পবিত্র আত্মার আলোতে খ্রিস্টবিশ্বাসে বলবান সৈনিক হয়ে পুরনো আমিকে পরিত্যাগ করে নতুন আমিকে পরিধান করতে হবে। সামারীয় ব্যক্তি যেমন বিপদে পড়া লোকটির সাহায্যে এগিয়ে এসে প্রকৃত প্রতিবেশীর পরিচয় দিয়েছে তেমনি খ্রিস্টবিশ্বাসী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব প্রতিবেশীর বিপদে এগিয়ে যাওয়া। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর সোনাডাইং গ্রামে হস্তার্পণ সংস্কারের খ্রিস্টযাগের উপদেশে এ কথা বলেন।
গতকাল রবিবার ১০ জুলাই আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর সোনাডাইং গ্রামে ১২টি গ্রামের ৯৩ জন প্রার্থী হস্তার্পণ সংস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও খ্রিস্টযাগে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রেমু রোজারিও, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া, ৩জন সেমিনারীয়ানসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন। একমাস আগে থেকে হস্তার্পণপ্রার্থীদের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ গ্রামে ধর্মক্লাস ও পাপস্বীকারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশপ জের্ভাস রোজারিও’কে গ্রামের পক্ষ থেকে সাঁন্তালী কৃষ্টিতে দারাম নৃত্য, লোটা দা ও পা ধুইয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। খ্রিস্টযাগের উপদেশে বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী কে; তা আগে খুঁজে বের করতে হয়। আমাদের পরিবারে, গ্রামে, সমাজে, মণ্ডলিতে তথা দেশে যারা আছে তারাই আমাদের প্রতিবেশী। মঙ্গলসমাচারে বর্ণিত যিশুর দেওয়া শিক্ষানুযায়ী সামারীয় ব্যক্তির মতো আমরা যেন ভালো মানুষ হয়ে উঠি। প্রতিবেশীর প্রতি আমাদের আচরণ যেন হয়ে উঠে ভালবাসাপূর্ণ।
খ্রিস্টযাগের শেষে গ্রামের পক্ষ থেকে সুশীল মুর্মু অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রভু বিশপকে আমাদের গ্রামে পেয়ে আমরা গ্রামবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। এছাড়াও তিনি বিশপের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রার্থনার প্রতিশ্রুতি দেন। আগত গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সাঁন্তালী কৃষ্টিনুযায়ী বিশপকে দান সামাং প্রদান করা হয়। ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রেমু রোজারিও বিশপসহ সোনাডাইং ও অন্যান্য গ্রামবাসীদের সুন্দর, আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ এবং সাফল্যমন্ডিত আয়োজনের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার :ফাদার সাগর কোড়াইয়া