ধর্মপ্রদেশীয় যাজকীয় ও ব্রতধারী/ব্রতধারিনীদের জন্য কমিশনের আয়োজনে, গত ২৯ এপ্রিল ২০২২ মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে দক্ষিণ ভিকারিয়ায় কর্মরত সকল ফাদার-সিস্টারদের নিয়ে এক অর্ধ:দিবস ব্যাপি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের মূলসুর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ‘নিবেদিত জীবনে একসাথে পথ চলা’। উক্ত সেমিনারে ধর্মপ্রদেশীয় যাজকীয় ও ব্রতধারী/ব্রতধারিনীদের জন্য কমিশনের সেক্রেটারী ফাদার স্বপন মার্টিন পিউরীফিকেশন, ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী, শ্রদ্ধেয় ফাদার নিখিল গমেজ সহ মোট ৮ জন ফাদার, ১২ জন সিস্টার ও ১ জন রিজেন্ট উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০:১৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল লে-সিস্টার ফিলোমিনা পালমার পরিচালনায় উদ্ভোধনী প্রার্থনা। প্রার্থনার পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী। কর্মসূচীর শুরুতেই তিনি উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং সকলের শুভকামনা করেন। ধর্মপ্রদেশীয় যাজকীয় ও ব্রতধারী/ব্রতধারিনীদের জন্য কমিশনের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে ফাদার স্বপন বলেন-“আমরা শুধু অন্যের বক্তব্য/কথা শুধু শুনবো না, কিন্তু আমরা নিজেদের পালকীয় অভিজ্ঞতার বিষয়ে সহভাগিতা করব।”

সেমিনারের যে মূলসুর নির্ধারিত ছিল ‘নিবেদিত জীবনে একসাথে পথ চলা’ এর উপর বিশেষ উপস্থাপনা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার যোহন মিন্টু রায়। তিনি তার সহভাগিতায় বলেন- নিবেদিত জীবনে আসার জন্য তাকে দীর্ঘ তেরটি বছর সেমিনারীতে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন “ প্রকৃতিতে যেমন আছে ঋতু বদল গ্রীষ্ম-বর্ষা, শরত-হেমন্ত, শীত-বসন্ত, আর বিভিন্ন ঋতুতে রং বদলায় আমার জীবনে যেমন অন্যের জীবনেও তেমন। কিন্তু আমার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা এবং পবিত্র সাক্রামেন্তের সামনে প্রার্থনা করা”।

তারপর সকলের জন্য উন্মুক্ত আলোচনা ছিল এবং প্রত্যেকেই নিবেদিত জীবনে চলার পথের আনন্দপূর্ণ অভিজ্ঞতাগুলো সহভাগিতা করেন। সিস্টার বিমলা সোসাই পিমে, তিনি কেরালার থেকে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি গোপালপুর ধর্মপল্লীতে কাজ করছেন- তিনি বলেন “আমি এখানে সবকিছুতেই আনন্দের সাথেই একসঙ্গে পথ চলছি এবং আমার প্রতিটা দিন সুন্দরভাবে উপভোগ করছি।”

পাল-পুরোহিতের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং দুপুর ১:০০ ঘটিকায় দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে অর্ধ দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।

বরেন্দ্রদূত  রিপোর্টার: রিজেন্ট মাইকেল হেম্ব্রম

Please follow and like us: