ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন

খ্রিস্টমণ্ডলিতে পবিত্র আত্মার ভূমিকা মহান। পবিত্র আত্মা হল ভালবাসা, তিনি নিজেই ব্যক্তিদান, তিনি ব্যক্তি ভালবাসা। পবিত্র আত্মা হল ঈশ্বরের ভালবাসার দান, যিনি আমাদের সঠিক পথে চলার দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন যেন আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে পারি। পবিত্র আত্মা আমাদেরকে পাপের পথ ছেড়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শক্তি দিয়ে থাকেন। আমরা জানি ও বিশ্বাস করি পবিত্র আত্মা একজন ব্যক্তি, তিনি পবিত্র আত্মা ঈশ্বর। পিতা ঈশ্বর এবং পুত্র ঈশ্বরের সঙ্গে তিনি সমান এবং তাঁদের মত তিনি অনাদি-অনন্ত। পবিত্র আত্মা হলেন পবিত্র ত্রিত্বের একজন ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলো জানেন এবং আমাদের কাছে তা প্রকাশ। পবিত্র আত্মা হল ঈশ্বরের দ্বারা উৎপন্ন সেই একতার উৎস, যিনি উৎসাহ দান করে থাকেন। তাই সাধু পল বলেন “প্রভু যিশু খ্রিস্টের অনুগ্রহ, পিতা ঈশ্বরের প্রেম ও পবিত্র আত্মার ঐক্যবদ্ধতা তোমাদের সকলকে নিত্য ঘিরে রাখুন”(২করি ১৩:১৩)। বাইবেলে বিভিন্ন নামে পবিত্র আত্মাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যিশু পবিত্র আত্মাকে বলেছেন ‘সহায়ক’ আত্মা। পবিত্র আত্মাকে বলা হয় সত্যময় আত্মা যা আমাদেরকে সত্যের পথে চলতে সাহায্য করে। আমাদের খ্রিস্টবিশ্বাসের প্রথম সংস্কার হল দীক্ষাস্নান যার গুণে খ্রিস্টমণ্ডলিতে পবিত্র আত্মা আমাদের অন্তরঙ্গ ও ব্যক্তিগত ভাবে সেই জীবন দান করেন, যার উৎপত্তি হয় পিতার মধ্যে এবং যা পুত্রের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে দান করেছেন।

আগুনের আকারে পবিত্র আত্মা: পবিত্র বাইবেলে আমরা আগুনের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বা বাণী শুনি। আর এই ‘আগুনই’ পবিত্র আত্মার বর্ণনা করার জন্যে দ্বিতীয় প্রতীক। নতুন নিয়মে প্রথমে পবিত্র আত্মাকে আগুনের সাথে তুলনা করে দীক্ষাগুরু যোহন বলেছেন, “তিনি পবিত্র আত্মা ও অগ্নিতেই অবগাহন করিয়ে তোমাদের দীক্ষাস্নাত করবেন” (লুক ৩:১৬)। প্রবক্তা এলিয় যেমন আগুন থেকে জাগ্রত হয়েছেন এবং যার কথা জলন্ত আগুনের মত যে আগুন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে কার্মেল পবর্তের সেই বলিদানে। সেই সময় দীক্ষাগুরু যোহন প্রভুর অগ্রদূত হয়ে প্রবক্তা এলিয়ের মত পবিত্র আত্মার শক্তি লাভ করে প্রভুরে আসার পথ প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি প্রচার করেন খ্রিস্ট যিনি পবিত্র আত্মা অগ্নিতে দীক্ষাস্নাত করবেন। যিশু বলেন ‘আমি এই পৃথিবীর বুকে আগুন জ্বালাতে এসেছি’(লুক ১২:৪৯)। পবিত্র আত্মা অগ্নি জিহ্বার আকারে নেমে এসেছিলেন। আর আধ্যাত্মিক জগতে আগুণের প্রতীকে পবিত্র আত্মা গুরুত্বপূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে।

মেঘ ও আলোর আকারে পবিত্র আত্মা: মেঘ ও আলো এই দুটি প্রতীক একসাথে পবিত্র আত্মাকে প্রকাশ করে। আমরা দেখি ঈশ্বর আলোর প্রতীকে বিভিন্ন প্রবক্তাদের কাছে তার মহিমা প্রকাশ করেছেন। ‘পুরাতন নিয়মে একটি অগ্নিময় মেঘ ইস্রায়েল জাতির রাতে পথ দেখিয়ে দিতো আর পবিত্র আত্মার প্রজ্ঞা দ্বারা ইস্রায়েলীয়রা পরিচালিত হতো (যাত্রা ৪০:৩৬-৩৮)। নতুন নিয়মে, পবর্তের উপরে যিশুর দিব্যরূপান্তরের সময় পবিত্র আত্মা মেঘের আকারে এসে যিশু, মোশী, এলিয়, যাকোব এবং যোহনকে আচ্ছাদিত করেছিলেন। তখন মেঘের মধ্য থেকে একটি কন্ঠস্বর ধ্বনিত হয়েছিল “ইনি আমার প্রিয় পুত্র, তোমরা এর কথা শোন” (লুক ৯:৩৫)। অবশেষে যিশুর স্বর্গারোহণের সময় একটি মেঘ যিশুকে ঢেকে দিয়েছিল, পবিত্র বাইবেলে বলা হয়ে মানবপুত্রকে একদিন মেঘ বাহনে আসতে দেখবেন। যিশুর দীক্ষাস্নানের সময়, ‘সেই রহস্যময় কবুতর অবতরণ করার সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আকাশমণ্ডল, স্বর্গলোক উন্মুক্ত হল’ (মথি ৩ঃ১৬)।

হস্ত স্পর্শের আকারে পবিত্র আত্মা: পিতা ঈশ্বর যিশুকে চিহ্নের মধ্যদিয়েই অভিষিক্ত করেছেন। কারণ এই চিহ্ন দীক্ষাস্নানের সেই পবিত্র আত্মার ফল লাভের তাৎপর্য প্রকাশ করে। এছাড়া হস্তার্পণ, যাজকাভিষেক সাক্রামেন্তে চিহ্ন অংকনের মাধ্যমে পবিত্র আত্মার সেই ঐশতাত্ত্বিক দিকগুলো প্রকাশ করে। যিশু রোগীদের সেই হস্ত স্থাপনের মাধ্যমে সুস্থ্যতা দান করেন, তিনি ছোট শিশুদের উপর হস্ত স্থাপনের মধ্য দিয়ে তাদের আশির্বাদ করেন। এছাড়া আরও বেশি লক্ষণীয় হল প্রেরিতশিষ্যগণও হস্ত স্থাপন করে পবিত্র আত্মাকে দান করেছিলেন। পবিত্র বাইবেলে, হিব্রুদের কাছে হস্ত স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। মণ্ডলি এই চিহ্ন গুলোকে সাক্রামেন্তের মধ্যদিয়ে পবিত্র আত্মাকে লাভের চিহৃ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পবিত্র আত্মাকে লাভের চিহ্ন হলো হস্তস্থাপন। প্রেরিত শিষ্যগণ বিশ্বাসীদের উপরে হাত তুলতেন (হস্তার্পণ) যেন তাদের উপরে পবিত্র আত্মা নেমে আসেন। আমরা পবিত্র বাইবেলে হাত দিয়ে আশির্বাদের বিষয়ে বিভিন্ন ঘটনা শুনতে পাই যা পবিত্র আত্মার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা দেয়।

কবুতরের আকারে পবিত্র আত্মা: কবুতরের আকারে পবিত্র আত্মার অবতরণ আমরা দেখি পবিত্র বাইবেলে। পুরাতন নিয়মে সেই নোয়ার ঘটনায়, ‘মহাপ্লাবনের পর একটি কবুতর নোয়া ছেড়ে দিয়ে পরিস্থিতি বুঝার জন্য, সেই কবুতর একটি জলপাই গাছের ডাল আনার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে পুনরায় বসবাসের চিহ্ন প্রকাশ করেন’ (আদি ৮: ১১-১২)। আবার নতুন নিয়মে দেখি, ‘যিশু যখন দীক্ষা নিয়ে জল থেকে উঠে আসছিলেন তখন সেই কবুতরের আকারে পবিত্র আত্মা যিশুর উপরে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন’ (মথি ৩:১৬)। পবিত্র আত্মা নেমে এসে দীক্ষা প্রার্থীর হৃদয় পরিশুদ্ধ করে এবং তার সঙ্গেই বাস করে। কিছু কিছু গির্জায় যেখানে সাক্রামেন্ত রাখা হয় সেই স্থানের বাইরে আকৃতি কবুতররের আকারে অংকন করা হয়। আর এই কবুতরের আকারে পবিত্র আত্মার চিহৃ প্রকাশ করা হয়।

তেল লেপনের আকারে পবিত্র আত্মা: আমাদের খ্রিস্টমণ্ডলিতে তেল লেপন দ্বারা পবিত্র আত্মাকে প্রতীক হিসেবে প্রকাশ করে। আমাদের খ্রিস্টমণ্ডলিতে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদানের সময় ক্রিজম তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেল লেপনের মধ্য দিয়ে একজন খ্রিস্টবিশ্বাসী খ্রিস্টের মতই অভিষিক্ত হয় ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা যা তাঁরই সাক্ষী হয়ে উঠতে প্রেরণা দান করে। আমরা পুরাতন নিয়মে এই অভিষিক্ত হবার বিভিন্ন ঘটনা দেখি কিন্তু যিশু ঈশ্বরের একান্ত প্রীতিভাজন হিসেবেই অভিষিক্ত হন। তিনি যে মানব দেহ ধারণ করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে পবিত্র আত্মারই শক্তিতে যে পবিত্র আত্মা তাকে খ্রিস্ট বলে অভিহিত করেছেন।পবিত্র বাইবেলে দেখি, কুমারী মারিয়া নিজেও পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভবতী হন। আর এই পবিত্র আত্মা খ্রিস্টের উপর সব সময় অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি সেই পবিত্র আত্মার শক্তিতেই নিরাময় ও পরিত্রাণের কাজ সম্পন্ন করেন এমন কি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান করেন। এই পবিত্র আত্মায় খ্রিস্টের পূর্ণতা প্রকাশিত হয়, তিনি ঈশ্বর পুত্র হয়েও সম্পূর্ণরূপে মানুষ হয়েছেন। পবিত্র বাইবেলে দেখি, প্রবক্তা, রাজা, এই তেল লেপনের মাধ্যমে অভিষিক্ত হন।

অভিষেক বা অভ্যঞ্জন মুদ্রাঙ্কনের প্রতীকে পবিত্র আত্মা : তৈল দ্বারা লেপনের প্রতীকটি স্বয়ং পবিত্র আত্মাকেই প্রকাশ করে। এই কারণে তৈল-লেপন ক্রিয়াটি পবিত্র আত্মারই নামান্তর। খ্রিস্টীয় জীবনে প্রবেশ লাভের সংস্কারে তৈল-লেপন হলো দৃঢ়ীকরণের সংস্কারীয় চিহ্ন যা প্রাচ্য মণ্ডলিগুলোতে বলা হয় ‘অভিষেক তৈল-লেপন’। অভিষেক অনুষ্ঠানে অভ্যঞ্জন বা তেল লেপন একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।পবিত্র আত্মার অভিষেকের গুণে যাজকের সেবাকাজ অনেক সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন। এই সংস্কার যে গ্রহণ করে পবিত্র আত্মার বিশেষ অনুগ্রহ তাকে খ্রিস্টের সদৃশ করে তোলে যাতে সে মণ্ডলিতে খ্রিস্টের প্রতিনিধি হয়ে সেবা কাজ করতে পারেন। পবিত্র আত্মা কর্তৃক সম্পাদিত প্রথম অভিষেক অর্থ্যাৎ যিশুর অভিষেকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। অভিষেক তেল-লেপনের কাছাকাছি অর্থবহ একটি প্রতীক হচ্ছে মুদ্রাঙ্কন।

বাতাসের আকারে পবিত্র আত্মা: পবিত্র মঙ্গলসমাচারে যিশু বলেন ‘ঈশ্বরের তার সেই নতুন সৃষ্টি কাজে বাতাসের আকারে সেই পবিত্র আত্মাকে দান করেছেন।’ তাই এটিকে একটি বাইবেলে একটি চিহৃ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ‘গ্রীক ও হিব্রু শব্দ ‘রুয়াখ’ থেকে এই প্রাণবায়ু, বাতাস ও শ্বাস শব্দটি উপত্তি হয়েছে। এই বাতাস ও শ্বাস দু-ই পবিত্র আত্মার তুলনা করা হয়েছে। প্রেরিত শিষ্যদের কার্যাবলীতে দেখি, যখন পঞ্চাশত্তমীর সেই দিনটি এলো তখন তারা এক জায়গায় সমবেত হলেন, হঠাৎ একটি ঈশ্বর বাতাস বইয়ে যাওয়ার মত শব্দ হলো সারা ঘর তার ভরে গেল, আর তারা সকলে পবিত্র আত্মা কে লাভ করলো (শিষ্যচরিত ২:১-৪)। তাহলে ‘পবিত্র আত্মা’ হল এমনই এক শক্তি যা পৃথিবীতে নতুন সৃষ্টি কাজে সহায়তা দান করে।

জিব্বার আকারে পবিত্র আত্মা: পবিত্র বাইবেলের শিষ্যচরিত গ্রন্থে আমরা দেখিপবিত্র আত্মা জিহ্বার আকারে শিষ্যদের উপর নেমে এসেছিল। পবিত্র আত্মা অগ্নি জিহ্বার আকারে তাদের প্রত্যেকের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছিল। শিষ্যচরিত গ্রন্থে বলা হয়েছে,এমন সময় হঠাৎ আকাশ থেকে শোনা গেল প্রচন্ড বাতাস বয়ে যাওয়ার মত একটা শব্দ। যে বাড়িতে তাঁরা বসে ছিলেন, সে বাড়িটি সেই শব্দে ভরে উঠল। সাধারণ ভাবে আগুন কোন লোহাকে পরিশোধন করার তাৎপর্য প্রকাশ করে। জিব্বার আকারে পবিত্র আত্মা আমাদের আলোকিত করে । এই জিহ্বা গ্রীক ভাষা ‘গ্লোসা’ থেকে এসেছে। জিহ্বার আকারে যখন পবিত্র আত্মা শিষ্যদের উপর নেমে এসেছে তখন তারা পবিত্র আত্মার শক্তিতে আলোকিত হয়ে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে শুরু করে।

জলের আকারে পবিত্র আত্মা: পবিত্র বাইবেলের ভাষায় ‘ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইস্রায়েল জাতির মধ্যে অনেকে সে পবিত্র আত্মার জন্যে অপেক্ষায় ছিল। প্রবক্তা যোয়েলের মুখে উচ্চারিত এই বাণীতে এই প্রতিজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলঃ “আমি মানুষের ওপর আমার আত্মিক শক্তি করব বর্ষণ।…. তোমাদের পুত্র-কন্যা সকলে ঐশ বাণী ঘোষণা করবে তখন (যোয়েল ৩:২-৩)” সঞ্জীবনী দিয়ে অর্থাৎ সে পবিত্র আত্মা দিয়ে তারা নবীন হয়ে উঠবে। আমরা পুরাতন নিয়মে দেখি, প্রবক্তা এজিকেয়েল বলেন, “আমি তখন তোমাদের ওপর ছিটিয়ে দেব পবিত্র জল, পবিত্র হয়ে উঠবে তোমরা” (এজেকিয়েল ৩৬:২৫)। জাতির উপরে নেমে আসবে পবিত্র জল শুদ্ধিকরণের ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এটাও পবিত্র আত্মারই কাজ। এই প্রতিজ্ঞা বাস্তবিত হয় দীক্ষাস্নানের মাধ্যমে, কেননা পবিত্র আত্মা নেমে আসেন।

আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিনকার জীবনে আত্মার অনুগ্রহ পেয়ে থাকি যা আমাদের চলার পথে সহায়ক। খ্রিস্টমণ্ডলির গোড়া থেকেই বিভিন্ন চিহ্নের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মার শক্তি খ্রিস্টবিশ্বাসীদের জীবনকে আরও শক্তিমান করে তোলেছে। মণ্ডলিতে বিভিন্ন সংস্কার গুলোতে পবিত্র আত্মার বিভিন্ন চিহ্ন প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্বয়ং পবিত্র আত্মাই যিশুর শিষ্যদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে যার ফলে তারা পৃথিবীর সবর্ত্র বাণী প্রচার করে অনেক মানুষকে খ্রিস্টবিশ্বাসে দীক্ষাস্নাত করেছেন। সেই একই শক্তি আমাদেরকে আজও বিভিন্ন প্রতীক ও চিহ্নের মধ্য দিয়ে শক্তি ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন যেন আমরা খ্রিস্টের আদর্শ শিষ্য ও শিষ্যা হিসেবে বাণী প্রচার করে সকল মানুষকে খ্রিস্ট বিশ্বাসী করে তুলতে পারি। পোপ দ্বিতীয় জন পল বলেন, “পবিত্র আত্মা হচ্ছে মঙ্গলবাণীর নব ঘোষণার প্রধান উদ্যোক্তা”।তাই আমাদের প্রত্যেক খ্রিস্টবিশ্বাসীর কাছে মণ্ডলির আহ্বান যেন আমরা পবিত্র আত্মার শক্তিকে গ্রহণ করে খ্রিস্টবাণী প্রচারের মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্য গড়ে তুলতে পারি।

সহায়ক গ্রন্থ
১। খ্রীস্তিয়া মিংঙো, এস. জে. ও সজল বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘মঙ্গলবার্তা বাইবেল’, জেভিয়ার প্রকাশনী, কলকাতা, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ।
২। স্পেজিয়ালে আরতুরো, পিমে (অনুবাদ ও সম্পাদিত) ‘অদৃশ্য শক্তিশালী ও অর্ন্তযামী পবিত্র আত্মা’ রিয়েল টার্চ, ঢাকা, ২০০০ খ্রিস্টাব্দ।
৩। কাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষা, বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মেলনী (অনুবাদ), ঢাকা, ২০০০ খ্রিস্টাব্দ।
৪। খ্রিস্টমণ্ডলির পিতৃগণের সঙ্গে ঐশবাণী-ধ্যান, সাধু বেনেডিক্ট মঠ, খুলনা, ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ।
৫. The Catholic Study Bible’The new American Bible, Oxford University Press, New York, 1990.

৬. The New Community Bible, St. Paul’s Publications, 1988.

৭. Dictionary biblical imagery, Authentic Books, Secumderbad, 2006.

Please follow and like us: