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থনার মধ্যদিয়ে এই সেমিনারটি শুরু করা হয়।

উক্ত সেমিনারে মূল বিষয়ের উপর উপর সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার প্যাট্রিক গমেজ। তিনি বলেন ‘রোজারিমালা প্রার্থনা আমাদের  পরিবারে খুবই প্রচলিত একটি ভক্তিমূলক প্রার্থনা যার মধ্য দিয়ে আমরা কুমারী মারিয়ার কাছে সকল চাওয়া-পাওয়া নিবেদন করতে পারি আর মা আমাদের সবার প্রার্থনাই শোনেন ও পূরণ করেন। তিনি আমাদের বিপদের সহায়তাকারিণী, দুঃখ-কষ্টে শান্তনাদায়িনী। বর্তমান বিশ্বে কঠিন এক কঠিন বাস্তবতায় কুমারী মারিয়ার কাছে যেন আমরা আরও বেশি করে রোজারিমালা করি এবং শান্তি ও একতার পরিবার গড়ে তুলি।’

অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মিসেস আগ্নেশ সরেন বলেন, আমার জীবনে কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থায় প্রার্থনার ফল পেয়েছি। জীবনের অনেক সংকটময় সময়ে আমি যখন কুমারী মারিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছি তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। তাই আমি প্রতিদিন জপমালা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কুমারী মারিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি নিবেদন করি।’

কুমারী মারিয়া সংঘের একজন মা তাঁর সহভাগিতায় বলেন, ‘কুমারী মারিয়া হলেন আমাদের সবার মা। তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের সকল নিবেদন পূর্ণ করেন আমাদের সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই আমরা যেন মায়ের প্রতি যেন আমরা আরও বিশ্বাসী হই তাঁর কাছে প্রার্থনা করি যেন  ঈশ্বরের কৃপা ও আশির্বাদ আমরা মায়ের মধ্যস্থতায় লাভ করতে পারি।’

ফ্যামিলি রোজারি মিনিস্ট্রি, রাজশাহী এর পরিচালক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন বলেন, কুমারী মারিয়া আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে চলার পথে শক্তি। প্রতিটি পরিবারের মানুষ যেন শান্তি একতা, মিলন ও ভালবাসায় বন্ধনে জীবন-যাপন করতে পারেন এবং কুমারী মারিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে একটি পবিত্র পরিবার গঠন করতে পারেন সেই অনুপ্রেরণাও শক্তি দান করে থাকেন।

সহভাগিতার পর অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাপস্বীকার সংস্কারের ও খ্রিস্টযাগের ব্যবস্থা করা। পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার প্যাট্রিক গমেজ। শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: