ভূমিকা : গত ১৯ আগস্ট সিবিসিবি সেন্টারে “এশিয়ার বিশপ সম্মিলনী এবং বাংলাদেশ মণ্ডলি একসাথে পথ চলা” বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী আয়োজিত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রতিটি ধর্মপ্রদেশের আর্চ বিশপদ্বয় ও সকল বিশপগণ এবং প্রতিটি ধর্মপ্রদেশ থেকে পাঁচ জন করে ধর্মপ্রদেশীয় প্রতিনিধি ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার, কাটেখ্রিস্ট এবং খ্রিস্টভক্তগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মসংঘের সুপিরিয়র জেনারেলগণ এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারের উদ্দেশ্যসমূহ ছিল: ১. এফএবিসির ভিশন, মিশন, কাঠামো এবং কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পরিচিত করা। ২. এফএবিসির সাথে বাংলাদেশ মণ্ডলির এক সাথে পথ চলার উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ তুলে ধরা। ৩. আগামী দিনের বাস্তবতায় এফএবিসি এবং বাংলাদেশ মণ্ডলির একসাথে পথ চলার নতুন পথের সন্ধান করা। উক্ত সেমিনারে বরিশাল ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা নিম্নে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হলো- (৪র্থ অংশ)

৭. ৬। ষষ্ঠ প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১০-১৯ জানুয়ারী ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে, ম্যানিলা, ফিলিপাইনস। মূলভাব ছিল: “বর্তমান এশিয়াতে খ্রিস্টের শিষ্যত্ব: জীবনের প্রতি সেবা”। এশিয়ার বিশপগণ বিগত এসেম্ব্লীগুলোতে এশিয়ার মানুষের জীবনমান রক্ষার জন্য অবিরত কাজ করেছেন। প্রার্থনা, সংলাপ, নিরূপণ এবং কাজের মধ্য দিয়ে জীবনের পূর্ণতার পথে চালিত হতে মণ্ডলি এশিয়ার জনগণের সাথে সহযোগিতা করেছে। তাই এই এসেম্ব্লীর মূলভাব নেওয়া হয়েছে “খ্রিস্টের শিষ্যত্ব: জীবনের প্রতি সেবা”। এখানে এশিয়ার বাস্তবতার মাঝে বিশপগণ “জীবন দর্শন” নিরূপণ করেছেন। আর এই দর্শন হলো বিভিন্ন কৃষ্টি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে জীবনের মিলন। সংহতি, সমবেদনা, ন্যায্যতা, স্বাধীনতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, শান্তি, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির জীবন। এশিয়ার এই ব্যাপক জীবন দর্শন অর্জনে খ্রিস্টের শিষ্য হিসেবে মণ্ডলি কিভাবে অবদান রাখতে পারে? শিষ্যত্বে গঠন লাভ করে। সেই জন্যেই যাজক ও ভক্তজনগণ মণ্ডলির বর্তমান এশিয়াতে নতুন ভাবধারায় মণ্ডলি হওয়ার কার্যকলাপের উপর ধ্যান করে একটি স্থানীয় মণ্ডলি বা একটি মিলন সমাজ হতে চেয়েছে। কিন্তু এফএবিসি উপলদ্ধি করেছে যে এশিয়াতে প্রকৃত অর্থেই একটি মিলন সমাজ গঠন বা স্থনীয় মণ্ডলি হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাদানে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই খ্রিস্টের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাঁর জীবনদায়ী ভালবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তাঁর আত্মার নির্দেশনা অনুসারে এশিয়াতে খ্রিস্টীয় জীবন গঠন ও জীবনের প্রতি সেবার উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫টি পালকীয় অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেমন- পরিবার, নারী ও কন্যাশিশু, যুবক-যুবতী, ইকোলজি ও অভিবাসী, যাদের প্রতি বিশেষ পালকীয় সেবা যত্ন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

৭. ৭। সপ্তম প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩-১৩ জানুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দে, সামফ্রান, থাইল্যাণ্ড । মূলভাব ছিল: “এশিয়াতে একটি নবায়িত মণ্ডলি: ভালবাসা ও সেবার প্রেরণকাজ ”। দুই হাজার খ্রিস্টাব্দ একটি নতুন সহস্রাব্দের সূচনা। জুবিলী বছর। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ, টেকনোলজি ও ঔপনিবেশিক অতীত মোকাবেলায় এই উপলদ্ধি এসেছে যে আমাদের মহাদেশ এখনও দেখছে অন্যায্যতার সুনির্দিষ্ট রূপ। এই দূর্দশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এশিয়ার বিশপগণ মণ্ডলিকে নবায়নের প্রেরণকাজ নিয়ে একটি নতুন শতাব্দির প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে। কেননা, স্বয়ং পবিত্র আত্মাই নবায়নের পথে, বিশেষভাবে, প্রেম ও সেবার প্রেরণকাজে নবায়িত হওয়ার আহ্বান করছেন। তাই তাঁরা প্রথম অংশে এশিয়াতে মণ্ডলির দর্শন নবায়নের বিষয় বলেছেন-মণ্ডলি হবে দরিদ্র ও যুবাদের; প্রকৃত অর্থে একটি স্থানীয়; গভীর অভ্যন্তরীনতা; খাঁটি বিশ্বাসের মিলন সমাজ; সামগ্রিক মঙ্গলবাণী ঘোষণা ও নবায়িত প্রেরণকাজ; ভক্তজনগণ ও নারীদের ক্ষমতায়ন এবং ত্রিমূখী সংলাপের আন্দোলন। দ্বিতীয় অংশে প্রেম ও সেবার প্রেরণকাজে চ্যালেঞ্জসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছে আর সেগুলো হলো-বিশ্বায়ন, মৌলবাদ, বাস্তব্যবিদ্যা, সামরিকীকরণ এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক ভুদৃশ্য, ইত্যাদি। তৃতীয় অংশে, মণ্ডলিকে এশিয়ান হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এশিয়ান হওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয় তৃণমূল পর্যায় থেকে। তইি এশিয়ান হওয়ার পথে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোর আলোকে তাঁরা যুবসমাজ, নারী অধিকার, পরিবার, আদিবাসী জনগণ, অভিবাসী ও শরনার্থীদের সাথে সম্পর্কিত পালকীয় অগ্রাধিকারগুলো নির্ণয় করেছেন। বলা হয়েছে পরিবার পবিত্র ত্রিত্ব ঈশ্বরের ভালবাসার রহস্য মূর্তমান করে তুলে। পরিবার যেখানে এখনও অনেকের জন্যই স্বর্গ সেখানেও পারিবারিব ঐতিহ্য ও মূল্যবোধগুলো সমযোতা করা হচ্ছে। দরিদ্রতা ও বিশ্বায়নের প্রভাব পড়ছে এই পরিবারগুলোতে। সেই জন্যেই এশিয়ার একটি নবায়িত মণ্ডলিতে ভালবাসা ও সেবার প্রেরণকাজের জন্য একটি অখণ্ড /পরিপূর্ণ পদ্ধতি একান্ত প্রয়োজন। একটি নতুন সহস্রাব্দের সূচনাতে মঙ্গসমাচার প্রচার ও সেবাকাজের অধিকতর ফলপ্রসূ হাতিয়ার হলো জীবন সাক্ষ্যদান।

৭. ৮। অষ্টম প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭-২৩ আগস্ট ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে, দেজেয়ন, কোরিয়া । মূলভাব ছিল: “একটি সামগ্রিক জীবন সভ্যতার দিকে এশিয় পরিবার”। এই এসেম্ব্লীতে পরিবারগুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এশিয়ান পরিবারের জন্য পরিপূর্ণ জীবনের প্রত্যাশা। প্রথম অংশে, তুলে ধরা হয়েছে এশিয়ার পরিবারগুলোর জন্য পালকীয় চ্যালেঞ্জসমূহ: পারিবারিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের অবক্ষয়, বিভিন্ন ধরণের পরিবার, দারিদ্র এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন, এশিয়ার অভিবাসন, সাস্কৃতিক বিশ্বায়ন, পিতৃতান্ত্রিকতা, ভূমিহীনতা, নারী ও শিশু শ্রম, যুব সমাজ, ক্ষুদ্র খ্রিস্টীয় সমাজে পরিবার, ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে উপস্থাপন করা হয়েছে পরিবার সম্পর্কে ঐশতাত্বিক অনুধ্যান: প্রেম ও জীবনের সন্ধি, মিলন ও সংহতি; খ্রিস্টই জীবন, সহভাগিতামূলক প্রেম, মিলন ও সংহতি; আত্মাতে সন্ধিময় জীবন, ঈশ্বরের পরিবার, মণ্ডলি; পরিবার প্রেম ও জীবনের মন্দির, সন্ধি ও মিলন, যিশু অভিজ্ঞতা, মানবিক সম্পর্ক; পরিবারের আহ্বান ও প্রেরণকাজ-প্রাবক্তিক ভূমিকা; এবং সামগ্রিক জীবন সভ্যতার দিকে পারিবারিক আধ্যাত্মিকতা: মিলনের আধ্যাত্মিকতা, বিবেকের গঠন ও বিবাহের ঐশানুগ্রহ। তৃতীয় অংশে রয়েছে পারিবার সেবাকাজ সম্পর্কে পালকীয় দিকনির্দেশনা। সামাজিক চ্যালেঞ্জ এশিয়ার পরিবারগুলোকে প্রভাবিত করছে। তাই এই বাস্তবতা থেকে এশিয়ার পরিবারকে একটি সামগ্রিক জীবন সভ্যতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হলিস্টিক পারিবারিক সেবাকাজ অনেক প্রয়োজন। কেননা, এশিয় জীবনের কেন্দ্রে রয়েছে পরিবার। তাই পরিবারগুলোকে মঙ্গলবাণীর প্রচারকর্মী করে তোলার জন্য ক্ষমতায়ন করতে হবে।

৭. ৯। নবম প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১০-১৬ আগস্ট ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে, ম্যানিলা, ফিলিপাইনস । মূলভাব ছিল: “এশিয়াতে খ্রিস্টপ্রসাদীয় জীবন-যাপন”। এখানে অনুধ্যান করা হয় খ্রিস্টপ্রসাদীয় জীবন নিয়ে। খ্রিস্টপ্রসাদ সম্পর্কে পোপদের গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলোর উপর ভিত্তি করে এশিয়ার বিশপগণ এশিয়াতে খ্রিস্টপ্রসাদীয় জীবন যাপনের উপর আলোকপাত করেছেন। প্রথমেই বিশপগণ খ্রিস্টযাগের ঐশতাত্বিক-পালকীয় অনুচিন্তন তুলে ধরেন: খ্রিস্টপ্রসাদ হলো আমাদের জীবনে ও মিলনে খ্রিস্টের জীবন। আমাদের জীবন হওয়ার জন্য খ্রিস্টপ্রসাদে খ্রিস্টের জীবন আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। জীবনময় রুটি যিশুকে ঈশ্বর উপহার হিসেবে আমাদের দিলেন যাতে আমরাও অন্যদেরকে অনন্ত জীবন দিতে পারি। তাঁর দেহ ও রক্ত গ্রহণের ফলে পবিত্র ত্রিত্ব ঈশ্বরের সাথে মিলন এবং তাঁর রক্তে একটি নতুন সন্ধি স্থাপিত হয়। খ্রিস্টপ্রসাদ হলো জীবন ও প্রেমের সংলাপের একটি নতুন অভিজ্ঞতা। খ্রিস্টযাগ শুধু মাত্র যিশুর নিস্তার রহস্যেরই স্মরণোৎসব নয়, বরং যিশুর সমগ্র জীবনটাই হলো জীবনদায়ী প্রেমের উৎসর্গ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শ্রবণ, বিশ্বাস ও আশার জীবনে ও প্রেরণকাজে আহ্বান গুরুত্ব পেয়েছে এই এসেম্ব্লীতে। এশিয়াতে খ্রিস্টমণ্ডলির অস্তিত্বের বিশেষ ধরণ হলো জীবন ও প্রেমের সংলাপ। দীন-দরিদ্র, সৃষ্টি ও ইতিহাসের মধ্যেও খ্রিস্টের উপস্থিতি অবশ্যই দেখতে হবে। সেইজন্যে যা বেশী প্রয়োজন তা হলো গঠন। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ, খ্রিস্টপ্রসাদীয় জীবন যাপন ও মিশনারী গঠন একান্ত আবশ্যক।

৭. ১০। দশম প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১০-১৬ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে, জুয়ান লক, ভিয়েতনাম । মূলভাব ছিল: “৪০ বছরে এফএবিসি: এশিয়ার চ্যালেঞ্জসমূহের প্রতি সাড়াদান – মঙ্গলবালীর নবঘোষণা ”। ২০১২ খ্রিস্টাব্দ ছিল বিশ্বাসের বৎসর, দ্বিতীয় ভ্যাটিকান মহাসভার ৫০ বছর, ক্যাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষার ২০ বছর এবং এফএবিসি এর পথচলার ৪০ বছর পূর্তি। দীর্ঘ পথচলার এই পর্যায়ে এসে বিশপগণ স্মরণ করেছেন দ্বিতীয় ভ্যাটিকান মহাসভার মূল ধারণাগুলো নিয়ে, যেমন: ঐশজনগণ, ঐশরাজ্য, মিলন, সহ-দায়িত্বশীলতা, সহযোগিতা, অংশগ্রহণ, সংলাপ, মঙ্গলবাণী ঘোষণায় প্রেরণকাজ, ইত্যাদি। আলোচনা করেছেন বর্তমার যুগলক্ষণ ও মঙ্গলবাণী প্রচারের নতুন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। ৪০ বছর পূর্তিতে এশিয়া মণ্ডলির কাছে আহ্বান আসে মঙ্গলবাণী নব ঘোষণার। বিশপগণ আলোচনা করেন কিভাবে মঙ্গলবাণীর নব ঘোষণা দ্বারা এশিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা যায়। তা করতে গেলে যা সর্বাগ্রে প্রয়োজন তা হলো নবায়িত মঙ্গলবাণীর প্রচারক হওয়া, এবং এর জন্য আমাদেরকে জগতে সক্রিয় পবিত্র আত্মার আহ্বানে সাড়া দিতে হবে, আমাদের সত্ত্বার গভীরে মঙ্গলবাণীর নব ঘোষণার আধ্যাত্মিকতায় জীবন-যাপন করতে হবে। “মঙ্গলবাণীর নব ঘোষণার প্রেরণকাজ, যা স্বাদে, পদ্ধতিতে ও প্রকাশ ভঙ্গিমায় নতুন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ইহা খ্রিস্টের সমরূপ মনমানসিকতা ও চিন্তা নিয়ে নবায়িত, মিলন, প্রেরণ ও নব মঙ্গলবাণী ঘোষণার আধ্যাত্মিকতায় নবায়িত মঙ্গলবাণী প্রচারক হওয়ার আহ্বান জানায়”। এশিয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনের মধ্যে যিশু খ্রিস্টকে ঘোষণার একটি কঠিন প্রেরণ দায়িত্ব রয়েছে এশিয়াতে মণ্ডলির সামনে। এই প্রেরণ দায়িত্ব পালন করতে হলে আমাদেরকে হতে হবে খ্রিস্ট-আভিজ্ঞতা সম্পন্ন, খ্রিস্ট-সাক্ষ্যদানকারী মিলন সমাজ এবং মঙ্গলবাণীর নব ঘোষণার জন্য নবায়িত মঙ্গলবাণীর প্রচারক।

৭. ১১। একাদশ প্লেনারী এসেম্ব্লী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯ নভেম্বর – ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে, কলম্বো, শ্রীলঙ্কা। মূলভাব ছিল: “এশিয়াতে ক্যাথলিক পরিবার: দয়ার প্রেরণকাজে দীন-দরিদ্রদের গৃহমণ্ডলি”। বিশপগণ আলোকপাত করেছেন এশিয়ার ক্যাথলিক পরিবারগুলো নিয়ে। পরিবার হলো দয়ার প্রেরণকাজে গৃহমণ্ডলি। এশিয়ার পরিবর্তনশীল বাস্তবতা/মূখমণ্ডল এশিয়ার পরিবারগুলোকে প্রভাবিত করছে। তাই মণ্ডলির প্রয়োজন পরিবারের আধ্যাত্মিকতা নিয়ে কাজ করা যার স্থিতি রয়েছে যিশুর সাথে সাক্ষাতের মধ্যে। পরিবারের আধ্যাত্মিকতাই হলো এই প্লেনারীর কেন্দ্রীয় বিষয়।

৮। উপসংহার: এফএবিসি এর প্লেনারী এসেম্ব্লীগুলোর মধ্যে রয়েছে এশিয়া মণ্ডলির জন্য অমূল্য শিক্ষা, মূল্যবান গুপ্ত সম্পদ ও এশিয়া মণ্ডলির জন্য একসাথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পালকীয় কর্মপরিকল্পলনার সুপারিশ ও দিক-নির্দেশনা। এই সম্পদগুলো আবিস্কারের জন্য প্রয়োজন সময় নিয়ে এই মূলবান দলিলগুলো পাঠ ও ধ্যান করা এবং আত্মস্থ করা। এই মহতী কাজে স্বয়ং ঈশ্বর তাঁর কৃপা দান করুন এবং পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয় মন আলোকিত করুন।

Please follow and like us: