রাজশাহী ফ্যামিলি রোজারি মিনিস্ট্রি টিম এর আয়োজনে গত ২৭ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর অর্ন্তগত পাকড়ী গ্রামে প্রায় ১৭০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে ‘পরিবারে জপমালা প্রার্থনা বিষয়ক’ একটি সেমিনার করা হয়েছে। সেমিনারের মূলসুর হিসেবে নেওয়া হয় ‘এসো জপমালা প্রার্থনা করি কুমারী, মারিয়ার আদর্শে জীবন গড়ি’। ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় গ্রামের খ্রীষ্টভক্তদের সঙ্গে কুমারী মারিয়ার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা করে জপমালা প্রার্থনা করা হয়। ২৭ তারিখ সকালে খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে সেমিনার উদ্বোধন করেন শ্রদ্ধেয় পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা।
খ্রীষ্টযাগের পরপরই শ্রদ্ধেয় ফাদার পল কস্তা মূল বিষয়ের উপর সহভাগিতা করেন। তিনি বলেন, ‘রোজারিমালা প্রার্থনা আমাদের খ্রিস্টীয় পরিবারে খুবই প্রচলিত একটি ভক্তিমূলক প্রার্থনা যার মধ্য দিয়ে আমরা কুমারী মারিয়ার কাছে সকল চাওয়া-পাওয়া নিবেদন করতে পারি । আর মা আমাদের সবার প্রার্থনাই শোনেন ও পূরণ করেন। তিনি আমাদের বিপদের সহায়তাকারিনী, দুঃখ-কষ্টে শান্তনাদায়িনী। বর্তমান বিশ্ব এক কঠিন বাস্তবতার মোকাবেলা করছে। তাই, আমরা যেন, কুমারী মারিয়ার কাছে আরও বেশি করে রোজারিমালা করি এবং শান্তি ও একতার পরিবার গড়ে তুলি।’
ফ্যামিটি রোজারি মিনিস্ট্রি টিমের পক্ষ থেকে সিস্টার মারিয়া কিস্কু বলেন, ‘আমার জীবনে কুমারী মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করে ফল পেয়েছি। জীবনের অনেক সংকটময় সময়ে আমি যখন কুমারী মায়িার কাছে সাহায্য চেয়েছি তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। তাই আমি প্রতিদিন জপমালা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কুমারী মারিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি নিবেদন করি।’
সিস্টার ক্লাউদিয়া তার সহভাগিতায় বলেন, ‘কুমারী মারিয়া হলেন আমাদের সবার মা। তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের সকল নিবেদন পূর্ণ করেন আমাদের সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই আমরা যেন মায়ের প্রতি যেন আমরা আরও বিশ্বাসী হই তাঁর কাছে প্রার্থনা করি যেন ঈশ্বরের কৃপা ও আশির্বাদ মায়ের মধ্যস্থতায় লাভ করতে পারি। প্রতিটি পরিবার যেন শান্তি একতা, মিলন ও ভালবাসায় বন্ধনে জীবনযাপন করতে পারেন এবং কুমারী মারিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে একটি পবিত্র পরিবার গঠন করতে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারেন।’
এরপর কুমারী মারিয়ার স্মৃতি চিহৃ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের রোজারিমালা ও ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়। পাল-পুরোহিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশণ