জন-জীবনের কথা
ফাদার সাগর কোড়াইয়া
চার্বাক দর্শন এক সময় ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় সে দর্শন প্রকৃতির নিয়মে বিলীন হয়ে গিয়েছে। চার্বাক শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে চর্ব ধাতু থেকে। এর অর্থ চর্বণ বা খাওয়া। এই দর্শনে খাওয়া দাওয়াকেই জীবনের একটি প্রধানতম লক্ষ্য বলে মনে করা হতো। জড়বাদী চার্বাক দর্শনের শিক্ষা নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ আছে। এক পক্ষ চার্বাক দর্শনের গুণগান করলেও আরেক পক্ষ আছে যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেন। যাই হোক- চার্বাক দর্শনের একটি শিক্ষার মধ্যে হচ্ছে ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ’ অর্থাৎ ‘ঋণ করে হলেও ঘি খাও’। ঘি বস্তুটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে এর দাম বেশ চড়া। চার্বাক দর্শন যুগ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ঘি ক্রয় করতে মোটা অংকের টাকা গুণতে হয়। শুনতে যদিও খারাপ লাগবে তবু অপ্রিয় বাস্তব সত্য কথা এলাকাভেদে বাংলাদেশের বাঙ্গালী খ্রিস্টানদের মধ্যে ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ঋণ করে ঘি খাওয়ার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অনেকে। ‘আগুনের মধ্যে ঘি ঢাললে’ যা হয় আমাদের হয়েছে সে অবস্থা। এমনিতেই আমাদের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা দূর হয় না তার ওপরে ঋণের মধ্যে ঋণ মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠছে।
অর্থ শব্দের দুটি অর্থ হয়। প্রথমটি ‘ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্য’ আর দ্বিতীয়টি ‘মানে’। এই অর্থই যখন আমরা অর্থহীন (মানেবিহীন) অযথা ব্যবহার করি তখন তা অনর্থই হয়ে উঠে। বাঙ্গালী খ্রিস্টান সমাজের দিকে তাকালে সেটা আরো স্পষ্ট। হাতেগোনা কয়েকজন ব্যতিত খ্রিস্টান সমাজে ধনীর পরিসংখ্যান খুবই সীমিত। তবে অনুষ্ঠানের বাহ্যিকরূপ দেখলে তা মনে হয় না। সবার মধ্যেই কেমন যেন প্রতিযোগিতার মনোভাব দিনকে দিন আরো বেশী করে জেগে উঠছে। কে কার চেয়ে খরচাদি বেশি করতে পারে সে প্রতিযোগিতায় মত্ত। বাঙ্গালী খ্রিস্টান সমাজে বিয়েসাদি বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানাদি বড়দিন বা পুনরুত্থান উৎসবের পর পরই সচারাচর শুরু হয়। একে তো বড়দিনের একটা খরচাদির ব্যাপার আছে তার ওপরে আবার অন্যান্য অনুষ্ঠানের খরচ। উভয় সংকটে পরে নানা স্থান থেকে ঋণ নিয়ে অনুষ্ঠান পার করার পর ‘লে এবার ঠেলা সামলাও’ অবস্থা দাঁড়ায়। ঋণের বোঝা টানতে টানতে পরিবারের বারোটা বেজে যায় তখন। একজন বিবাহিত যুবকের সাথে কথা হচ্ছিলো। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ঋণ করতে হয়েছিল মোটা অংকের টাকা। বিয়ের পাঁচ বছর পর সে ঋণের বোঝা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে নিজেকে হালকা মনে করছে বলে জানালো।
বড়দিনের মৌসুমে নানা অনুষ্ঠানাদিতে অংশগ্রহণের ফলে আনা চিত্রগুলো অভিজ্ঞতা করছি। পিতা-মাতা ও অভিভাবক হিসেবে সবাই জানি সন্তানকে একদিন বিয়েসাদি করাতে হবে। সুতরাং সে অনুযায়ী আগে থেকেই অর্থ জমানোর অভ্যাস গড়ে তুললে ঋণের ঘেরাটোপে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। শেষের কবিতা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নায়ক অমিতের মুখ দিয়ে স্টাইল ও ফ্যাশানের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে বলেছেন, ‘ফ্যাশানটা হলো মুখোশ, যা মানব সমাজের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে মুখটা সমাজের অনুকরণ করে মুখোশের আড়ালে রেখে দেয়। আর স্টাইলটা হল মুখশ্রী যা মানুষের নিজস্ব সম্পদ, এখানে কারোর অনুকরণ করা যায় না। কেবল নিজস্বতা প্রতিভাসিত হয়ে উঠে’। আমরা মুখোশ আর মুখশ্রীর মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেলছি। ইদানিং সমাজে এমন কিছু ফ্যাশন দেখা যাচ্ছে যা সংক্রামক রোগের মতো সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনও বলতে শোনা যায়, ‘ওরা করছে আমি কেন করবো না’। অনুষ্ঠানের দোহাই দিয়ে খরচের অনুসঙ্গগুলো আমরা নিজেরাই বাড়িয়ে তুলছি। কয়েক বছর যাবৎ বিয়ে আশীর্বাদ পরিচালনার কারণে কনের বাহারী সাজের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সাজসজ্জার বেলায় আমার কোন আপত্তি নেই। তবে অবাক লাগে বিয়ের পরদিন যখন নতুন বউকে চেনা দুষ্কর হয়ে পড়ে! বিয়ের দিন কনেকে মাত্রাতিরিক্ত মেইকআপ করিয়ে কনের আসল রূপ লুকানোর মধ্যে কোন বাহাদুরী নেই। বরং কনেকে ভিনগ্রহের প্রাণীতে রূপান্তরিত করানো দেখলে কষ্ট লাগে। গোবেচারী কনের কিছুই করার থাকে না। শুনেছি মেইকআপ করানোর জন্য বিরাট অংকের টাকা খরচ করা হয়।
এখন আরেকটি ফ্যাশন শুরু হয়েছে ‘ফটো সেশন’। ফটো সেশনের বিপক্ষে আমি নই তবে বিয়ের আশীর্বাদ প্রধান না ফটো সেশনই প্রধান তা বুঝা বড় মুশকিল। ফটো সেশনের কারণে গির্জায় আসতে দেরী আবার গির্জা থেকে বাড়িতে যেতেও দেরী। গির্জাঘরের যে পবিত্রতা, ভক্তিময়তা তা ফটো সেশনের জ্বালায় নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে। ফটো সেশনে ছাতা জাতীয় কিছু বস্তুর তাণ্ডবে গির্জায় উপস্থিত জনগণ যেমন বিরক্ত তদ্বরূপ বিয়ে আশীর্বাদের চেয়ে ফটো সেশনের গুরুত্বটাই বেশি করে ফুটে উঠছে সর্বত্র। ফটো বা ভিডিও তোলার জন্যও নাকি পরিবারকে বড় একটি অর্থ গুনতে হয়। দাওয়াত কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ জানানোর প্রথা নতুন কিছু নয়। দাওয়াত কার্ড ছাপানোকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। কিন্তু কার্ডটি যদি হয় প্রায় সোনা, হীরা, রূপায় মোড়ানো তাহলে সেখানে প্রশ্ন আছে! একটু সমালোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুন তো, এতো দামি কার্ড ছাপানো বড়লোকিপানা ছাড়া আর কি হতে পারে!
মদ বাঙ্গালী খ্রিস্টানদের আদিতে যেমন ছিল এখনো তেমন আছে ভবিষ্যতে নতুনরূপে যে আসবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সে বিষয়ে বলার কিছু নেই। তবে বলার আছে আরেকটি বিষয়। ইদানিং মদ ছাড়া নাকি কোন প্রকার অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হয় না। বিয়ে বলি আর শ্রাদ্ধ বলি সব জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত মদের আধিক্য লক্ষ্যনীয়। মদ না হলে সমাজের লোক কাজ করবে না। সমস্যায় পরে মালিকপক্ষ। মদের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হাস্যকর ছাড়া অন্য আর কিছু নয়। অন্যদিকে শ্রাদ্ধের মতো একটি পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে মদাহার আমার বুদ্ধিতেই আসে না। মদ পান মৃত ব্যক্তিকে অপমান ছাড়া আর কি হতে পারে! কার বাড়ির কোন অনুষ্ঠানে কে কতটুকু মানসন্মত মদ সরবরাহ করলো সে গুণগান লোকের মুখে শোনা যায়। মদের এই ভয়াবহ প্রভাব গ্রামের উঠতি বয়সী কিশোরদের মধ্যে পড়ছে। একফোঁটা অমৃত নামক পানীয় গলধঃকরণের আশায় চাতক পাখির মতো বিয়ে বাড়ির আশেপাশে কিশোরদের ঘোরাফেরা সত্যিই লজ্জাজনক! রাস্তায় পাশ দিয়ে যাবার সময় ভুরভুর করে মদের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে দিতে পারলেই স্মার্টনেস বলে মনে করে অনেকেই। কিন্তু এমনটিতো হবার কথা নয়। এখন তো তাদের ভবিষ্যত স্বপ্ন দেখার সময়।
বিবাহিত জীবনের জুবিলী উদযাপন দম্পত্তিদের আশীর্বাদ গ্রহণ করে নতুনভাবে পথ চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। কিন্তু সে জুবিলী উৎসব উদযাপন যদি কারো জন্যে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তবে তা কষ্টকর! গির্জা কর্তৃপক্ষ কাউকে বলেননি বিরাট উৎসব করে জুবিলী উদযাপন করতে হবে। তবে বিবাহিত জীবনের জুবিলী উদযাপন দিনে দিনে এমন একটি পর্যায়ে চলে গিয়েছে যা সামাজিকতা রক্ষায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও পালন করতে হচ্ছে। জুবিলী পালন না করলে লোকে কি বলবে ভেবে ঋণ করে হলেও লোকদের ঘি খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করার রীতি সত্যিই ভয়ানক! এমনও শোনা গিয়েছে, পঁচিশ বছরের বিবাহিত জীবনের জুবিলী পালন করার জন্য এক দম্পত্তি ক্রেডিট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। ঋণ শোধাবার কোন অবলম্বন তাদের নেই। শুধু লোক দেখানো ব্যাপার। ঐ দম্পতির ছেলে দুই বছরের মধ্যে বিয়ে করবে। ভাবুন তো ছেলের বিয়েটা কি উপায়ে সম্পন্ন হবে? হয়তোবা আবার ঋণ নেওয়া হবে। অদৌ আর কোনদিন ঋণ শোধ হবে কিনা সন্দেহ! যদিওবা হয় কত বছর যে এই ঋণের বোঝা বইতে হবে তা অনুমেয় নয়।
ফুটান্টি (ফোর টুয়েন্টি) শব্দের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ফোর টুয়েন্টি বা ফুটান্টি হচ্ছে নিজের সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও অন্যকে দেখানোর অভিপ্রায়ে অনর্থ অর্থের অপচয় বা বাক্য ও কার্যের মধ্য দিয়ে নিজের গরিমা এবং বড়লোকিপানা অন্যের নিকট নানাভাবে প্রদর্শন। ফুটান্টি দেখানোর মনোভাব আমাদের বাঙ্গালী খ্রিস্টানদের মধ্যে বেশি লক্ষ্যণীয় হচ্ছে। সামর্থ্য নাই তবু দেখাতে হবে ধ্যান-ধারণা অনেকের মধ্যে স্পষ্ট দৃশ্যমান। ভবিষ্যত চিন্তার বালাই নেই, কাজের বেলায় ঘন্টা কিন্তু ফুটান্টিতে শতভাগ। ফুটান্টিতে দেখানোর মনোভাব ও আত্মহংকার আসে ঠিকই কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য তা ভয়াবহতা ডেকে আনে। আয় বুঝে ব্যয়ের অভ্যাস গড়ে না ওঠলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যে আমরা ইতিমধ্যে চলে এসেছি তা অনুধাবন অতীব জরুরী। অন্য ধর্মের লোকদের বলতে শুনেছি, খ্রিস্টানরা ব্যয়ের পরিমাণ কমাতে পারলে আরো অনেক কিছু করতে পারতো।
খ্রিস্টানদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার পিছনে ক্রেডিট ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি এটা মোদ্দাকথা, বর্তমানে ক্রেডিটের কারণে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিয়ে ঋণের যাতাকলে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রেডিটের কোন দোষ বা ডিসক্রেডিট নয়; দোষ ব্যক্তিবিশেষের পর্যায়েই পড়ে। ক্রেডিট হচ্ছে জনগণের অসহায়ে সহায়তাদানকারী, অর্থনৈতিক ক্রাইসিসে অর্থ প্রদানের মাধ্যম। দুঃখের বিষয় ক্রেডিট থেকে নামে বেনামে ঋণ নিয়ে জনগণের টাকাকে তছনছ করে ঋণ করে ঘি খেয়ে অনেকেরই পাতলা পায়খানা হওয়ার জোগাড়। এখানে প্রচলিত এই উক্তিটিই যথাযথ প্রযোজ্য ‘কুত্তার পেটে নাকি ঘি সহ্য হয় না’। আমাদের হয়েছে সেই দশা! জনগণের অর্থকে অনর্থ করে নিজেও শেষ ও অপরকেও শেষ হবার পথে প্ররোচনা দিচ্ছি। মনে করি আমাদের ভাবার সময় এসেছে।
খোরগোশ শিকারীর হাত থেকে পালানোর জন্য ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে মাথা নিচু করে থাকে। খোরগোশ মনে মনে ভাবে, আমি কাউকে দেখছি না বিধায় আমাকেও কেউ দেখছে না। কিন্তু আসল সত্যটা তো অন্যরকম। অতঃপর যা হবার তাই হয়। আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে- রেল লাইনের ধারে যাদের বাস অথচ টয়লেট নেই তারা রেল লাইনের আশেপাশেই প্রকৃতির ডাক সম্পন্ন করে। প্রকৃতির ডাক সম্পন্নকালেই যদি ট্রেন চলে আসে তাহলে মাথা নিচু করে সে ডাকে সাড়া দেয়। মাথা নিচু অর্থ সে কাউকে দেখছে না। আর কাউকে না দেখা মানে ট্রেন থেকে সে ব্যক্তিকেও কেউ দেখছে না। অদ্ভূত এক হাইপোথিসিস! যা হবার তাই হয়- খোরগোশ শিকারীর হাতে ধরা পড়ে আর প্রকৃতির ডাকে সাড়াদানকারী ব্যক্তিরও লজ্জাস্থান উন্মোচিত হয়ে যায়। আমাদেরও হয়েছে একই দশা। আমরা ভাবি ঋণ করে ঘি খাচ্ছি এতো ভালো বিষয়। অর্থের ঝনঝনানির শব্দ অন্যে শুনুক। কিন্তু এটা পরখ করে দেখি না যে, অর্থের থলিটার নিচে রাতের বেলায় ছুঁচো ইঁদুর ফুটো করে রেখে গিয়েছে। যা কষ্টার্জিত নয় তা আপনিই বের হয়ে যাবে।
ঋণ করে ঘি খাওয়ার মধ্যে কোন বাহাদুরী নেই বরং এটা এক ধরণের উন্মাদনা! এই উন্মাদনা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা দরকার। ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে না পারলে আমাদের সন্মুখে সমূহ বিপদ। অস্তিত্ব যে একদিন হারিয়ে যাবে তা নির্ধিদ্বায় বলে দেওয়া যায়। অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার চিত্র অনেক জায়গায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলে আমরা নিজেরাই যে দোষী তা একবাক্যে বলে দেওয়া সম্ভব। এ অবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন ও ব্যয় সংকোচনের নীতির বিকল্প আর কিছু নেই বলে মনে করি। নতুন করে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা করে এগুলো দরকার। মনে রাখা দরকার ঔষধ রোগ সারায় আবার সে ঔষধ মাত্রাতিরিক্ত সেবনে মৃত্যু হতে পারে। ঋণের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে; ঋণ পাওয়া গেলেই যে তা নিতে হবে এমন নয়। দেখতে হবে সত্যিই তা প্রয়োজন কিনা! ঋণ করবো তখনই যখন তা পরিশোধ করার সামর্থ্য আছে; নয়তো আসুন ‘ঋণ করে ঘি খাই’। অনেকে হয়তো বলতে পারেন আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো তাতে অন্যের কি? আমার ঋণ বাড়বে আমি ঋণ শুধাবো! সত্যিই তো- অন্যের বিষয়ে অনধিকার চর্চার দরকার কি; আসুন ‘ঋণ করে ঘি খাই’।