গত ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে স্নেহনীড়ে প্রতিবন্ধী ভাইবোনদের নিয়ে উদযাপন করা হয় প্রাক্ বড়দিন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন ফাদার সুনীল ডানিয়েল রোজারিও, ফাদার বাবলু কোড়াইয়া, শান্তিরাণী সম্প্রদায়ের সুপিরিয়র সিস্টার বীনাসহ তাদের কাউন্সিলরগণ এবং প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের বাবা ও মা এবং অভিভাবকবৃন্দ। কর্মসূচীর স্নেহনীড়ের পরিচালিকা সিস্টার দীপিকা পালমা অভিভাবকবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করেন এবং ফলাফল প্রদান করেন এবং বড়দিনের গান ও কীর্তন গান কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রাক্ বড়দিন আনন্দ সহভাগিতা করেন।
স্নেহনীড়ের পরিচালিকা শ্রদ্ধেয়া সি: দীপিকা পালমা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ আমরা সত্যিই অত্যন্ত আনন্দিত। কেননা, আমাদের এই স্নেহনীড় প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে যারা কথা বলতে পারে না, চোখে দেখতে পায় না, কানে শুনে না তাদেরকে নিয়ে আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করেছি। এখানে মোট ১৬ জন ছেলেমেয়ে আছে। এখানে যারা লেখাপড়া করছে, তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আজকে আমরা একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করছি। এজন্য ছেলেমেয়ে অভিভাবকগণসহ আমরা সকলেও অনেক খুশী।
রেডিও জ্যোতি’র পরিচালক ফা: সুনীল রোজারিও সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন– প্রতিবন্ধী স্কুল রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে বেশকিছু ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা প্রতিবন্ধী এবং তাদেরকে তাদের সামর্থ অনুসারে শিক্ষা দেওয়া হয়। স্কুলটি পরিচালনা করছেন শান্তি রাণী সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ। প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেরা যেন ভবিষ্যতে যার যার সামর্থ অনুসারে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এখানে সেই ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। আজকে আমরা তাদের সঙ্গে প্রাক্ বড়দিন অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পেরে সত্যিই খুব আনন্দিত।
শান্তি রাণী সম্প্রদায়ের সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার বীনা, সিআইসি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- আমরা আজ প্রাক্ বড়দিন পালন করছি। শুরুতে আমি শান্তি রাণী সিস্টারদের পক্ষ থেকে সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বড়দিনের জন্যে সকলের শুভ কামনা করছি। বড়দিন মানেই আনন্দের দিন, ভালবাসার দিন এবং ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। আমরা মানুষেরা ঈশ্বরের দয়ায় ভালবাসার শ্রেষ্ঠ উপহার। ঈশ্বর হয়েও তার একমাত্র পুত্রকে আমাদের দিয়েছেন কারণ তিনি আমাদের ভালবাসেন। তার ভালবাসার শ্রেষ্ঠ উপহার হলো যিশুখ্রিস্ট। আর আমরা পালন করতে যাচ্ছি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন মানে আনন্দের দিন, পরস্পরকে ভালবাসার দিন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার