সাগর মারিও মারান্ডী
সামাজিক মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন বাস্তবতা। মানুষ দেশ বিদেশের খবর জানতে আগের মতো পত্রিকার পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করে না। তার বদলে এসেছে স্মার্টফোন ও আইফোন নির্ভরতা।
চারপাশে, দেশে-বিদেশে কী ঘটছে, সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে সবাই। সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার আরও বেশী, প্রায় ৯০ শতাংশ।
১. সামাজিক মাধ্যমগুলো সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করছে তরুণ ও যুবা সমাজের। শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন রয়েছে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করার। কিন্তু ফেসবুক,গেমের মায়ায় প্রায়ই আটকে পড়ছে তরুণ ও যুবা সমাজ। লেখাপড়া, কোচিং, প্রাইভেট ইত্যাদি কারণে সময় বের করা এমনিতেই সম্ভব হয় না। তারপরও যেটুকু পাওয়া যায় তাও কেড়ে নিচ্ছে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমাজে ধনী-দরিদ্রের মাঝে ব্যবধান তৈরী করছে। যাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের দক্ষতা আছে তারা নিজ এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ বেশী পেয়ে থাকে এবং একই সাথে আজকাল দেখা যায় ধর্ম বিষয়ে নানা অযৌক্তিক ভিত্তিহীন ভিডিও, খবর, ছবিসহ নানান ভূয়া তথ্য ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে তাতে এক ধর্মের মানুষ আর এক ধর্মের মানুষের মাঝে ঝামেলা দ্বন্দ্ব, রেসারেসি, এমনকি অনেক বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে।
৩. একই সাথে আজকাল কিশোর ও যুবা সমাজ এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে ধর্মবিমুখ হচ্ছে। গীর্জা প্রার্থনার প্রতি অনিহা, পিছুটান বেড়েছে, একই সাথে তারা বিপথে পা পাড়াচ্ছে। আর এই ধর্মবিমুখ হয়ে অনেক অমান্য কাজে জড়িয়ে পড়ছে যেমন অল্প বয়সে পালিয়ে বিয়ে করছে যা বাল্য বিবাহ , নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে যা সমাজের নিয়ম-কানুনসহ আমাদের ধর্মের নানা বিধি বিধান লঙ্ঘন করছে। তা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এর কারণে। তাই আসুন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার থেকে দূরে থাকি এবং সচেতন হই। কিশোর ও যুবা সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাই।