জন-জীবনের কথা

ফাদার সাগর কোড়াইয়া

বাংলার আলো, বাতাস ও মাটিতেই বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তবু বাংলাদেশে অনেকেই খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবেন। এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। আবার বাংলাদেশী খ্রিস্টানরা যে বিদেশী নয় এটাও দিনের আলোর মতো সত্য। এ দেশে খ্রিস্টধর্মের আগমন ৫০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। তার আগে পূর্বপুরুষগণ হিন্দু ধর্মের অনুসারীই ছিল। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো দা গামা ভারতবর্ষে আসার পর পরবর্তীতে ফ্রান্সিসকান, ডমিনিকান ও কার্মেলাইট মিশনারীগণ এদেশে আসতে থাকেন। তাদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল বাণী প্রচার। মিশনারীগণ সফলও হয়েছেন। বাংলাদেশে পাদ্রীশিবপুর, চট্রগ্রাম, দিয়াং, ভাওয়াল ও আঠারগ্রামসহ আরো বিভিন্ন স্থানে বানিজ্য ও মিশনকেন্দ্র স্থাপন করেন। এদেশীয় নিম্নশ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ও সামাজিক অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়ে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। পরবর্তীতে আরো বহু ইতিহাস ইতিহাসের গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় খ্রিস্টানগণ বাংলাদেশে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছে তবু খ্রিস্টানদের বিদেশী তকমাটি যেন কোন মতেই খসানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের সংখ্যা খুবই সীমিত। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি মাত্র ০.০৩%। এই সংখ্যার মধ্যে বাঙ্গালী এবং বিভিন্ন আদিবাসী খ্রিস্টানগণ সংযুক্ত। বাঙ্গালীগণ অবশ্যই বাঙ্গালীর কাতারেই পড়েন। আর যারা আদিবাসী আছেন তারা আদিবাসী হিসেবে পরিচিত; তবে সবাই বাংলাদেশী এতে কোন অনিশ্চয়তা নেই। আর অন্যদিকে বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার কোন যুক্তিই খাঁটে না। কারণ, এদেশে বাঙ্গালী খ্রিস্টানদের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। আবার আদিবাসী খ্রিস্টানগণ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা নেবার আগে থেকেই যুগ যুগ ধরে এদেশে বসবাস করে আসছেন। দীক্ষা নেবার পূর্বে স্ব-স্ব বিশ্বাসে তারা বিশ্বাসী ছিলেন। তবুও বাংলাদেশের খ্রিস্টানদের বিষয়ে কিভাবে যেন বিদেশী ভাবার মনোভাব অন্যদের মধ্যে শিকড় গেঁথে আছে। বাংলাদেশে এমন অনেক জেলাই আছে যেখানে তেমনভাবে খ্রিস্টানদের বসবাস শুরু হয়নি। চাকুরীর সুবাদে হয়তো অস্থায়ীভাবে অনেকে বসবাস করেন। আবার বাংলাদেশে অন্য ধর্মাবলম্বী অনেকেই আছেন যারা খ্রিস্টানদের চাক্ষুস দেখেনি। খ্রিস্টানদের সমন্ধে তাই তাদের নানাবিধ ধারণা বিদ্যমান। আর এই নানাবিধ ধারণার মধ্যে খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার ধারণাই বুঝি সবচেয়ে বেশী প্রচলিত। আমরা যদি নিজেদের নিজেরা প্রশ্ন করি ‘কেন অন্যরা বাংলাদেশের খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবেন’ তাহলে হয়তো উত্তর আপনি বেরিয়ে আসবে।

আমি তখন ছোট। আমাদের গ্রামের একটি হিন্দু পরিবারে দূরের হিন্দু আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে এসেছে। তারা শুনেছে যে এখানে খ্রিস্টানদের বাস। আগে কখনো তারা খ্রিস্টান দেখেনি। আর তাই আমাদের বাড়িতে দূর থেকে আসা হিন্দুদের নিয়ে আসা হলো। এসে তো তাদের চক্ষু চড়কগাছ! শেষে বলেই ফেলেছেন, আরে খ্রিস্টানরা দেখছি আমাদের মতোই। শরীরের রং তো ধবধবে লাল; ফর্সা নয়। অর্থ্যাৎ টেলিভিশনে ইউরোপীয় বা বিদেশী খ্রিস্টানদের দেখে তাদের ধারণা ছিল যে, খ্রিস্টানদের শরীরের রং ধবধবে লাল ফর্সা হয়। শুধুমাত্র দূর থেকে আসা সেই হিন্দু লোকজনই নন; বরং আরো অনেকের মধ্যে খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার ধারণা বদ্ধমূল। ভারতীয় উপমহাদেশে সনাতন ধর্ম ব্যতিত অন্য প্রত্যেকটি ধর্মই বলা চলে বিদেশী। মিশনারী, ধর্মপ্রচারক, অলি-আউলিয়া, দরবেশ, সুফী, সাধকদের দ্বারা বিদেশী ধর্মগুলো এদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই উপমহাদেশের মাটিতে বিদেশী ধর্মগুলো দিনে দিনে স্বদেশী হয়ে উঠেছে। আর এটা হওয়াই স্বাভাবিক- যেহেতু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু তাই খ্রিস্টধর্ম ও খ্রিস্টানদের সম্বন্ধে সংখ্যাগুরুদের ধারণা স্বল্প। তাই, সংখ্যাগুরুদের মাঝে সংখ্যালঘুরা অনেকটা বিদেশীর মতো। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে ইউরোপীয়রা বিশেষভাবে পর্তুগীজ, ফরাসী, ওলন্দাজ, স্পেন ও ব্রিটিশরা লম্বা সময় ধরে বাণিজ্য ও পাশাপাশি মিশনারীরা খ্রিস্টবাণী প্রচার করেছে। ফলে এ দেশীয় যারা তা প্রত্যক্ষ করেছে বা ইতিহাসে পড়েছে তাদের মধ্যে এই ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, এ দেশের খ্রিস্টানরা বিদেশী একটি ধর্ম দ্বারা দীক্ষিত হয়ে বিদেশীদের মতো বা বিদেশী হয়েছে।

বাংলাদেশী প্রত্যেক খ্রিস্টানের দেশীয় নামের পাশাপাশি সাধু-সাধ্বী বা খ্রিস্টান নাম রয়েছে। আর সাধু-সাধ্বীর নামগুলো সবই এসেছে বিদেশী ভাষা-সংস্কৃতি থেকে। অনেক সময় অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে চলাফেরায় অন্যেরা সাধু-সাধ্বীর নামগুলো উচ্চারণ করতে এবং লিখতেও পারে না। তখন তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে পড়ে নামগুলো। এছাড়াও বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের নাম ও বিদেশীদের নামগুলো একই হওয়ায় তাদের কাছে নামের সাথে সাথে ব্যক্তিকেও বিদেশী ভাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে রয়েছে বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের পদবী। বিশেষভাবে যারা পর্তুগীজ মিশনারীদের দ্বারা দীক্ষা লাভ করেছে তাদেরকে পর্তুগীজদের ব্যবহৃত পদবীগুলোই দেওয়া হয়েছে। যেমন- কস্তা, রোজারিও, গমেজ, ডি’ সিলভা, পেরেরা, আলমিদা, ক্রুজ, রিবেরু, দেশাই, ডি’ সুজা, পালমা, কোড়াইয়া, পিরিচ, ছেরাও, রড্রিক্স, রেগো, পিউরীফিকেশন, টলেন্টিনো, পিনেরু, আঞ্জুস, দরেস, ম্যাথিউস, ফার্নাণ্ডেস, কৈলু। আর এই পদবীগুলো অন্য ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশীরা বিদেশী হিসেবেই জানে। অবশ্য পর্তুগীজদের আমল শেষ হলে যারা দীক্ষা লাভ করেছে তাদের পদবীগুলো একই আছে। এরপরেও কেন জানি বাংলাদেশী খ্রিস্টানদেরকে বিদেশী ভাবার মনোভাবটা অপরিবর্তনীয়। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার আগ পর্যন্ত এদেশীয় খ্রিস্টানগণ বিদেশী একটি ভাবধারার মধ্যেই বেড়ে উঠছিল। দেশীয় খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিকতা, মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা বিদেশী ভাষা-কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দ্বারা ছিল প্রভাবিত। খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হতো ল্যাটিন ভাষায়। অধিকাংশ খ্রিস্টবিশ্বাসী ল্যাটিন ভাষা না বুঝেই প্রার্থনা, প্রার্থনার উত্তর ও ধর্মীয় সংগীতে অংশগ্রহণ করত। সেই সময় যদি কেউ নিজেকে বিদেশী নাও ভাবতে চাইতো তবুও তাকে বিদেশী ভাবতেই হতো। কারণ উপাসনায় সব কিছুই ছিল বিদেশী ভাষা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার পরে দেশীয়করণের আন্দোলন বেশ জোরদার হয়। এখন অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে- কিন্তু পরিবর্তিত হয়নি বিদেশী তকমা।

এমন এক সময় গিয়েছে যখন দেশীয় যাজকদের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। দেশের অধিকাংশ ধর্মপল্লীগুলোই পরিচালিত হতো বিদেশী ফাদারদের দ্বারা। বিদেশী ফাদারদের মধ্যে কয়েকজন মাত্র নিজেদের একদম বাঙ্গালীয়ানায় রূপান্তরিত করতে পেরেছেন। বিদেশী ফাদার দেখে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, খ্রিস্টানরা বিদেশী। বিদেশী মিশনারীরা অন্য ধর্মের জনগণের সাথেও মিশেছেন। আর অন্য ধর্মের জনগণ বিদেশী ফাদারদের সাহেব বলে সন্মোধন করতো। এখনো পর্যন্ত বাঙ্গালী ফাদারদের অনেকেই সাহেব বলেই সন্মোধন করে। বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার আরেকটি কারণ হতে পারে খ্রিস্টানদের একে অপরের সাথে সন্মোধন, আচার-আচরণ ও বিয়ের অনুষ্ঠান। একে অপরের সাথে দেখা হলে অনেকেই ইংরেজী রীতি অনুযায়ী গুড মর্নিং, গুড আফটারনুন, গুড ইভিনিং, গুড নাইট বলে এবং হাতে চুম্বন করার মধ্য দিয়ে সন্মোধন ও শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে। সত্যি বলতে কি- এই রীতি-নীতি সবই বিদেশী সংস্কৃতি থেকে ধার নেওয়া। দেশীয় রীতি অনুযায়ীও সন্মোধন করা হয় তবে তা কদাচিৎ লক্ষণীয়। এছাড়াও বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিয়ের অনুষ্ঠানের অনেক কিছুই যে বিদেশী রীতিতে সম্পন্ন হয় সে সম্বন্ধে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধারণা রয়েছে। বিশেষভাবে নব দম্পত্তির পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে বিদেশী ভাবধারাই দেখা যায়। বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার ক্ষেত্রে খাবার-দাবার অন্যতম। বাংলাদেশী খ্রিস্টানরা পর্তুগীজদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পর্তুগীজদের অনেক খাবারে অভ্যস্ত; খাবারের মধ্যে বিক্কা পিঠা, বিন্দালু, আচার অন্যতম।

অনেক আগে থেকেই বাঙ্গালী খ্রিস্টান অনেকেই বিদেশী বিশেষভাবে ইউরোপীয়ানদের হাউজে চাকুরী করার সুবাদে নিজেদের আচার-আচরণ, চলাফেরা, জীবন-যাপন ও কথাবার্তায় বিদেশী মনোভাব গড়ে তুলে। এখনো পর্যন্ত অনেকেই ঢাকাসহ দেশ ও দেশের বাইরে বিদেশী হাউজে চাকুরী করে। আবার অনেক সময় সখ্যতার কারণে অনেক বিদেশী তার অধিন্যস্ত কর্মচারীদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতেও আসে। বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের মধ্যে বিদেশীদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করে অন্য ধর্মাবলম্বীরা খুব সহজেই বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিদেশীদের কাতারে ফেলে বিদেশী বলে। বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের অনেকের মধ্যেই বিদেশে যাবার আগ্রহ লক্ষ্যণীয়। বিশেষভাবে ভাওয়াল, আঠারোগ্রাম, পাবনা, নাটোর, চট্রগ্রাম, বরিশালসহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক বাঙ্গালী খ্রিস্টান দেশের বাইরে অভিবাসী হিসাবে বসবাস করে। অভিবাসী হওয়ার আগ্রহ এখনো পর্যন্ত অনেকের মধ্যে দেখা যায়। আর এই চিত্র অন্যদের মধ্যে ‘বাংলাদেশী খ্রিস্টানরা যে বিদেশী’ সে মনোভাবের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় ক্ষুদ্র হলেও শিক্ষা এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি ধর্মপল্লীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা লক্ষ্যণীয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশীদের নিয়ম-কানুন, আদব-কায়দা ও শৃঙ্খলাগুলো শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশী শিক্ষক ও চিকিৎসা কেন্দ্রে বিদেশী ডাক্তারের সেবা প্রদানের কারণে অনেকে বাংলাদেশী খ্রিস্টানদেরও বিদেশীদের কাতারে ফেলে। বাংলাদেশে অবস্থানরত খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিষয়ে অন্যদের বিদেশী ভাবতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গির্জাতে বিদেশী কৃষ্টি ও গঠন প্রণালী লক্ষ্যণীয়। প্রতি বছর বহু অন্য ধর্মাবলম্বী গির্জা তথা ধর্মপল্লী দেখতে আসে। ফলে তাদের মধ্যে গির্জার সম্বন্ধে একটি ধারণা আসে যে, গির্জাগুলো বিদেশী ভাবধারায় স্থাপিত। আর এ থেকে তাদের মধ্যে খ্রিস্টানদের বিদেশী ভাবার বিষয়টি আরো জোরদার হয়।

আসলেই কি বাংলাদেশে খ্রিস্টানরা বিদেশী! খ্রিস্টানদের বিষয়ে অন্যদের মনের কথাগুলো বিশ্লেষণ করলে এই কথাই প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে খ্রিস্টানরা বিদেশী। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে- বাংলাদেশে খ্রিস্টানরা অবশ্যই বিদেশী নয় বরং দেশী। আমরা সবাই কোন না কোনভাবে বিদেশী কৃষ্টি-সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। আর বিদেশী কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে নিজের মতো করে নিলেই যে একজন বিদেশী হয়ে উঠে সেটার কোন যুক্তি নেই। বাংলাদেশে খ্রিস্টানগণ যুগ যুগ ধরে বাস করে কেউ বাঙ্গালী আবার কেউ বাংলাদেশী হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের খ্রিস্টানদের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। তাই, বাংলাদেশী খ্রিস্টানরা কোন মতেই বিদেশী হতে পারে না। আর যারা বিদেশী ভাবে কোন মতে সেটা তাদের দোষ নয়; কারণ উল্লেখিত কারণগুলো প্রত্যক্ষ করে তাদের মনে এই ধারণা জোরদার হয়েছে যে, বাংলাদেশী খ্রিস্টানরা বিদেশী। আমাদের প্রত্যেকজন বাংলাদেশী খ্রিস্টানের দায়িত্ব অন্যদের মধ্যকার এই ধারণা পরিবর্তনের। অনেক ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারব না ঠিকই তবে কেউ যেন বাংলাদেশী খ্রিস্টানদের বিদেশী বলতে না পারে সেদিকে যতটুকু সম্ভব খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

পূর্বপ্রকাশ: সাপ্তাহিক প্রতিবেশী

Please follow and like us: