“শান্তি ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় যুবাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ” এই মূলসুরকে সামনে রেখে গত ২১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে বিসিএসএম (রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ)-এর পঁচিশ বছরের রজত জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়। এ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মি: দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও উপ-সচিব, বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ কারিতাসের নির্বাহী পরিচালক মি: সেবাষ্টিয়ান রোজারিও, ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী, চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও, উন্নয়ন প্রশাসক ফাদার উইলিয়াম মুরমু, তাছাড়াও বিভিন্ন ধর্মপল্লী ও প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ১০ জন ফাদার, ১৫ জন সিস্টার এবং ১৫৫ জন বিসিএসএম-এর সদস্য-সদস্যাগণ।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় এবং তার সহার্পিত খ্রিস্টযাগে ছিলেন অন্যান্য ফাদারগণ। খ্রিস্টযাগের পরপরই আনন্দ রেলী করা হয়। এই আনন্দ রেলী ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লী থেকে শুরু করে বাগানপাড়া প্রদক্ষিণ করে মেইন রাস্তা হয়ে আবার মিশন প্রাঙ্গণে ফিরে আসে।
বিশপ মহোদয় তার উপদেশ বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ ক্যাথলিক স্টুডেন্টস্ মুভমেন্ট (বিসিএসএম, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ) আজ পঁচিশ বছরের পথ চলায় পদার্পণ করেছে। এই দীর্ঘ পথ চলা আমাদের ধর্মপ্রদেশের জন্য গৌরব, আনন্দ ও আশীর্বাদের। তারুণ্যের প্রাণচঞ্চলতা সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার পথে সত্যিই বিসিএসএম প্রশংসার অংশীদার। জুবিলী হলো পবিত্র ও আশীর্বাদের বছর। একটু বিরতী নেওয়ার সময়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও প্রশংসা করার সময়। পিছন ফিরে তাকানোর সময়। তোমাদের সাফল্য, ব্যর্থতা এবং কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করার সময়। আমি বিশ্বাস করি এই জুবিলী বর্ষে তোমরা নিজেদের মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র বাইবেলে আমরা জুবিলী পালনের নির্দেশনা পাই। যদিও শুধু পঞ্চাশতম বছরের কথা পবিত্র বাইবেলে উল্লেখ আছে তবু আমরা পঁচিশ বছরকেও পবিত্র বলে ঘোষণা করি এবং উৎসবমূখর ভাবে পালন করি। কারণ এই পঁচিশতম বছরও অনুগ্রহের বছর। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল হিসেবে আমি বিশ্বাস করি আমাদের তরুণ সমাজ সমাজকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা নিজেদের পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছো। যখন তোমরা শিশু ছিলে শিশুমঙ্গল করেছো। তারপর ওয়াইসিএস এবং বিসিএসএম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছো। এই রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিসিএসএম-এর ২৫ বছরের জুবিলী পালনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে “শান্তি ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় যুবাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ” এই মূলসুর বেছে নেওয়া হয়েছে। এটা হচ্ছে বর্তমান সময়ের দাবী। তোমাদের প্রতি আমার অনেক আশা ও ভরসা রয়েছে এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তোমরা সমাজে শান্তি ও ন্যায্যতা আনয়ন করতে পারবে। তোমাদের প্রতি আগামী দিনের জন্য অনেক শুভ কামনা ও আশীর্বাদ রইল।
রজত জয়ন্তী উৎসবের উপস্থিত বিশেষ অতিথি মি: দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বিসিএসএম-এর ইতিহাস শুনে আমি খুব অবাক হলাম। আসলে যে গাছের ফল সুমিষ্ট হবে সেটা তৈরী হতে অনেক কাঠখড়ি পোঁড়াতে হয়। আমার কাছে মনে হয় যে জিনিসটা আলো দিবে সে আলোটা তৈরী করতে হলে কিছুটা শক্তির প্রয়োজন হয়। আমরা জানি চাঁদের কোন নিজস্ব আলো নেই সূর্য থেকে চাঁদ আলো সংগ্রহ করে তারপরে সে স্নিগ্ধতা দান করে। আমরা মানুষ হিসেবে আমাদের কোন নিজস্ব শক্তি নেই ঈশ্বর যে শক্তিটা দেয় সেই শক্তিটা অন্যকে আলোকিত করার মধ্যদিয়ে আমার জীবনের সার্থকতা।
তিনি আরো বলেন, বিসিএসএম-এর আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে কারো কোন ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নেই বরং এটা হলো সকলেরই কৃতিত্ব। কেননা, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আজকের এই দিনে উপণীত হতে পেরেছি। ঈশ্বর কাকে কখন কোন পথে আলোকিত করে আহ্বান করেন তা আমরা কেউ জানি না। সেটা জানেন শুধু সৃষ্টিকর্তা নিজেই। আমার মনে হয়, সেই আহ্বানের একটি ফলপ্রসূ রেজাল্ট হচ্ছে বিসিএসএম-এর এই রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন।
কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মি: সেবাষ্টিয়ান রোজারিও তার বক্তব্যে বলেন, রাজশাহী বিসিএসএম-এর বার্ষিক ছাত্র সম্মেলন ২০২৩ এবং রাজশাহী বিসিএসএম-এর প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছরের জুবিলী (রজত জয়ন্তী) অনুষ্ঠান উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। কারণ বিসিএসএম আমার ব্যক্তি জীবনের সাথে মিশে আছে এর জন্মলগ্ন থেকেই। এর সাথে যুক্ত হয়ে যত না দিয়েছি, পেয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশী। ধন্যবাদ জানাই আইএমসিএস এশিয়া টিমকে। অভিনন্দন জানাই বিসিএসএম-এর সাথে যুক্ত সকল ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনদের।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে ১৯৯০/৯১ খ্রিস্টাব্দে আইএমসিএস/ছাত্র মুভমেন্টের সাথে যুক্ত হই। সেসময় পর পর দু’বার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং আমি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে অক্টোবর মাসে পূজোর ছুটিতে ঢাকার নটরডেম কলেজে পাঁচদিনব্যাপী আয়োজিত জাতীয় ছাত্র সম্মেলনের মধ্যদিয়ে এই বিসিএসএম-এর যাত্রা শুরু হয়। ছাত্র জীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিসিএসএম-এর সাথে যুক্ত হয়ে শুধুমাত্র সেবা কাজ করেছি তা নয় বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখেছি ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। যেমন মণ্ডলির বিভিন্ন সেবা কাজ করা শুধুমাত্র বিশপ, ফাদার, ব্রাদার ও সিস্টারগণের দায়িত্ব নয়, এ দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি আরো বলেন, বিসিএসএম-এর মধ্যদিয়ে সেবা কাজ করার পাশাপাশি অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। বিভিন্ন গঠনমূলক কোর্সে অংশগ্রহণ করে আমাদের আধ্যাত্মিক গঠন হয়েছে এবং সমাজে ও মণ্ডলিতে সেবা কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ হতে আমরা যারা একসাথে বিসিএসএম-এ যুক্ত থেকে সেবা কাজ করে এসেছি তাদের মধ্যে অনেকেই আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছি। তাই, আমার ধর্মপ্রদেশ রাজশাহী বিসিএসএম-এর পঁচিশ বছরের জুবিলী উৎসব উদযাপন আমার জন্য অনেক গৌরবের এবং আনন্দের।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আজ আনন্দের দিন ও উল্লাসের দিন কেননা বাংলাদেশ ক্যাথলিক স্টুডেন্টস মুভমেন্ট (বিসিএসএম, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ) তাদের সংগঠনের পঁচিশ বছরে পদার্পণ করে জুবিলী উৎসব পালন করছে। তাই, বিসিএসএম-এর সকল সদস্য-সদস্যাদের সাধুবাদ জানাই। প্রতিটি যুবক-যুবতীদের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণাবলী। সেই সাথে তারা প্রত্যেকেই অনেক কিছুতেই পারদর্শী। যুব সমাজের শক্তি অনেক বেশী। তারা যা চায় তাই করতে পারে। বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে যেমন সাগর গড়া যায় ঠিক তেমনি তাদের প্রত্যেকের মেধা ও মনন দিয়ে বড় শক্তি গঠন করা যায় এবং একসাথে পথ চলার মধ্যদিয়ে স্থানীয় মণ্ডলিকে সাহায্য করা যায়। আশা করি, এই জুবিলী উৎসব তাদের মধ্যে নতুন প্রেরণা যোগাবে যার মধ্য দিয়ে তারা মণ্ডলিতে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে এবং ছোট ছোট সেবা কাজের মধ্য দিয়ে মণ্ডলি নতুন রূপে ও নব সাজে সজ্জিত হবে।
কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক (ডেজিগনেট) মি: ডেভিড হেম্ব্রম বলেন, যুবক-যুবতীরা যারা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে তাদের একটি স্লোগান আছে ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার’ এই শ্রেষ্ঠ সময়টাকে যদি মণ্ডলিকে দিতে পারে তাহলে আমি মনে করি মণ্ডলি আরো একটু সুদৃঢ় অবস্থানে যেতে পারবে। তিনি আরো বলেন, গানে যেমন আছে ‘তুমি প্রভুর দ্রাক্ষালতা আমি তোমার শাখা’ অর্থাৎ শেকড় শাখা থেকে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই লতা বাঁচবে না। নোট বুক নোট বুকই, নোট বুক যেমন কখনই শিক্ষক হতে পারে না। সাধারণভাবে বলতে গেলে বাড়ীতে একজন মুরব্বি থাকা ভাল কারণ সে দীর্ঘ পথ দেখেছে এবং সে গাইড করতে পারে। আর এ কারণেই যারা প্রবীণ বা বয়োজেষ্ঠ্য হয়ে গেছেন তাদের সাথে সংযুক্ততা রেখে কাজ করলে আমরা সকলে মিলে আরো ভাল কাজ করতে পারব।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশনের যুব সমন্বয়কারী ফাদার নবীন পিউস কস্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যাথলিক স্টুডেন্টস্ মুভমেন্ট’ এর রাজশাহী ইউনিটের ২৫ বছরের রজত জয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে বিসিএসএম রাজশাহী পরিবারের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল সদস্য-সদস্যাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রেমময় পিতা পরমেশ্বরকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই তাঁর অসীম কৃপা আশীর্বাদ ও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের আলোক পথ দেখানোর জন্য। আমার দৃষ্টিতে বিসিএসএম-এর ‘স্টাডি সেশন’ অনন্য ও অসাধারণ যা সদস্যদের জ্ঞান ও মূল্যবোধ বিকাশে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখে। যুব সমন্বয়কারী হিসেবে বিসিএসএম রাজশাহী পরিবারের সাথে পথ চলতে গিয়ে মনে হয়েছে বিসিএসএম-এর দিক নির্দেশনাগুলো মেনে চললে প্রত্যেক সদস্য-সদস্যাগণ একাধারে যেমন উচ্চ শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে পারবে, অন্যদিকে তাদের জ্ঞান-মেধা, মূল্যবোধ ও প্রচেষ্টা দিয়ে সমাজ, মণ্ডলি ও দেশ পরিচালনায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারবে।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় বিসিএসএম চ্যাপলেইন ফাদার প্রশান্ত থিওটোনিয়াস আইন্দ বলেন, বিসিএসএম -এর উদ্দেশ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গলসমাচারীয় মূল্যবোধের আলোকে জীবন গঠন ও খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের জীবন সাক্ষ্যদান। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জীবন গঠনে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান, পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা প্রদান করা। একতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সামাজিক এবং যুব ও ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেওয়া। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খ্রিস্টীয় জীবন ধারার বিস্তার করা ও খ্রিস্টের মিশন কাজকে চলমান রাখা। বর্তমানে আমাদের ধর্মপ্রদেশে মাত্র ৭টি ধর্মপল্লীতে এই বিসিএসএম ইউনিট রয়েছে। আমরা আশা করছি এই রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান এবং ছাত্র সম্মেলন ধর্মপ্রদেশের অন্যান্য ধর্মপল্লীতেও বিসিএসএম এর নুতন করে যাত্রা শুরু করতে বিশেষ মাইলফলক ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
রাজশাহী বিসিএসএম-এর সভাপতি দিপু কুজুর তার বক্তব্যে বলেন, বিসিএসএম-এর রজত জয়ন্তী নতুন-পুরাতনের মিলন, একাত্বতা, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ-দায়িত্ব পালন করার অনুপ্রেরণা হবে বলে মনে করি। রজত জয়ন্তী অংশগ্রহণকারী সকল ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে জানাই বিসিএসএম, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ২৫ বছরের অগ্রযাত্রায় যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকে স্মরণ করেছি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ৭টি ইউনিটের সকল বর্তমান প্রাক্তন সদস্য এবং আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রজত জয়ন্তী কে সাফল্যমণ্ডিত করবে মনে করি।
বিসিএসএম-এর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইমি মাগ্রেট পালমা তার অনুভূতি প্রকাশ করে ঠিক এভাবে, একটি চমৎকার অনুপ্রেরণা দুর্বলকে যোগায় শক্তি, দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল। হতাশা, ব্যর্থতা, গ্লানির তিক্ত অনুভূতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সম্বল হয় একটু আশা, একটুখানি সম্ভাবনার হাতছানি। জীবনের কঠিন সময়গুলোতে আমার হৃদয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে গেছে বিসিএসএম থেকে নেয়া শিক্ষা। জয় হোক বিসিএসএম, জয় হোক রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার