মানব পাচারে মানুষের মানবিক মর্যাদা ভূলন্ঠিত হয় এবং যারা পাচার হয়েছেন তাদের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা একান্ত প্রয়োজন বলে মানবপাচার প্রতিরোধে প্রার্থনা ও সচেতনতা দিবসে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও ৮ ফেব্রুয়ারি সমগ্র পৃথিবীতে মানবপাচার প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক প্রার্থনা ও সচেতনতা দিবস পালিত হয়। ‘তালিথা কুম বাংলাদেশ’ এবং রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় কেন্দ্রে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও, মন্সিনিয়র মার্শেল তপ্ন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সাগর কোড়াইয়াসহ অন্যান্য ফাদার, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের রাজশাহী শহরকেন্দ্রিক ধর্মপল্লী থেকে আগত সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তগণ এ দিবসের অনুষ্ঠানে অর্ধদিবসব্যাপী অংশগ্রহণ করেন।
দিবসের শুরুতেই বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া নর-নারী, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। সাধ্বী যোসেফিন বাখিতার পাচার হওয়া প্রথম জীবনের আলোকে বর্তমান বিশ্বে মানবপাচারের বিষয়টি প্রার্থনায় ওঠে আসে। এরপর রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সাগর কোড়াইয়া সাধ্বী যোসেফিন বাখিতার জীবন, প্রার্থনা ও মানবপাচারের বিষয়ে আলোচনা করেন। ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সেক্রেটারী কারিতাস রাজশাহীর কর্মকর্তা দিপক এক্কা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মানবপাচারের উপর প্রাণবন্ত কথা বলেন। দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে ‘তালিথা কুম’ আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে বিশপ জের্ভাস রোজারিও আশা ব্যক্ত করে উপস্থিত সিস্টারদের উৎসাহ প্রদান করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উপস্থিত দু’জন সিস্টার মানবপাচার প্রতিরোধে প্রার্থনা ও সচেতনতা দিবসে আলোচ্য বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সাগর কোড়াইয়া