ফাদার সাগর কোড়াইয়া

যুব ও তরুণ বয়সে প্রেম আসবে এটাই স্বাভাবিক। একজন ছেলে বা মেয়ে আরেকজনকে ভালবাসবে, পছন্দ করবে সেখানে কোন পাপ বা ভুল নেই। কিন্তু পাপ সেখানেই যখন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার মতো মারাত্মক জঘন্য কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। সাধু ডন বস্কের উক্তিটি আমার ভালো লাগে, “দৌঁড়-লাফঝাঁপ কর, কিন্তু পাপ করো না”। যুব বা তরুণ বয়সের ধর্মই হচ্ছে ছোটাছুটি করা। সব কিছু ভেঙ্গে নতুন করে গড়ে তোলা। কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করা। একজন বৃদ্ধ বা মধ্য বয়স্ক যা করতে পারে না তা তরুণ ও যুবরাই করে দিতে পারে। অনেকে আবার তরুণ ও যুবদের শুধু নেতিবাচক হিসাবেই দেখে; কিন্তু একবারো নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে সে নিজেও এক সময় এই বয়সটাকে অতিক্রম করে এসেছে। হয়তো সেই বয়সে তার অনেক কিছু দেবার ছিল কিন্তু কিছুই দিতে পারেনি। আর যখনই যুব ও তরুণরা সমাজ থেকে ভয়ংকর ধ্বংসকারী নেতিবাচক দিকগুলোকে ঝাঁটিয়ে বিদায় করতে চায় তখনই সমস্যা। বড়দের ঝাঁঝালো কথা শুনতে হয়। রবি ঠাকুরের কথা ধার করে বলা যায়, এই বয়সটাকে যেন অকালপক্ক ও অকাল অপরিক্কতার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

যুব ও তরুণ বয়সে প্রত্যেকেই জীবনের এমন একটা সময় অতিবাহিত করতে হয় যখন কোন কিছুকেই ভালো লাগে না। মনে হয়, তাকে কেউ ভালোবাসে না। তার কথা কেউ শোনে না, বুঝে না। পিতা-মাতা, অভিভাবকরা সব সময় ধমকের সুরে কথা বলে। যুব ও তরুণদের মধ্যে এমনটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এই বয়সে তারা বয়সের একটি অবস্থা অতিবাহিত করে আরেকটি অবস্থার মধ্যে পা দেয়। আর তখন নতুন কিছুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের কষ্ট হয়। নানাবিধ স্বপ্নরা এসে হানা দেয় যেমন চোখে তেমনি অন্তরে। এই সময়টাকেই বলা হয়, যুব ও তরুণদের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এই সময়ে সুষ্ঠু গঠন লাভ করে হয় তারা জীবনকে সাজাবে না হয় জীবনকে অন্ধকারে ফেলে দিবে। কয়েক বছর যাবৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে “তরুণদের গ্যাং” এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তরুণরা মিলে বিভিন্ন নামে তাদের দলকে পরিচালিত করত। হেন কোন কাজ নেই যে তারা করে না। স্কুলে পড়াকালীন সময়েই তারা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। এক গ্রুপের সাথে আরেক গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া প্রায়ই লেগে থাকতো। খুন-খারাপির মতো ঘটনাও ঘটে কয়েকবার। যে বয়সে তরুণদের পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কথা সেই বয়সে এ রকম গ্যাং দলের সাথে জড়িত হওয়া সুখকর কোন বিষয় নয়। তরুণদের এই গ্যাং গঠন নতুন কোন বিষয় নয়। অনেক আগেই বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলে স্কুলের অনেক তরুণরাই বন্ধুদের নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় হুমকী-ধামকি, মারধোর ও পেশীবল দেখানোর মতো কাজে লিপ্ত হতে দেখা যেতো। এখন যে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে তা নয় বরং বড় ভাইদের সাথে ঘোরাফেরা করে নিজের বাহুশক্তি প্রদর্শনের সংস্কৃতি যেন দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সামাজিক ও পারিবারিক সাহায্য যুব ও তরুণদের জন্য অনস্বীকার্য। পিতা-মাতা ও অভিভাবককে অবশ্যই নিজের যুব ও তরুণ বয়সের সন্তানদের সাথে খোলামেলাভাবে মিশতে হবে। বুঝতে হবে সন্তান কি চায়! অবশ্যই সন্তানের সব অন্যায্য চাহিদা পূরণ নয় বরং যেটা দরকারী সেটাকেই পূরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

কয়েক বছর ধরে একজন যুবকের সাথে কথা বলেছি। প্রথম যেদিন সে কথা বলা শুরু করেছিলো তখন সে ছিল একজন তরুণ। তরুণ বয়সে যুবকটি বলতো, দূর কিছুই ভালো লাগে না। সব কিছু কেমন জানি একঘেঁয়েমিতে ভরা লাগে। আমি তখন তাকে একঘেঁয়েমি লাগার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলাম। যুবকটি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। আমি শুধু যুবকটির তরুণ বয়সের কথা শুনতাম। যতটুকু সাহায্য করতে পারি করেছি। তরুণ বয়সে যুবকটির ক্রিকেটার হবার স্বপ্ন ছিল। আর সে খেলতোও বেশ। তরুণ বয়সেই সে একটি মেয়েকে ভালবাসতো। মেয়েটিও তাই। কিন্তু কেন যেন ওদের মধ্যে ব্রেকাপ হয়ে যায়। আর সে কষ্ট সে সহ্য করতে পারেনি। নেশার দিকে ঝুঁকতে ইচ্ছা করেছিল ওর। যাক- অবশেষে ঝুঁকেনি। নিজেকে সংযত করেছে। আর তরুণ বয়সের যে প্রেম নামক পাগলামী ওর মাথায় এসেছিল তার জন্য ও লজ্জ্বিত এখন। যদিও এখন ও আরেকটি মেয়েকে ভালবাসে। তবে এখন ও বুঝে আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কিছু করা ঠিক না। আবেগ যুব-তরুণদের থাকবে তবে আবেগ দিয়েই যেন সবকিছু পরিচালিত না হয়।

তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন আশংকাজনক হারে শুধু বাড়ছে। প্রেমজনিত ঘটনাই আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্য কারণও থাকতে পারে। তবে সেগুলো কম। এই কয়েক বছরে খ্রিস্টান তরুণ ও যুবদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা হুমকীস্বরূপ। তুচ্ছ কারণেই তরুণ ও যুবরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। ঝুঁলে পড়ছে ঘরের ফ্যানের সাথে নয়তো বিষের পেয়ালাতে ঠোঁট ঠেকিয়ে এ যেন হেমলক পান। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, ফ্যান ও বিষে কেন ভেজাল মিশ্রিত হয় না! যেদিন দেখবো ফ্যানে ঝুললে ফ্যান খসে পড়ছে। আর বিষ খেলেও কেউ মরছে না। আর এই পরিস্থিতি যেদিন হবে সেদিন আর কেউ আত্মহত্যার দিকে যাবে না। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণার বদলে জীবনের প্রতি তরুণ-যুবদের ভালোবাসাকে বাড়িয়ে তুলা প্রয়োজন। একদিন মণ্ডলির নেতা-নেত্রীদের এক সেমিনারে একজন নেতা তার অভিমত ব্যক্ত করে বলছিলেন, খ্রিস্টান যুবক-যুবতীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দূর করার এখনই সময়; নয়তো ভবিষ্যত ভয়াবহ।

বড়দের একটি অনুরোধ- তরুণ-যুবরা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। কে না ভুল করে। আমি, আপনি, আমরা কি তরুণ ও যুব বয়সে এই রকম ভুল করিনি? নিজেদের তাদের স্থানে বসিয়ে দেখি। হয়তো আমরা ওদের চেয়ে আরো বড় ভুল করেছি। তবে ভুলের সংশোধন দিতে গিয়ে যেন তরুণ-যুবদের বিষিয়ে না তুলি। এমন কোন শাস্তি যেন তাদের প্রতি প্রয়োগ না করি যা ওদেরকে খাঁটো করে। যদি কারো দায়িত্বে কোন তরুণ-যুবরা গঠনের জন্য থাকে তাহলে তাদের যেন ভালবাসাপূর্ণ সংশোধন দিই। পিতা-মাতার সামনে যেন ওদের ও পিতা-মাতাদের অপমাণিত না করি। আর যদি তা করি তাহলে তরুণ-যুবদের মুখে যেন আমরাই বিষের পেয়ালা স্বহস্তে তুলি দিচ্ছি। সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের সেই ছাত্রীর কথা সবার স্মরণে আনা উচিত। আবার আরেকদিকে একটি চিত্র বেশ আশংকাজনক বলে আমার মনে হয়। যুবদের ব্যবহার করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার প্রবণতা অনেকের আচরণে বেশ স্পষ্ট। ক্রেডিটের ডিসক্রেডিটের সাথে যুবদের হাতের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মদ নামক অমৃত সুধায় যুবদের ঝিম ধরিয়ে মাদলের তালে ওদের নাচাতে কারো কুণ্ঠাবোধ হয় না বলেই চিত্রগুলো সাক্ষ্য দেয়। তারপরও বলবো, যুবরা এখনো পরাশক্তি! এটাই স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, যুবরা যেদিকে সেদিকের পাল্লাই ভারি। তবে ভাববার অনেক বিষয় রয়েছে। যাদের মনে যুবদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহারের চিন্তা তাদের মুখে ফুলচন্দনের বদলে অন্য কিছু পড়ুক।

ক্যাথলিক মণ্ডলি যুবদের বিষয়ে অনেক আগে থেকেই ভাবে। কারণ যিশুখ্রিস্ট নিজেই যুবক ছিলেন। ২য় ভাটিকান মহাসভা ক্যাথলিক মণ্ডলিকে আরো যুগোপযোগী করে গড়তে ও পরিচালনায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। ২য় ভাটিকান মহাসভা অনুষ্ঠিত হবার পরই মণ্ডলির মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। ২য় ভাটিকান মহাসভা যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিশ্বাস ও দয়ার দৃঢ়তাকে আরো প্রবল করার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং চেয়েছেন যাতে যুবরা যিশুর আলোয় আলোকিত হয়ে মণ্ডলির কাজে এগিয়ে আসে। এই মহাসভা যুবদের ভাই-বোন বলে সন্মোধন করেছেন। ২য় ভাটিকান মহাসভা যুবদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যুবরা তোমরাই তোমাদের বয়োজেষ্ঠ্যদের হাত থেকে মশাল গ্রহণ করবে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাপক পরিবর্তনের এমন এক যুগে বাস করবে যা পূর্বে কোন সময়ই বাস্তবরূপ লাভ করেনি। তোমাদের পিতা-মাতা ও তোমাদের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের শিক্ষার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ গ্রহণ করে তোমরাই আগামী দিনের সমাজ গড়বে। তোমরা হয় তোমাদের নিজেদের বাঁচাবে, আর না হয় সমাজের সাথে ধ্বংস হয়ে যাবে। মণ্ডলি যেন তার প্রতিষ্ঠাতা মহান, জীবন্ত ও চিরযুবক খ্রিস্টের পরিকল্পনায় সাড়া দিতে পারে তাই নিজের ভাবমূর্তিকে পুনর্নব করে তোলার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জীবন পুর্নমূল্যায়ন  আরোপের এই ক্ষণে সে এখন তোমাদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। যুবক-যুবতী ভাই-বোনেরা, তোমাদের জন্য, বিশেষভাব তোমাদেরই জন্য মণ্ডলি তার মহাসভার মধ্য দিয়ে এখন তোমাদের আলো জ্বালাতে এগিয়ে এসেছে, যে আলো তোমাদের ভবিষ্যতকে আলোকিত করে তুলবে। মণ্ডলি খুবই চিন্তিত যেন তোমরা যে সমাজ গড়তে যাচ্ছ তা প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা, স্বাধীনতা ও অধিকারকে শ্রদ্ধা করে চলে। এই ব্যক্তি হলে তোমরা নিজেরাই। মণ্ডলি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যেন সমাজ তার চির প্রাচীন ও চির নতুন সম্পদ, তথা বিশ্বাস অবাধে বিস্তারে সুযোগ দেয় এবং তোমাদের আত্মা যেন বিশ্বাসের সাহায্যকারী আলোয় স্বাচ্ছন্দে আনন্দ ভোগ করে। তার দৃঢ় বিশ্বাস আছে তোমরা এমন শক্তি ও এমন আনন্দ খুঁজে পাবে যে স্বার্থপর বা আনন্দবাদী দার্শনিক মতবাদ অথবা হতাশা ও ধ্বংসের বিপথগামী প্ররোচনার কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে প্রলুব্ধ হবে না, যেভাবে প্রলুব্ধ হয়েছিল তোমাদের কিছুসংখ্যক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা এবং নিরীশ্বরবাদ। দুর্বল ও বৃদ্ধ বয়সের মুখোমুখি হয়ে তোমরা জানবে জীবনে ও যা কিছু জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে তাতে কিভাবে তোমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, অর্থ্যাৎ ন্যায়বান ও মঙ্গলময় ঈশ্বরের উপস্থিতির নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা করা যায়। মঙ্গলময় ঈশ্বর ও তাঁর পুত্র যিশুর নামে পৃথিবীর সকল বিষয়ের দিকে তোমাদের অন্তর খুলে দিতে তোমাদের ভাই-বোনদের অনুরোধের প্রতি মনোযোগ দিতে ও তোমাদের তারুণ্যের শক্তি তাদের সেবায় নিয়োজিত করতে আমরা তোমাদের উৎসাহিত করছি। সব রকম অহংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাও। সহিংসা ও ঘৃণার প্রবৃত্তির দিকে অবাধ পশ্চাদ্ধাবন প্রত্যাখান কর, তা থেকেই জন্ম নেয় যুদ্ধ ও তার ফলশ্রুতি হিসাবে যত দুর্দশা। উদার, পবিত্র, সশ্রদ্ধ ও অকপট হও এবং উৎসাহ নিয়ে তোমাদের প্রবীণদের চেয়ে আরও ভাল একটা বিশ্ব গড়ে তোল। মণ্ডলি ভালবাসা ও আস্থা নিয়ে তোমাদের দিকে চেয়ে আছে। সুদীর্ঘ অতীতের চিরজীবন্ত সমৃদ্ধি নিয়ে এবং ইতিহাস ও জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও অবিলম্বে মানবীয় পূর্ণতা অর্জনের দিকে অগ্রসর হয়ে মণ্ডলি বিশ্বের প্রকৃত যুবকের পরিচয় দিচ্ছে। যা কিছু যৌবনের শক্তি ও সৌন্দর্য গড়ে তোলে মণ্ডলির তা আছে। অন্য কথায়, যা শুরু হচ্ছে তা নিয়ে আনন্দ করার, অকপটভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার, নিজেকে নবায়ন করার ও নতুন জয়যাত্রায় পুনরায় এগিয়ে যাবার ক্ষমতা তার রয়েছে। মণ্ডলির দিকে তাকাও, আর তোমরা দেখতে পাবে তার মধ্যে খ্রিস্টের মুখচ্ছবি, যিনি অকৃত্রিম, বিনম্র, জ্ঞানী বীরপুরুষ, সত্য ও প্রেমের প্রবক্তা, যুবক-যুবতীদের সঙ্গী ও বন্ধু”।

স্মার্টফোন কি আসলেই আমাদের স্মার্ট করে তুলছে! স্মার্টফোন থাকা ও এতে কাজ করা দুটোই ভালো তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। কারণ মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মন ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যেই ক্ষতিকর। কেন যেন তরুণ ও যুবদের এই বদনামটা ঘুচছে না। সামাজিকতা বলতে একটি বিষয় রয়েছে যা জানা তরুণ ও যুবদের অতীব জরুরী। অনলাইনে পাবজি, ফ্রি-ফায়ার গেম, ফেসবুক আসক্তি নামক নেশাগুলো কেন যেন তরুণ ও যুবদের দিনে দিনে গ্রাস করে নিচ্ছে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে পুণ্যপিতা ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরে নটর ডেম কলেজে যুব সমাবেশে বলা কথা দিয়ে শেষ করবো, “যুবরা তোমরা আধুনিক ডিভাইসে সময় নষ্ট করো না, বরং বয়োজেষ্ঠ্যদের কাছে যাও, তাদের সময় দাও ও জ্ঞান অর্জন করো”।

Please follow and like us: