খ্রিষ্টফার জয় বিশ্বাস
আজ পহেলা ফাল্গুন। সেই সাথে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পালিত হচ্ছে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বা ভালোবাসা দিবস। দুই উৎসবকে ঘিরে জোড়া উৎসবের আমেজ।
উদাসী শীতের পাতা ঝড়ার দিন শেষ। বিবর্ণ প্রকৃতিতে সতেজতার ছোঁয়া। নতুন কুঁড়ির আগমনী বার্তা, মনে করিয়ে দেয়, ভাঙনের পর সবকিছু নতুন করে গড়ার।
পশ্চিমের ভ্যালেনটাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসের ধারণা এসে মিলেছে আমাদের বসন্তে। বাংলা একাডেমি পুঞ্জিকা সংশোধনের পর এখন পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে উদযাপিত হয়।
ভালোবাসার মানুষকে আরো কাছে পাওয়ার সময় এ বসন্ত। বসন্ত আসে তরুণের পোশাকে, মননে, সংগীতে। বাঁধনহারা মন এ সময় গেয়ে ওঠে, ‘মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। ‘
দ্রোহ হোক বা প্রেম, বসন্ত আমাদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে নতুন আশা। রুক্ষ শীত শেষে বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে জাগে নতুন আনন্দ। অথচ সময়টা মলিন। করোনা মহামারির একের পর এক ঢেউ আমাদের শঙ্কিত মনকে বিবর্ণ করে তুলেছে। বসন্তকে তাই আরো বেশি প্রয়োজন এখন।
এবারের বসন্ত নতুন জীবনীশক্তিতে প্রকৃতি ও প্রাণকে ভরিয়ে তুলুক। বসন্তের দোলা লাগুক বনে, মনে। উল্লসিত মন গেয়ে উঠুক, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। ‘
এদিকে, পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এক দিকে ফাল্গুনকে বরণ করে নেওয়া ও ভালোবাসার মানুষ কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। গোলাপ, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, গাদাফুল কিনতে ব্যস্ত সবাই।
পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে উৎসাহ থাকে সবারই। তেমনই সাহিন ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় বের হওয়া সম্ভব হয় না। আজকে পরিবারের সাথে ঘুরতে অনেক ভালো লাগছে।
মুবাশসিরা মহুয়া নামের আরেকজন বলেন, মানুষ করোনার কারণে দীর্ঘদিন বের হতে পারেনি। কিন্তু আজ অনেকেই ঘুরতে বের হয়েছেন। সবাই নানা রঙের শাড়ি,পাঞ্জাবি পড়ে বের হয়েছে। আর মনে হচ্ছে আজ যেন ফুলের মেলা লেগেছে। বাহারি লাগছে সবকিছু।
(কৃতজ্ঞতা স্বীকার: বাংলা একাডেমি পুঞ্জিকা সংশোধনী-২০১৯ ও যুগান্তর পত্রিকা, নিউজ ২৪)
Please follow and like us: