গত ১০-১২ ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে, বর্তমান সময়কার শিথীলতা কাটিয়ে, শিশুদের জন্য যুগোপযুগি গঠনদান প্রক্রিয়াকে আরও ফলপ্রসু করে তোলার লক্ষ্যে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পিএমএস এর পক্ষ থেকে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ২৩টি ধর্মপল্লীর শিশু মঙ্গল এনিমেটরদের নিয়ে রাজশাহী খ্রিস্ট জ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে একটি গঠনমূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় এতে ফাদার, সিস্টার, পিএমএস কমিটির সদস্য-সদস্যা ও এনিমেটরসহ মোট ৮৫ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রার্থনা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ১ম অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
মহামারি কোভিড-১৯ পরিবর্তিত বাস্তবতায় শিশুদের গঠনদান এ বিষয়ের উপর সহভাগিতা দেন, ফা: টিটু গমেজ। ১১ ডিসেম্বর, শনিবার সকালে পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে ২য় দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন ভূতাহারা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফা: সুশীল লুইস পেরেরা। তার সহার্পিত খ্রিস্টযাগে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফাদার পিউস গমেজ, ফাদার লিটন কস্তা, ফাদার শ্যামল গমেজ ও ফাদার বাবলু সি. কোড়াইয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- শিশুদের সাথে যারা কাজ করবেন তারা অবশ্যই শিশুর মন-মানসিকতা বুঝে যিশুর নির্দেশিত “শিশুদের মতো” হয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করবেন। শিশুর শিক্ষা শুরু হয় তার মা-বাবার শিক্ষা, আদর্শ ও পরিবেশ থেকে। শিশুরা নম্র, সরল আনন্দপ্রিয়, জিজ্ঞাসু, বাস্তববাদী, নব্যতা পূজারী। তাদের ধৈর্য বেশীক্ষণ এক বিষয়ে বা দিকে স্থির থাকে না, চঞ্চলতা জেগে ওঠে। শিশুরা মানুষের যত্নে ও বন্ধুতে আগ্রহী, তারা চায় নিজেদের গুরুত্ব, মর্যাদা ও স্বীকৃতি।
বিকেলে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সকল এনিমেটরসহ পিএমএস কমিটির সদস্য-সদস্যাগণ রক্ষাকারিণী মা-মারীয়ার তীর্থস্থানে যান। যাওয়ার পথে সকলেই কিছুক্ষণ পদ্মা নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। পরে রক্ষাকারিণী মা-মারীয়ার তীর্থ স্থান নবাই বটতলা যান। আসন্ন বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে অংশগ্রহণকারীগণ সাক্রামেন্তীয় আরাধনা ও পুনঃমিলন সংস্কার গ্রহণ করেন।
রাতের আহারের পর সকল ধর্মপল্লীর এনিমেটরদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন। ১২ ডিসেম্বর সকালের খ্রিস্টযাগের পর ফা: পিউস গমেজের পরিচালনায় শিশু মঙ্গল দলের জন্য ভিকারিয়া ভিত্তিক বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার