গত ১০ জুন ২০২২, মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও নয় দিন নভেনা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হল ধর্মপল্লীর প্রতিপালিকা সাধ্বী রীতা’র পর্বোৎসব। এই পর্ব উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ জের্ভাস রোজারিও ডি.ডি., বাংলাদেশ কারিতাসের নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিয়ান রোজারিও, ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী, সহকারী পালপুরোহিত ফাদার স্বপন পিউরিফিকেশনসহ ৭ জন যাজক, ১৫ জন সিস্টার, ৩ জন সেমিনারীয়ান (ব্রাদার) ও প্রায় ৯০০ জন সাধারণ খ্রিস্টভক্ত।
দিনের শুরুতেই সকাল ৮:৩০ মিনিটে পালপুরোহিত উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান, প্রথমে বিশপ মহোদ্বয় সাধ্বী রীতা’র মূর্তির প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করেন। তারপর উপস্থিত সবাই ব্লক ভিক্তিক তাদের ভক্তি ও শ্রদ্ধা সাধ্বী রীতা’র প্রতি প্রদর্শন করেন। সবার ভক্তি প্রদর্শন শেষ হলে ৯: ৩০ মিনিটে শোভাযাত্রা সহযোগে পবিত্র খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও। পর্বদিন উপলক্ষে তিনি সুন্দর উপদেশ বাণী সবার উদ্দেশ্যে রাখেন। তিনি তার উপদেশে বিশেষভাবে সিনোডাল মণ্ডলি অর্থাৎ এক সাথে যাত্রা করার বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেন। সাধু পিতর যেমন মণ্ডলির বাইরের মানুষকেও সুস্থ করেছেন তেমনি আমাদেরও সবাইকে ভালোবাসতে হবে। তিনি সাধ্বী রীতা সম্পর্কে বলেন, সাধ্বী রীতা’র দুই ছেলে যখন তার বাবার হত্যাকারীদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিল, তখন সাধ্বী রীতা বরং তার ছেলেদের মৃত্যুই কামনা করেছিলেন। যাতে তারা প্রতিশোধ নিতে না পারে। এভাবে তিনি অন্যকে ক্ষমা করেছিলেন। পর্বদিন উপলক্ষে বিস্কুট-বিশপ মহোদ্বয় আশির্বাদ করেন এবং সকলকে প্রদান করা হয়। খ্রিস্টযাগ শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির গ্রেগরী সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বিশেষভাবে এই প্রোগ্রামকে সুসম্পন্ন করতে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ১:৩০ মিনিটে দুপুরে আহারের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : মাইকেল হেম্ব্রম