গত ০৭ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ ভবনে যাজকবর্গের অধিবেশনের শেষ লগ্নে ফা: দিলীপ এস.কস্তা রচিত “আমার ধর্মপল্লী আমার দায়িত্ব” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও এসটিডি, ডিডি, ভিকার জেনারেল ফা: ইন্মানুয়েল কানন রোজারিও, মুন্সিনিয়র মার্সেলিউস তপ্নসহ ধর্মপ্রদেশে কর্মরত সকল ফাদারগণ। “আমার ধর্মপল্লী আমার দায়িত্ব”-বইটিতে মোট ২৫টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। কাথলিক মণ্ডলির নানাবিধ বিষয় নিয়ে প্রবন্ধগুলি রচিত। খ্রিস্টমণ্ডলিকেন্দ্রিক প্রবন্ধগুলো গোটা মণ্ডলির কথা বলেছে এবং মণ্ডলির একটি সার্বিক চিত্র বা ছবি এতে প্রতিফলিত হয়েছে। খ্রিস্টমণ্ডলির পোপীয় শাসন, খ্রিস্টীয় পরিবার, বিশ্বাস, পারিবারিক মূল্যবোধ, মণ্ডলির বিশ্বাস, বাণী প্রচারের চ্যালেঞ্জ, মণ্ডলির দয়া ও ভালবাসার কাজ, দায়বদ্ধতা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ক লেখা এতে স্থান পেয়েছে। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধর্মপল্লীর সাথে কাথলিক ধর্মবিশ্বাসীদের ঘনিষ্ঠতা থাকে। ধর্মপল্লীতে দীক্ষাস্নানের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টভক্তদের খ্রিস্টবিশ্বাসের যাত্রা শুরু হয়। অন্যদিকে, তারা খ্রিস্টীয় জীবনের যাবতীয় সংস্কারীয় শিক্ষা লাভ করে ধর্মপল্লী থেকে। পরিশেষে, তারা ধর্মপল্লীর কবরভূমিতেই মহানিদ্রায় শায়িত হয়। খ্রিস্টভক্তগণ তাদের পরিচয় গ্রহণ করে ধর্মপল্লীর নাম অনুসারেই। তারা ধর্মপল্লীর সকল ধর্মীয় সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে আহুত। সেজন্য প্রতিটি বিশ্বাসীর নিকট ধর্মপল্লী হলো নিজস্ব পরিচয়ে বেড়ে ওঠার স্থান। জীবনকে স্রষ্টামূখী করার লক্ষ্যে ধর্মপল্লী একমাত্র আশ্রয়স্থল। যার ছত্রছায়ায় খ্রিস্টবিশ্বাসীগণ আমৃত্যুকাল বেঁচে থাকে।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে  বইটির লেখক ফা: দিলীপ বলেন- সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে মূলত ৪টি প্রবন্ধ আছে। যেগুলো পালকীয় সম্মেলনে আমার উপস্থাপনার বিষয় ছিল। এছাড়াও আরো কিছু প্রবন্ধ আছে যেগুলো আগে করা হয়েছে। তাছাড়া এ বইটি আমি লিখেছি মূলত মণ্ডলির শিক্ষা মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। প্রতিটি মানুষেরই কিছু ভাল লাগার বা আনন্দের বিষয় আছে। আর আনন্দ ছাড়া কোন কাজই ভালভাবে সম্পন্ন করা যায় না। এ বই লেখার পেছনেও আমার আনন্দ আছে। আর আমি বলতে পারি আনন্দ হলো আমাদের জীবনের শক্তি। আনন্দ ছাড়া কোন সৃষ্টি হয় না।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশপ মহোদয় তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন- “আমার ধর্মপল্লী আমার দায়িত্ব” এ বইটির লেখক ফা: দিলীপ এস.কস্তাকে আমাদের ধর্মপ্রদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদ জানাই এ বইয়ের জন্য। আর এ বইটি সকলকে পড়ার জন্য অনুরোধ করি।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

 

Please follow and like us: