৩০ জুন ও ১লা জুলাই বনপাড়া খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠন ঢাকার আয়োজনে ও বনপাড়া পালকীয় পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হলো দুইদিনব্যাপী  ১৬ তম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রতিভার উন্মেষ – ২০২৩। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ও পালকীয় পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ফাদার দিলীপ এস কস্তা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা সাগর মারান্ডী, সংগঠনের প্রাক্তন কর্মকর্তা লিটন ও শেখর কোড়াইয়া,আহ্বায়ক সজীব পিউরিফিকেশন এবং ঢাকাস্থ যুব সংগঠনের সভাপতি ইরা পিরিছ। উল্লেখ্য উক্ত অনুষ্ঠানে বনপাড়া, ভবানীপুর ও রাজাপুর ধর্মপল্লীর ১৫০ জন প্রতিযোগী ও ৫ শতাধিক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন ও প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি ইরা পিরিছ বলেন,” সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রত্যেককে কিছু প্রতিভা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো এই সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে বিকাশ করার জন্যই ঢাকস্থ যুব সংগঠন এই আয়োজন করে। সকল প্রতিযোগীকে অভিনন্দন জানাই তারা অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। দুইদিনের অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। “
ওয়ার্ল্ড ভিশনের শিশু সুরক্ষার কর্মকর্তা সাগর মারান্ডী বলেন,” আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম প্রশংসার দাবিদার। যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”
ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ বলেন,” সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে ভালোবাসেন আর তাই আমাদের অনেক প্রতিভা দিয়েছেন। আজকে সেগুলো বিকাশ করার সুযোগ। আমাদের মেয়েরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ছেলেরা কেন জানিনা আস্তে আস্তে পিছিয়ে যাচ্ছে । সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। “
প্রধান অতিথি ফাদার দিলীপ এস কস্তা বলেন, ” যে জাতি যত বেশি সংস্কৃতি চর্চা করে সে জাতি তত উন্নত ও ভালো মনের মানুষ। বর্তমান সময়ে আমাদের খ্রিস্টান ছেলে-মেয়েরা স্কুল – কলেজে নাচ গানে অনেক এগিয়ে কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেউ যায় না, এ প্রতিভাগুলো ধরে রাখতে হবে। একই সাথে আরেকটি বিষয় বর্তমানে উপাসনার গান বাজনার জন্য ছেলে-মেয়েদের পাওয়া যায় না কিন্তু আমাদের উচিত এ জায়গাগুলোতে এগিয়ে আসা। 
পরের দিন ১ লা জুলাই সকাল ৯.০০ হতে নৃত্য, সঞ্চালক – সঞ্চালিকা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল বিভাগের প্রতিযোগিতা শেষে বিকাল ৪.০০ টায়  পুরষ্কার বিতরণী  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন, বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা,অধ্যক্ষ ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ, আবদুর রাজ্জাক মোল্লা ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম জাকির হোসেন বলেন,” আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, বিতর্ক সবই করব কিন্তু তার আগে ভিত্তি শক্ত করতে হবে। যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে তাদের বাহিরের দেশে প্রতিযোগিতার সুযোগ রয়েছে কিন্তু তার জন্য ভিত্তি অর্থ্যাৎ পড়াশোনা করতে হবে। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই একটি সভ্য জাতি গড়ে তোলা সম্ভব। আমি প্রতিভার উন্মেষ এর সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
পরে বিজয়ীদের হাতে অতিথিগণ পুরষ্কার তুলে দেন এবং সহ- সভাপতি অর্ঘ্য কস্তা তার সমাপনী বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ  ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরিশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার – লর্ড ডি রোজারিও
Please follow and like us: