ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু

পর্তুগালের লিসবন শহরে যুবাদের যে মিলনমেলা শুরু হয়েছে তা সত্যিই ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও মণ্ডলিতে একটি নতুন জোয়ারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে ১৬৭ দেশের প্রায় ১৫ লাখ যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে যুবাদের এই মিলন মেলা খ্রিস্টবিশ্বাসের একটি তীর্থ হিসেবে বলা যেতে পারে। যুবারাই যে মণ্ডলির প্রাণশক্তি ও বিশ্বাসের সাক্ষ্য সেটাই এই বিশ্ব যুব দিবস প্রমাণ করছে।

বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে পুণ্যপিতা পোপ মহাদয় একটি ভিডিও  প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে পোপকে উদ্দেশ্য করে একজন যুবতী প্রশ্ন করেন, মণ্ডলি কি শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের জন্য? তরুণীর এই প্রশ্নের উত্তরে পোপ মহোদয় বলেন, মণ্ডলি কোন বয়স্ক মানুষের ক্লাব নয়, এটা আরো বেশি যুব ক্লাব। এই উত্তরের মধ্য দিয়ে পোপ মহোদয় মণ্ডলিতে যুবাদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন ও মর্যাদা প্রদান করেছেন।

এটা সত্য যে, যুব সমাজ হলো মণ্ডলির প্রাণশক্তি। কারণ যুবাদের দেহে ও মনে যে শক্তি রয়েছে তা দিয়ে তারা অনেক সেবা কাজ করতে পারে। শুধুমাত্র একটু উৎসাহ, একটু যত্ন ও ভালোবাসা প্রয়োজন। কারণ যুবারা হচ্ছেন চারা গাছের মত। একটু যত্ন পেলেই তারা ফলশালী হয়ে উঠবে। আমাদের সমাজের যুবক-যুবতীদের আমরা যদি সত্যিই ভালোবাসি, তাদের গুরুত্ব দেই এবং তাদের কাছে আসি তখন দেখবো তারাও আরো বেশি মণ্ডলিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে। মণ্ডলিকে ত্বরাণ্বিত করার জন্য তারা বিশ্বাসের সাক্ষ্য বহন করবে। ধর্মপল্লীর যে কোন কাজে তারা সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেে এবং করবে।

আমি বিশ্বাস করি, এই বিশ্ব যুব দিবস মণ্ডলিতে একটি নতুন জোয়ার আনবে। যে জোয়ার যুব সমাজের মনকে স্পর্শ করবে। তারা এগিয়ে আসবে মানুষের কল্যাণে মানুষকে সাহায্য করতে। ধর্মপল্লী বা ধর্মপ্রদেশ বরং গোটা মণ্ডলিকে তারা সাজাবে নতুন ভাবে। যেখানে তারা নৈতিকতার আদর্শে জীবন-যাপন করবে। মিলন, ভ্রাতৃত্ববোধ, ন্যায্যতা ও শান্তি আনয়নে নিজেদের দেহ, মন ও আত্মাকে উৎসর্গ করবে।

Please follow and like us: