২৮ শে জুলাই রোজ শুক্রবার বনপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো অর্ধদিবসব্যাপী উপাসনা বিষয়ক শিক্ষা সেমিনার। উক্ত সেমিনারে বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার পিউস গমেজ, আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া এবং ৩ জন বনানী সেমিনারীয়ানসহ ১১৬ জন সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বনানী সেমিনারীয়ান ব্লেইস কস্তার প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উক্ত সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারের শুরুতে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন বনপাড়া ধর্মপল্লীর উপাসনা কমিটির আহ্বায়ক ফাদার পিউস গমেজ।
সেমিনারে প্রথম অধিবেশনে সহভাগিতা করেন ফাদার দিলীপ এস কস্তা। তিনি তার সহভাগিতায় বলেন,” মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উপাসনার প্রয়োজনীয়তা আছে । আমাদের গোটা জীবন উপাসনার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। মণ্ডলির প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং প্রভু যিশু খ্রিস্ট। খ্রিস্টযাগ থেকে খ্রিস্টমণ্ডলি,যেখানে খ্রিস্টযাগ নেই সেখানে মণ্ডলি নেই। ভাটিকান মহাসভার ১৬ টি দলিলের মধ্যে প্রথমটি হলো উপাসনা। উপাসনা হলো মণ্ডলির প্রাণকেন্দ্র। মৌখিক প্রার্থনা ছাড়া মণ্ডলি টিকে থাকতে পারে না। খ্রিস্টযাগে দুটো দিক রয়েছে ধ্যান ও জ্ঞান। “
উপাসনা কমিটির আহ্বায়ক ফাদার পিউস গমেজ বলেন,” মাণ্ডলিক উপাসনা হলো হৃদস্পন্দন। মাতা মণ্ডলি চায় উপাসনায় যেন পূর্ণ সচেতন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ধাবিত হয়। প্রকৃত উপাসনা গির্জা, বাড়ি বা তীর্থস্থানে হয় না তা হয় আমাদের নিজেদের ভিতরে। খ্রিস্টযাগে স্বর্গ ও মর্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। মিশা বা MASS প্রকাশ করে একত্রিত হওয়া। খ্রিস্টযাগের কয়েকটি ধাপ হলোঃ পূর্বপ্রস্তুতি,সাজসজ্জা ও পরিবেশ তৈরি।”
ফাদার সাগর কোড়াইয়া উপাসনায় খ্রিস্টীয় সংগীতের গুরুত্ব ও যথোপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সহভাগিতা করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সুলেখা গমেজ তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ” উক্ত সেমিনারের মধ্যে দিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখেছি যা আগে জানতাম না। এ ধরনের সেমিনার অব্যাহত থাকলে ধর্মপল্লীর সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে।”
পরে খ্রিস্টযাগ ও মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও