গত ২৩ জুলাই , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর উদ্যোগে ‘যিশু এসো আমার অন্তরে’- মূলসুরের উপর ভিত্তি করে নবাই বটতলা ধর্মপল্লীতে বিভিন্ন গ্রাম হতে আগত মোট ১৪১ জন ছেলে-মেয়েকে প্রথম কমুনিয়ন সংস্কার প্রদান করা হয়।
এর পূর্বে দীর্ঘ ১৬ মাসের প্রস্তুতি দেয়া হয়। প্রস্তুতিতে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে- প্রার্থনা শিক্ষা, ঈশ্বরের সৃষ্টি কাহিনী ও এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা, খ্রিস্টপ্রসাদ সাক্রামেন্ত/সংস্কার বিষয় শিক্ষা, ঈশ্বরের দশ আজ্ঞা ও পাপস্বীকার সাক্রামেন্ত, পাপস্বীকার অনুশীলন, খ্রিস্টান হিসাবে পাপস্বীকার ও খ্রিস্টপ্রসাদীয় জীবন, নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় আহ্বান, মানুষের মুক্তির ইতিহাস এবং আমার ধর্মপল্লী- আমার দায়িত্বের বিষয়।
প্রথম কমুনিয়ন সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠানকে ঘিরে জুলাই ২২ প্রার্থীদের ধর্মপল্লীতে এনে চুড়ান্ত পর্বের ধর্মশিক্ষা প্রদান করা হয়। ধর্মশিক্ষা প্রদান করেন সিস্টার কল্যানী পালমা, এসসি, ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে, পিমে ও ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন। পবিত্র আরাধনা চলমান অবস্থায় পাপস্বীকার সংস্কার প্রদান করা হয়। পাপস্বীকার সংস্কার প্রদানে সহায়তা করেন আধারকোঠা ধর্মপল্লীর সহকারী পালক ফাদার সাগর কোড়াইয়া।
প্রথম কমুনিয়ন সংস্কার প্রদান খ্রিস্টযাগের প্রধান পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু তার্সিসিউস রোজারিও। তিনি তার উপদেশে বলেন- পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের গুরুত্ব ও মাহাত্ত্ব, খ্রিস্টময় জীবন-যাপনের তাৎপর্য, খ্রিস্টবিশ্বাসী হিসেবে খ্রিস্টমণ্ডলির দায়-দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ মণ্ডলির কর্ণধার হিসেবে লেখা-পড়ার গুরুত্ব এবং আদর্শ খ্রিস্টান হতে হলে আদর্শবান খ্রিস্টকে অনুসরণ করাই হবে সবচেয়ে বড় উপায়।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সার্টিফিকেটসহ উপহার প্রদান ও দুপুরের আহার গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন