ঈশ্বরের উপস্থিতির চিহ্ন হলো আমাদের উপাসনালয় বা গির্জাঘর। যেখানে খ্রিস্টভক্তগণ ঈশ্বরকে পূজা, আরাধনা ও ভক্তি করতে একত্রে সকলে মিলিত হন। এই উপলক্ষে গত ১৭ জুলাই চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর অন্তর্গত সাপকুড়ি গ্রামে নতুন গির্জাকার শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, ডি.ডি.। সাধ্বী লাউরা নামে সাপকুড়ি গ্রামের গির্জাঘর উৎসর্গ করা হয়। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সাপকুড়ি গ্রামের খ্রিস্টভক্তগণ একটি সুন্দর গির্জিকা পেয়েছে তাই সকলে পিতা ঈশ্বরের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। সেই সাথে চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ও যারা এই গির্জিকার জন্যে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন সেই সকল ব্যক্তিবর্গদের অনেক ধন্যবাদ জানান । সাধ্বী লাউরা হলেন কলম্বিয়ার একজন সাধ্বী যিনি আদিবাসী জন্য কাজ করেছেন। তাই তাঁর নাম স্মরণ করে এবং তাঁর মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের কৃপা লাভ করার জন্য এই গির্জিকার নামকরণ করা হয় সাধ্বী লাউরার গির্জিকা।
উঁরাও কৃষ্টিতে নৃত্যের মধ্য দিয়ে বিশপ মহোদয়কে ও পাল-পুরোহিত ফাদার বেলিসারিও সিরো, ফাদার সুবল কুুজুর, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ডিকন মাইকেল হাঁসদা ও সিস্টার মিরাল্লাকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানানো হয়। পরবর্তীতে পা-ধুয়ে এবং ফুলের মালা পরিয়ে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপকে অভিনন্দন জানানো হয়। অতঃপর উদ্বোধন ও আশীর্বাদ প্রার্থনা, ফিতা কেটা এবং পবিত্র জল সিঞ্চনের মধ্য দিয়ে গির্জিকা উদ্বোধন করা হয় এবং পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার বেলিসারিও বলেন, “ এই গির্জাঘর আপনাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে যাতে আপনারা আরো বেশি ঈশ্বরের ধ্যান ও আরাধনা করতে পারেন। যাতে খ্রিস্টের বাণী অন্তরে ধারণ করে অন্যের কাজে জীবন সাক্ষ্য দিতে পারে। নিজেদের অন্তরে ঈশ্বরকে স্থান দিতে পারেন। পিতা ঈশ্বরের পাশাপাশি যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রার্থনাা করবেন। বিশেষভাবে শ্রদ্ধেয় ফাদার এ্যামিলি, পিমে তাঁর জন্য প্রার্থনা করি কারণ তিনি এই জমি ক্রয় করেছেন।”
পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস বলেন, “ নতুন গির্জিকা উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত ও খুব খুশি কারণ এখন থেকে আপনারা আরো বেশি প্রার্থনাশীল মানুষ হতে পারবেন। আশা করি ভবিষ্যতে হাসানপুর ধর্মপল্লী হলে আরো অনেক কিছুু এখানে হতে পারে। তাই সকলকে অনেক প্রার্থনা করতে হবে। পবিত্র জীবন-যাপন করতে হবে। আমরা সকলে দরিদ্র্য কিন্তু মিশনকে সাহায্য করা ও গির্জাঘরের পবিত্র বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের অন্তরের পবিত্রতা ও অনেক প্রয়োজন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেয়ে যাচ্ছি। তাই এখন আমাদের দায়িত্ব মিশনের জন্য কিছু করা। আমাদের উচিত যারা এখনো খ্রিস্টকে চিনতে পারেনি বা যারা এখনো বেদিন রয়েছে তাদের কাছে আদর্শ স্থাপন করা সেই সাথে যারা খ্রিস্টান কিন্তু ধর্ম পালন করে না তাদের ও উৎসাহিত করা যাতে তারা আবার গির্জায় এসে প্রার্থনা করেন”
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু