মে ৩১ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ নবাই বটতলা ধর্মপল্লী ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় রোজারি মিনিস্ট্রি টিমের উদ্যোগে ‘প্রাণ আমার পরমেশ^রের মহিমা গায়’- মূলসুরের উপর ভিত্তি করে নবাই বটতলা ধর্মপল্লীতে বিভিন্ন গ্রাম হতে আগত মায়েদের নিয়ে সারাদিনব্যাপী মা মারীয়ার সাাক্ষাৎকার পর্ব ও মে মাসের সমাপ্তি অনুুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ১৬৮ জন অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল শোভাযাত্রাসহ পবিত্র খ্রিস্টযাগ। খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার স্বপন মার্টিন পিউরীফিকেশন এবং সহ-পৌরহিত্য করেন সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আরতুরো, পিমে। ফাদার উপদেশে কয়েকটি দিক তুলে ধরেন- মা মারীয়ার পরিচয়, বাইবেলে বর্ণিত মা মারীয়ার বিভিন্ন দিক, দুই নারীর সাক্ষাৎ যেন মানবের মুক্তির সুবাতাস ও পরিবারে শান্তি ও মঙ্গলের জন্য মা মারীয়ার ভ‚মিকা।

মূলভাবের উপর সহভাগিতা করেন ফাদার সাগর কোড়াইয়া। তিনি মূলভাবের সাথে সঙ্গতি রেখে রোজারি মিনিস্ট্রির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিভিন্ন তীর্থস্থানের ভিডিও চিত্র দেখানোর মাধ্যমে। মায়ের প্রতি আমাদের ভক্তি বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হলো রোজারি মালা প্রার্থনা। এই প্রার্থনা বার বার আবৃত্তি করার মাধ্যমে আমরা শয়তানের প্রলোভনকে জয় করতে পারি এবং আমাদের পরিবারে সুখ-শান্তি ও মিলন বজায় রাখতে পারি। যে পরিবারে রোজারিমালা প্রার্থনা হয় সে পরিবার একসাথে পথ চলে।

‘মা মারীয়ার প্রতি ভক্তি বৃদ্ধির বিভিন্ন দিকসমূহ’- বিষয়টির উপর সহভাগিতা রাখেন উক্ত ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে, পিমে। মা মারীয়ার প্রতি ভক্তির বিষয়টি সহভাগিতা করতে গিয়ে মাÐলিক বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভিত্তি তুলে ধরেন। ছোট ছোট বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে তিনি মা মারীয়ার অশেষ ক্ষমতা প্রকাশ করেন। যারা মাকে ভক্তি-সম্মান দেখায় না ঈশ^র তাদের প্রার্থনা পূর্র্ণ করবেন কি-না তা নিয়ে তিনি সকলকে চিন্তা করার প্রেরণা দান করেন।

‘মা মারীয়ার সংঘের দায়িত্ব-কর্তব্য ’-বিষয়ে সহভাগিতা করেন মারীয়া সংঘের সভানেত্রী মিসেস কস্তানতিনা হাঁসদা। দুপুরের আহারের পর বিভিন্ন বøক হতে মা মারীয়ার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা করে রোজারিমালা প্রার্থনা ও গানের মাধ্যমে মিশন প্রাঙ্গনে সবাই আসেন। মিশন প্রাঙ্গনে পাঁচটি স্থানে পাঁচটি টেবিল সাজানো হয়। প্রতিটি টেবিলের নিকট গিয়ে রোজারি মালার একটি নিগঢ়তত্ত¡ ধ্যান করা হয়, অনুধ্যান রাখা হয় এবং মা মারীয়ার গানসহ বøকভিক্তিক মায়ের চরণে উপহার নিবেদন করা হয়।

পাল-পুরোহিতের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও ফাদার আরতুরো, পিমের আশির্বাদের মাধ্যমে উৎসব পরিসমাপ্তি হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন

Please follow and like us: