বোর্ণী খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠন, ঢাকা এর আয়োজনে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের দক্ষিণ ভিকারিয়ায় মারীয়াবাদ ধর্মপল্লী বোর্ণীতে ২৯ ও ৩০ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দু’দিন ব্যাপী মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২য় প্রতিভার উন্মেষ-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। অনুষ্ঠানের ১ম দিনে উপস্থিত ছিলেন পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার যোহন মিন্টু রায়, ফাদার অনিল মারান্ডী, সিস্টার পুষ্প রোজারিও, সিস্টার রুলিতা খালকো ও সিস্টার আসন্তা হাঁসদা এবং অনুষ্ঠানের ২য় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী, পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা, অতিথি ফাদার বার্নাড রোজারিও, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার যোহন মিন্টু রায়, ফাদার অনিল মারান্ডী, সিস্টারগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রথমবার করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রতিভা উন্মেষ ছিল অনলাইন ভিত্তিক কিন্তু এ বছর তার আয়োজন করা হয় বৃহৎ পরিসরে। বৃষ্টির কারণে কিছুটা বেগ পেতে হলেও পিছুপা হয়নি বরণ অনুষ্ঠানটি চাঞ্চল্যকর পরিবেশে এগিয়ে গেছে সম্মুখপানে। ধর্মপল্লী, ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে থাকা ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকগণ উপস্থিত হয়েছে ধর্মপল্লীর প্রাঙ্গনে। সর্বমোট ২৪০জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে এবং ২য় দিন রাতে পুরুষ্কার বিতরণীর মধ্যেদিয়ে সমাপ্ত হয় ২য় প্রতিভার উন্মেষ-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
এ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীতার বিষয়বস্তুগুলো ছিল: চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, ধারাবাহিক গল্প বলা, গান, গীটার সঙ্গীত, দেয়াল পত্রিকা, আলোকচিত্র, হস্তশিল্প, রচনা প্রতিযোগীতা, সাধারণ জ্ঞান, যন্ত্র সঙ্গীত, একক অভিনয়, নৃত্য।
প্রধান অতিথি ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গণে যারা বিচরণ করেন তারা অবশ্যই সুন্দর মনের মানুষ। ঈশ্বর আমাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রতিভা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তাই এই প্রতিভা বিকাশে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। অন্যান্য সংস্কৃতি চর্চার সাথে সাথে আমাদের খ্রিস্টীয় সংস্কৃতির চর্চা করে যেতে হবে যেন আমাদের সমাজ, ধর্মপল্লী ও ধর্মপ্রদেশ সুন্দর হয়ে ওঠে।
অভিভাবক হিরামনি রোজারিও বলেন, সন্তান তুল্য ছেলে-মেয়েদের অনুষ্ঠান খুবই ভাল হয়েছে। এরকম উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ছাত্র সংঘকে সাধুবাদ জানাই। আগামীতেও যেন এ অনুষ্ঠানটি চলমান থাকে এই প্রত্যাশা রাখি।
বোর্ণী খ্রিস্টান ছাত্র সংঘ, ঢাকা এর সহ-সম্পাদিকা স্বীকৃতি রোজারিও বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, ভয় বা সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা ও লোকায়িত সুপ্ত প্রতিভা বের করে আনা। প্রথমে একটু ভয় ছিল যে, আমরা আমাদের প্রত্যাশিত প্রতিযোগী পাব কি না কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম আমাদের প্রত্যাশা থেকেও বেশি প্রতিযোগী পেয়েছি।
যুব সংঘের সভাপতি কাজল কস্তা বলেন, ২য় প্রতিভার উন্মেষ বাস্তবায়নে যারা ভূমিকা পালন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা এমন একটি স্থান যেখানে আমরা আমাদের প্রতিভা চর্চা করতে পারি ও পারবো। আশা করি আগামীতেও আমরা আরো ভাল করবো।
অংশগ্রহণকারী মাইকেল হৃদয় রোজারিও বলেন, ২য় প্রতিভার উন্মেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের ছাত্র সংগঠনের বয়স অনেক হলেও এমন একটি অনুষ্ঠান এবার ২য় বারের মত। প্রত্যাশা রাখি এরকম পদক্ষেপ যেন চলমান থাকে এবং আমাদের যে বিষয়গুলোতে সীমাবদ্ধতা ছিল বিশ্বাস করি আমাদের আগামী প্রজন্ম তা অতিক্রম করতে পারবে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : পিটার ডেভিড পালমা