২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দে আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে সিনড্ বিষয়ক সেমিনারে পাল-পুরোহিত ফাদার প্রেমু রোজারিও বলেন, ধর্মপল্লীর কোন বিষয়গুলোতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে এবং কোন বিষয়গুলোতে জনগণ একসাথে পথ চলছেন না তা নিরূপণ ও কিভাবে খ্রিস্টভক্তগণ আরো সক্রিয়-প্রাণবন্ত হতে পারেন তা জানার জন্য এই সেমিনারের আয়োজন। অনেক খ্রিস্টভক্ত আছেন যারা প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছেন; মাতা মণ্ডলির স্নেহ-ভালবাসা থেকে নিজেরা নিজেদের বঞ্চিত করছেন; তাদের কাছে যাওয়ার সময় হচ্ছে এই সিনড্।

সিনড্ বিষয়ক সেমিনারে ধর্মপল্লীর ১৮টি গ্রাম থেকে প্রতিনিধি, বিসিএসএম ও ওয়াইসিএস- এর সদস্য-সদস্যাগণ অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০:৩০ মিনিটে ‘আগুণের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সিনডের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সেমিনার আরম্ভ হয়। স্বাগত বক্তব্যে ফাদার প্রেমু রোজারিও সিনড্ বিষয়ে একটি সম্যক ধারণা প্রদান ও সিনডকে কেন্দ্র করে পুণ্যপিতা ফ্রান্সিসের স্বপ্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, বর্তমান পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে; আর বদলে যাওয়া পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে মনুষত্ত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। আর পুণ্যপিতা ফ্রান্সিস সেটা অন্তরে উপলব্দি করে খ্রিস্টভক্তদের খ্রিস্টীয় পথে আনার জন্য সিনডের আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে পড়ার সুযোগ আর নেই। আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর প্রত্যেকজন ব্যক্তি যেন স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে মণ্ডলির কাজে এগিয়ে আসি। মধুমাঠ গ্রামের পিউস মুর্মু বলেন, ধর্মপল্লীকে শক্তিশালী করার জন্য গ্রামের জনগণের মধ্যে একতা ও মনোবল প্রয়োজন।

সেমিনারের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিলো সিনডের প্রশ্নের আলোকে আলোচনা ও উত্তর প্রস্তুত। অংশগ্রহণকারীগণ পরিবার ও সমাজ থেকে কিভাবে ধর্মপল্লীতে যাজকদের সহায়তা করেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সহায়তায় অংশগ্রহণ করেন না তা তুলে ধরেন। পরিশেষে, গ্রামে প্রায়শ্চিত্তকালীন কার্যক্রম সম্পর্কে পাল-পুরোহিত সবাইকে অবহিত করেন।

আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর সিনড্ বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের আলোচনায় দীক্ষাস্নাত খ্রিস্টান হিসাবে ধর্মপল্লী তথা মণ্ডলিতে দায়িত্ব পালন ও সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করেন।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফা: সাগর কোড়াইয়া

Please follow and like us: