গত ১০ নভেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্র রাজশাহীতে ধর্মপ্রদেশীয় শিশুমঙ্গলের শিশুদের ও এনিমেটরদের জন্য সেমিনার ও কর্মশালা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ফাদার, সিস্টার, এনিমেটরগণ ও শিশুসহ মোট ১৫৫ জন অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় ফাদার প্রেমু রোজারিও (চ্যান্সেলর রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ), ফাদার লিটন কস্তা, ফাদার পিউস গমেজ (ধর্মপ্রদেশীয় পিএমএসর পরিচালক) এবং খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বাবলু কোড়াইয়া। উদ্বোধনী নৃত্য ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে উক্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়। অত.পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন ফাদারগণ, সিস্টার লুসি কস্তা এবং তিন ভিকারিয়া থেকে একজন করে শিশু প্রতিনিধি।

উক্ত অধিবেশনে মূলভাবকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফাদার বাবলু কোড়াইয়া, ফাদার লিটন কস্তা, ফাদার পিউস গমেজ এবং ফাদার প্রেমু রোজারিও (চ্যান্সেলরস্)। ফাদার প্রেমু রোজারিও শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, সব ফুলের গন্ধ যেমন এক নয় তেমনি সকল শিশুর গুণাবলীও এক নয়। তিনি আরও বলেন, যিশু যে কাজ করেছেন এখনো পোপ মহোদয়, বিশপগণ, ফাদারগণ, সিস্টারগণ ও এনিমেটরগণ সেই কাজ করছেন। শিশুরা যেন যিশুর মত ভাল ছেলে-মেয়ে বেড়ে উঠতে পারে। বক্তব্যর শেষে তিনি বিশপের পক্ষে উক্ত কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

পালকীয় সেবাকেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বাবলু কোড়াইয়া তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন,  একজন শিশুর প্রাণ চাঞ্চল্যই হলো তার শিশুসুলভ সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম প্রকাশ। তাই, শিশুদেরকে শিশুসুলভ নম্রতা, ভালবাসা নিয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে হবে । কেননা, শিশুরাই পারে শিশুদের সাহায্য করতে। আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের শিশুদের যত্ন নেই এবং যিশুর মত করে শিশুদেরকে ভালবাসি।

ফাদার লিটন তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন- শিশুরা সহজ-সরল। শিশুরা সহজে শিশুদের সাথে মিশতে পারে। অন্যকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে পারে। যা বড়দের ক্ষেত্রে একটু কঠিন হয়। তাই, তিনি আনন্দ মনে সবাইকে গ্রহণ করার কথা বলেন। এর মাধ্যমে তিনি মিলন, অংশ্রগ্রহণ ও প্রেরণের আদর্শ তুলে ধরেন।

ফাদার পিউস গমেজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন- সহভাগিতা আমাদের সকলকে সমৃদ্ধ করে। শিশুদের মধ্যে যে সৃজনশীলতা রয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।

১১ নভেম্বর সকালের অধিবেশনের সেশন পরিচালনা করেন মিঃ সেবাষ্টিয়ান পিউরী, ওয়ার্ল্ড ভিশন, পবা। “শিশু অধিকার” এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উক্ত দিনের সেশন শুরু করেন। শিশু সুরক্ষার প্রতি তিনি বেশি জোর দেন এবং ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা ও শিশু নির্যাতন এর পার্থক্য দেখানো হয়। মিঃ চন্দন রোজারিও ‘গু ষরভব সু ারংরড়হ’ একটি বইয়ের কথা বলেন এবং শিশুদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক পরামর্শ দান করেন।

ফাদার প্যাট্রিক গমেজ মূলত “ধর্ম শিক্ষা, পবিত্র বাইবেল, উপাসনা’ বিষয়গুলো কী ভাবে শিশুদেরকে সুন্দর ও অর্থপূর্ণভাবে শিখাতে হবে সেই বিষয়ে খুব সুন্দরভাবে তার সহভাগিতায় তুলে ধরেন।

সেমিনারর শেষদিনে অংশগ্রহণকারীদের সকল শিশুদেরে এমনিমেটরদেরকে ক্ষ্রদ্র ক্ষ্রদ্র উপহার প্রদান করা হয় এবং সকল এনিমেটরদেরকে আহবান জানানো হয়। যেন নিজ নিজ ধর্মতাপল্রালীতে ফিরে গিয়ে তাদের কার্য়ক্রমকে আরো ব্যাগবান করেন।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: