গত ৩০-৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সুরশুনীপাড়া ধর্মপল্লীতে বিভিন্ন গ্রাম হতে আগত মায়েদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী মা মারীয়ার সাাক্ষাৎকার পর্ব ও মে মাসের সমাপ্তি অনুুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

৩০ তারিখ বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম হতে কুমারী মারিয়ার মূর্তি নিয়ে জপমালা প্রার্থনা করে কুমারী মারিয়ার গ্রটোতে সমেবত হন। পরে সকলে গির্জায় শোভাযাত্রা সহযোগে পবিত্র খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন।

খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা এবং সহ-পৌরহিত্য করেন সহকারী পাল- পুরোহিত ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। ফাদার উপদেশে কয়েকটি দিক তুলে ধরেন- মা মারীয়ার পরিচয়, বাইবেলে বর্ণিত মুক্তির ইতিহাসে মা মারীয়ার ভূমিকা তুলে ধরেন আর পরিবারে শান্তি ও মঙ্গলের জন্য মা মারীয়ার কাছে জপমালা প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।

৩১ তারিখ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় রোজারি মিনিস্ট্রি টিমের উদ্যোগে ‘এসো জপমালা প্রার্থনা করি কুমারী মারিয়ার আদর্শে জীবন গড়ি’- মূলসুরের উপর ভিত্তি করে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম হতে আগত মায়েদের নিয়ে সারাদিনব্যাপী প্রোগ্রাম করা হয়।

সকালে পবিত্র খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন ধর্মপল্লীর সহকারী পাল- পুরোহিত ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন এবং সহ-পৌরহিত্য করেন পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা।

মূলভাবের উপর সহভাগিতা করেন ফাদার ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। তিনি বলেন কুমারী মারিয়া আমাদের সকলের মা। তিনি আমাদের বিভিন্ন চাওয়া ঈশ্বরের কাছে তুলে ধরেন ও পূরণ করেন। তাই মায়ের প্রতি চাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো রোজারি মালা প্রার্থনা। এই প্রার্থনা করার মাধ্যমে আমরা শয়তানের প্রলোভনকে জয় করতে পারি এবং আমাদের পরিবারে সুখ-শান্তি ও মিলন বজায় রাখতে পারি।

‘মা মারীয়ার বিষয়ে জীবন সাক্ষ্য সহভাগিতা করেন মারীয়া সংঘের কয়েকজন মা। এরপর ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন অংশগ্রহণকারী মায়েরা। শেষে পাল-পুরোহিতের ধন্যবাদ জ্ঞাপন
দুপুরের আহারের মধ‍্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন

Please follow and like us: