গত ৮ মে (২৫ শে বৈশাখ) সেন্ট লুইস স্কুলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে স্কুল হলরুমে ক্ষুদ্র একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মো: নাছির উদ্দীন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মহামান্য শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি, হলি ফ্যামিলি চার্চের পাল পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার হেনরী পালমা এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয়া সিস্টার ছন্দা রোজারিও ।
অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষায় পরিচালনা করে অত্র বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ঐশী সরকার ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নূর আপন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে, কবিগুরুর জীবন সম্পর্কে ইংরেজীতে সংক্ষিপ্তভাবে সহভাগিতা করে সেন্ট ল্ইুস স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী মহিমা ক্যাথরিন মুরমু।
রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মো: নাছির উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন, আমি যেসব জায়গায় কাজ করেছি সেইসব স্থানের খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আলাদা একটি সম্মানবোধ নিয়ে কাজ করেছি কেননা আমি দেখেছি সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম কানুন পালন করে শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নি:স্বার্থ ভাবে কিভাবে কাজ করে থাকেন।
বিশপ জের্ভাস রোজারিও তার বক্তব্যে ছেলে-মেয়েদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের প্রত্যেককে স্বপ্ন দেখার মানুষ হতে হবে আর জেগে স্বপ্ন দেখতে হবে, সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে হবে। তিনি আরও বলেন যে, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের ইংরেজী ভাষায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা ও কবিগুরুর জীবন সম্পর্কে সহভাগিতা শুনে আমি খুবই খুশি হয়েছি। তাই, তাদের অনুপ্রাণিত করে বলতে চাই, আজ যা শুরু করেছো তা যেন ভবিষ্যতেও করে যেতে পারো।
অনুষ্ঠানের আর একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল পুরষ্কার বিতরণী। নিমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনটি বিভাগের, যথাক্রমে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি ও শ্রেষ্ঠ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে পুরষ্কার স্বরূপ মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সবাই করতালির মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছা জানায়। কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন সম্পর্কে ছোট্ট একটি কুইজ প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত এই মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটি অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক/ শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীসহ সবাই উপভোগ করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : সি: শিবলী পিউরীফিকেশন