প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব বেতার দিবস। এবছরও সারা বিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে এই দিবসটি। ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুসারে এবার হলো ১১তম বিশ্ব বেতার দিবস। আর ২০২২ খ্রিস্টাব্দের বেতার দিবসের বাণী হলো “বেতার এবং সততা” যে বাণীটি আবার তিনটি অংশে ভাগ করে বলা হয়েছে; যেমন, ১. বেতার সাংবাদিকতার উপর আস্থা: স্বাধীনভাবে উচ্চমাণের বিষয়বস্তু তৈরি; ২. আস্থা এবং প্রবেশযোগ্যতা: তোমার শ্রোতাদের যত্ন নাও; এবং ৩. ভরসা এবং বেতার কেন্দ্র টিকে থাকা: যোগ্যতা নিশ্চিতকরণ।

আজকের এই ডিজিটাল যুগের শুরুতে অনেকে ভেবেছিলেন রেডিওর ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু এখন নিশ্চিত হয়ে বলা যায়- বিশ্বে এখনও সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম হলো রেডিও। তড়িৎ গতিতে কোন বার্তা বিশ্বের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রেডিও এখনো সবার উপরে। বিশ্বের অন্যান্য মিডিয়াগুলো আজ অতি মাত্রায় কমার্শিয়াল, সে ক্ষেত্রে বেতারকে কর্মাশিয়াল হওয়ার তেমন বেশি সুযোগ নেই। বেতারের লক্ষ্য শুধু শহর নয়- পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, গ্রাম-গঞ্জ, যেখানে মানুষের বসবাস রয়েছে, বেতার সেখানেই উপস্থিত।

ইউনেস্কো অধিবেশনে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এক প্রস্তাব গ্রহণ ক’রে প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালনের পিছনের কথা হলো: জাতিসংঘের বেতার স্থাপিত হয়েছিলো ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি । ইউনেস্কোর জরিপে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে এখনো ৪৪ হাজার বেতার কেন্দ্র পুরো মাত্রায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। সেই তুলনায় টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা এখনো মাত্র ২৮ হাজার। রেডিও আবিস্কার করেছেন ইটালিয়ান বিজ্ঞানী জুলিয়েলমো মাকুর্নি, ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে। আর টেলিভিশন আবিস্কার করেছেন ২১ বছর বয়সের মার্কিন বালক ফিলো টেইলর ফার্ন্সওয়ার্থ, ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে।
বিশ্বের ডি-এক্সার ও শ্রোতাবন্ধুদের জানাই বিশ্ব বেতার দিবসের শুভেচ্ছা। নিজে বেতার শুনুন এবং অন্যকে শুনতে সাহায্য করুন।

ফাদার সুনীল রোজারিও। বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: