জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর মধুমাঠ গ্রামে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে ও ওয়ার্ল্ড ভিশন, গোদাগাড়ির সহযোগিতায় একশত জন সাঁন্তাল আদিবাসী খ্রিস্টভক্তের অংশগ্রহণে রাস্তার দু’পাশে এক হাজার পাঁচশত তালবীজ রোপণ করা হয়।
২৫ আগস্ট ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ শুক্রবার তালবীজ রোপণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সাগর কোড়াইয়া এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন, রাজশাহী গোদাগাড়ির এরিয়া ম্যানেজার মিসেস প্রেরণা চিসিম। এছাড়াও দৈনিক ইত্তেফাক রাজশাহীর সিনিয়র ফটো সাংবাদিক আজাহার উদ্দিন, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ ফটো সাংবাদিক সেলিম জাহাঙ্গীর ও একাত্তর টেলিভিশনসহ অন্যান্য স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণও উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, তালগাছ হচ্ছে বরেন্দ্রভূমির একটি পরিচয় চিহ্ন। বরেন্দ্রভূমি এক সময় মরুভূমির মতো ছিলো। তবে তালগাছ চোখে পড়তো খুব। কিন্তু বর্তমানে বরেন্দ্রভূমিতে তালগাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আজকে তালবীজ শুধু রোপণ করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না, বরং রোপণের পর এর যত্ন নিতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন, গোদাগাড়ির এরিয়া ম্যানেজার প্রেরণা চিসিম বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। তালগাছের বাকলে পুরু কার্বনের স্তর থাকায় তা বজ্রপাত নিরোধে সহায়তা করে। তালগাছের উচ্চতা ও গঠনগত দিক থেকেও বজ্রপাত নিরোধে সহায়ক। তালগাছের পাশাপাশি নারকেলগাছ, সুপারিগাছের মতো উচ্চতা সম্পন্ন গাছ বজ্রপাত নিরোধে বেশ কার্যকরী।
মধুমাঠ গ্রামের মাঞ্জিহি হারাম (গ্রাম প্রধান) শিবু টুডু বলেন, আজকে আমাদের গ্রামের জন্য উৎসবমূখর দিন। সবাই আনন্দের সাথে তালবীজ রোপণে অংশগ্রহণ করেছে। আমি ভাবছি আগামী দশ বা পনের বছর পর তালগাছগুলো যখন দৃশ্যমান হবে কি সুন্দরই না লাগবে দেখতে! আমরা যেভাবে তালবীজ রোপণে সবাই একত্রে সাড়া দিয়েছি অন্যান্য কাজেও যেন একইভাবে এগিয়ে আসি।
বক্তব্য শেষে রেলী করে দু’টি দলে ভাগ হয়ে রাস্তার দুইপাশে তালের বীজ রোপণ করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : পিটার ডেভিড পালমা