গত ১৫ই আগস্ট সেন্ট লুইস স্কুলে যথাযথ মর্যাদা সহকারে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা আর তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

শোক দিবসের রীতি-নীতি পালন করে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয়া সিস্টার ছন্দা রোজারিও, এমপিডিএ পতাকা উত্তোলন করেন । পতাকা উত্তোলন ও প্রাত্যহিক সমাবেশ এর পর পরই শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

তারপর দিনটিকে ঘিরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দলগত সংগীত পরিবেশন করে এবং পরবর্তী আয়োজন আন্ত:বিদ্যালয় চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেন্ট লুইস স্কুল ব্যতীত অন্যান্য পাঁচটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। নার্সারী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন ও  পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন মিঠু এবং তাকে সহায়তা করেন অনান্য শিক্ষক মণ্ডলি।

শোক দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সাবলীল ভাষায় সহভাগিতা রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন,‘‘ ওরা ভেবেছিল তোমাকে মারলে হয়ে যাবে সব শেষ, ওরা তো জানে না বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। এই দিনটি বাঙালী জাতির ইতিহাসে বেদনা বিধুর  ও বিভীষিকাময় একটি দিন। যখন আজানের ধ্বনিও উচ্চারিত হয়নি, তখন ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে চির নিদ্রায় শায়িত। কিছু স্বার্থপর ও দেশদ্রোহী ব্যক্তির হিংস্রতা এই পরিবারটিকে তছনছ করে দেয়। সূর্য ওঠার আগেই ঘাতকেরা চালায় পৃথিবীর সবচেয়ে নরকীয় হত্যাকান্ড। শিশু থেকে প্রৌঢ় কেউ তাদের এই হিংস্রতা থেকে রক্ষা পায়নি। বঙ্গবন্ধুর অবদান এই বাঙালী জাতি কখনও ভুলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু শুধু ব্যক্তি নয়, বঙ্গবন্ধু একটি অনুপ্রেরণার নাম । বাঙালীর ভাবনায় ও স্বত্ত্বায় চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে একটি নাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ”

রাজশাহী এডুকেশন বোর্ড গভ: স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসেছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এলিসাদ এরশাদ জানায়, এখানে এসে তার ভালো লেগেছে তাই সে কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আয়োজনের জন্য। তার মন্তব্য স্কুলের পরিবেশ অনেক সুন্দর।

সেন্ট লুইস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাম্মী আক্তার জানায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্কুলে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে, সে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে এসেছে। তার খুব ভালো লাগছে আসতে পেরে।

শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক বলেন, এই প্রথম অন্যান্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সেন্ট লুইস স্কুলে  নিয়ে আয়োজনটি করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা ও  শিক্ষক মণ্ডলির সহযোগীতায় অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সাফল্যমণ্ডিতভাবে সম্পন্ন করায়, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : সিস্টার শিবলী পিউরীফিকেশন, এমপিডিএ

Please follow and like us: