গত ২৮ মার্চ, ২০২২ রোজ সোমবার সাধ্বী রীতা’র ধর্মপল্লী মথুরাপুরে উদযাপিত হল-রোগী দিবস । মিশনের অন্তর্গত সকল গ্রাম থেকে আগত সকল রোগীকে নিয়ে এ দিবস পালন করা হয় এবং একই সঙ্গে ইস্টার উপলক্ষে তাদেরকে বিশেষ আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিও দেওয়া হয় । এ দিবসে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৬০ জন রোগীসহ উপস্থিত ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন, সিস্টার মেরী অর্চনা এসএমআরএ ও রিজেন্ট মাইকেল হেম্ব্রম।
এ দিন সকাল ৯:৩০ মিনিটে সহকারী পাল পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। তারপর পবিত্র বাইবেল থেকে একটি পাঠ করা হয়। পাঠের পর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত এ দিনকে নিয়ে বিশেষ সহভাগিতা ও অনুধ্যান রাখেন। তিনি শুরুতেই সকলকে ধন্যবাদ জানান সকলের উপস্থিতির জন্য এবং বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে অসুস্থ, কিন্তু তারপরও আমাদের থেকেও অনেক অসুস্থ ব্যক্তি বয়েছেন কিন্তু ঈশ্বরের দয়ায় আমরা ভাল আছি। ” তিনি রোগীদের উৎসাহ মূলক অনেক কথা বলেন যাতে তারা তাদের কষ্টগুলোকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। তিনি আরোও বলেন, “যিশু নিজেও কষ্ট নিয়ে হেঁটেছেন কিন্তু কোন সময় অভিযোগ করেননি বা বলেননি ‘আমি এত ভারী ক্রুশ নিয়ে কালভেরী পর্বতে যেতে পারব না। তাই যশু নিজেই আমাদের শিখিয়েছেন কেমন করে কষ্ট নিয়ে চলতে হয়।”
তারপর ফাদার স্বপন প্রোজেক্টরের মধ্য দিয়ে তাদের ভিডিও প্রদর্শন করেন । ভিডিওটি দেখানোর মাধ্যমে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের এটা বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে এ পৃথিবীতে তাদের চেয়েও অনেক মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে সকল রোগী অন্তরে তৃপ্তি অনুভব করেন এবং নতুন অনুপ্রেরণা লাভ করেন। শেষে রোগীদের মধ্য থেকে কয়েকজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। জগতলা গ্রামের এলিজাবেত পালমা বলেন, “ঈশ্বরের কাছে আমি নিয়মিত প্রার্থনা করি এবং আমি সুস্থ হয়েছি আর ভালও আছি।” লাউতিয়া গ্রামের আলফ্রেড গমেজ বলেন, “ আমার যতই কষ্ট হউক অন্যের কষ্ট দেখে আমার কষ্ট মনে হয় না এবং মনে হয় আমি সুস্থ আছি। তাছাড়া আজকের প্রোগামে এসে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।”
তারপর উপস্থিত সকলে পাস্বীকার সাক্রামেন্তের গ্রহণ করার পর, সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী পবিত্র খিস্টযাগ উৎসর্গ করেন । মিশা শেষে তিনি আবারও সবাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারপর শেষে সকলে টিফিন গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই দুপুর ১২:১৫ মিনিটে দিনের কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : রিচজন্ট মাইকেল হেম্ব্রম