রহনপুর ধর্মপল্লীর প্রতিপালক, কুমারী মারীয়ার স্বামী যোসেফ‘র পর্ব ও তীর্থ অনুষ্ঠান মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়েছে। পবিত্র দিনকে উপলক্ষ করে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ ৯ দিনব্যাপী খ্রিস্টযাগসহ নভেনা প্রার্থনা ও পাপস্বীকারের ব্যবস্থা করা হয়। তীর্থের আগের দিন সন্ধ্যা বেলায় সাধু যোসেফকে নিয়ে আলোর শোভাযাত্রা করা হয় সাধু যোসেফের ৪টি যাত্রাকে কেন্দ্র করে।

পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। সেই সাথে ৭ জন ফাদার উপস্থিত ছিলেন। খ্রিস্টযাগের উপদেশে বিশপ মহোদয় বলেন, যোসেফ নামের একটি মহত্ব রয়েছে। এই নামটি হচ্ছে পরিত্রাণের সহায়ক একটি নাম। বাইবেলে পুরাতন নিয়মে ইস্রায়েল জাতির লোকেরা অভাবের মধ্যে, কষ্টের মধ্যে পড়েছিল। সেই সময় তারা মিশরে দেশে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে যার কাছ থেকে খাদ্য গ্রহণ করেছে, তিনি ছিলেন যোসেফ। আর সেই হিসেবে যোসেফ ছিলেন শারীরিক খাদ্যদাতা। ঈশ্বর  নিজেই এই যোসেফ নাম দিয়েছেন, তার অর্থ হলো যোসেফ আমাদের পরিত্রাণ দিয়ে থাকেন। তখন দিয়েছিলেন মিশর দেশের ইস্রায়েল জাতির লোকদের কাছে, তেমনি পরবর্তীতে নতুন নিয়মের দাউদ বংশীয় যোসেফ তিনি মারীয়াকে গ্রহণ করেছিলেন ও যিশুর পালক পিতা হয়েছেন। যিশুকে তিনি ৩০টি বছর লালন পালন করেছেন, স্ত্রী মারীয়াকে, যিশুকে ভালোবেসেছেন। সর্বপরি তিনি আধ্যাত্মিক খাদ্য হিসেবে স্বয়ং তাঁর পুত্র যিশুকে আমাদের দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি আরো বলেন, সাধু যোসেফকে অনুসরণ করে আমরা যেন প্রত্যেকে ভাল বাবা, ভাল স্বামী হয়ে উঠতে পারি এবং সন্তানদের খ্রিস্টীয় সেই  আদর্শে মানুষ করে তুলতে পারি।

খ্রিস্টযাগের শেষে রহনপুর ধর্মপল্লীর পাল/পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার বার্নাড রোজারিও সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সবাইকে সাধু যোসেফের মধ্যস্থায় আরো বেশী করে প্রার্থ না করতে আহ্বান করেন। পর্ব ও তীর্থের এ মহা খ্রিস্টযাগে প্রায় ১০০০ মত খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সুজন গমেজ

Please follow and like us: