“সেচ্ছাসেকরা সহনশীল সমাজ গঠন করে” মূলসুরকে সামনে রেখে কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের PEACH-2 প্রকল্পের আয়োজনে উদযাপন করা হলো আন্তর্জাতিক ভলেন্টিয়ার দিবস। উক্ত দিবসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, পরম শ্রদ্ধেয় জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ এবং সমাপনি সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশের সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল রেভা. ফাদার পল গমেজ। দিবস উদযাপনে সভাপতিত্ব করেন মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা, ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল।
ভলেন্টিয়ারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং কারিতাস বাংলাদেশের পরিচিতি সহভাগিতা করেন মি. দীপক এক্কা রিজিওনাল ম্যানেজার (আলোঘর), কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল; ভলেন্টিায়ার ব্যবস্থাপনা বিষয় সহভাগিতা করেন ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও, পরিচালক উন্নয়ন ও প্রশাসন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ; দুর্যোগ এবং মানবতার নীতি ও ঈড়ড়ৎ ঝঃধহফধৎফ এবং মূল প্রতিপাত্য বিষয় ও সেচ্ছাসেকত্বের গুরুত্ব ও পটভূমি নিয়ে সহভাগিতা করেন মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা, ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল। এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক দলীয় আলোচনা বিভিন্ন অভিনয় ও রোলপ্লে’র মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীগণ দলভিত্তিক উপস্থাপন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ, জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি তাঁর বক্তব্যে ভলেন্টিয়ারের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিভিন্ন দিক উদাহরণ ও উপমার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তিনি ধর্মপল্লী পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে ভলেন্টিয়ার গ্রুপ/কারিতাস গ্রুপ গঠনের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন যেন ভবিষ্যতে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবা কার্যক্রম তারা সুন্দরভাবে সহায়তা করতে পারে।
এছাড়া সমাপনি সেশনের প্রধান অতিথি রেভা. ফাদার পল গমেজ, ভিকার জেনারেল, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ, তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভলেন্টিয়ারগণ সমাজ ও মণ্ডলীতে নানা ধরনের কাজ করেন। সুতরাং তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে তবেই তাঁরা কাজের জন্য আরও উৎসাহিত হবে। কর্মসূচির এক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীগণ সিক্ত রোজারিও’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত মোট ভলেন্টিয়ারদের সংখ্যা ছিলো ৫৩ জন।

Please follow and like us: